মালয়েশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট চেক অনলাইন বাংলাদেশ - মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আশা করি ভালই আছেন। যিনারা মালয়েশিয়া যেতে চাচ্ছেন বা মালয়েশিয়া প্রবাসীদের জন্য এই আর্টিকেলটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমি আজকে এই আর্টিকেলে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম এবং মালয়েশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট চেক অনলাইন বাংলাদেশ থেকে আপনার হাতে টাকা স্মার্টফোন দিয়ে চেক করতে পারবেন খুব সহজেই।

পোস্ট সূচিপত্রঃআপনি যদি মালয়েশিয়া যাত্রী হয়ে থাকেন মালয়েশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট চেক অনলাইন বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম এই ধরনের তথ্য অনলাইনে খুঁজে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি সীমা আইডি ওয়েবসাইটে সকল সঠিক নির্ভুল তথ্য খুঁজে পাবেন।

আপনারা হয়তোবা অনেকেই জানেন মালেশিয়ার প্রবাসীদের বছরে একবার করে কোম্পানি থেকে মেডিকেল করায়। ধরে নিন আপনি কলিং ভিসায় মালয়েশিয়া আসছেন, আসার পর অল্প কিছুদিনের মধ্যে আপনার কোম্পানি আপনাকে মেডিকেল করাবে। এই মেডিকেলে যদি আপনি আনফিট হন আপনাকে অতি দ্রুত দেশে পাঠিয়ে দিবে।

চিন্তার কোন কারণ নেই আপনি যদি আনফিট হন তাহলে অন্য জায়গায় গিয়ে কাজ করতে পারবেন। অনেক সময় দেখা যায় কিছু খারাপ লোক (দালাল) তোরা টাকা খাওয়ার উদ্দেশ্যে আপনি ঠিক আছেন তারপরও আপনাকে আনফিট করে দিবে বা আপনাকে বলবে আপনি আনফিট।

এই সকল প্রতারকদের থেকে খুব সাবধান এই জন্য আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে মালয়েশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট চেক অনলাইন বাংলাদেশ থেকেও চেক করতে পারবেন। কথা না বাড়িয়ে চলুন কেমন করে মালয়েশিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে হয় তা জেনে নিন।

অবশ্যই আপনার স্মার্টফোনে ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে, গুগল ক্রোম এ এসে আপনি সার্চ দিবেন myimms-e-servies অথবা https://eservices.imi.gov.my/myimms/FomemaStatus এই নামে ওয়েবসাইটটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আসার পর এইরকম ইন্টারফেস দেখাবে । আপনারা দুই ভাগে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে পারবেন।

1. পাসপোর্ট নাম্বার ও কান্ট্রি বা দেশ সিলেট করার মাধ্যমে।
2. আপনার নাম এবং কান্ট্রি বা দেশ সিলেট করার মাধ্যমে।

পাসপোর্ট নাম্বার ও কান্ট্রি বা দেশ সিলেট করার মাধ্যমে নিচের চিত্রে দেখানো হলো।

পাসপোর্ট নাম্বার এবং কান্ট্রি সিলেক্ট করার পর ডান পাশে দেখবেন Carian লেখা। Carian লেখার উপর ক্লিক করে দিবেন তারপর একটু অপেক্ষা করলে আপনার সামনে আপনার মালয়েশিয়া মেডিকেল

রিপোর্ট চলে আসবে। তাদের পুরো ওয়েবসাইটটা French ভাষায়, আপনি চাইলে সেখান থেকে ইংলিশ করে নিতে পারবেন।

• প্রথমে আপনাদেরকে দেখাবে ডকুমেন্ট নাম্বার সেখানে আপনার পাসপোর্ট নম্বর দেখাবে।
• তারপর যাত্রীর নাম দেখাবে ।
• তারপর চাকরির জন্ম তারিখ দেখাবে।
• তারপর যাত্রীর Jantian দেখাবে।
• তারপর ফরমের তারিখ দেখাবে যেখানে এক্সপার ডেট উল্লেখ করা থাকবে।
• তারপর আপনারা রেফারেন্স নাম্বার দেখতে পারবেন।
• লাস্ট নম্বরে এসে Fomema Status এর মধ্যে যদি FIT লেখা থাকে তাহলে আপনি সিলেট হয়ে গিয়েছেন।আপনারা যদি আনফিট হন তাহলে ওখানে UNFIT লেখা থাকবে।

এই পুরো বিষয়টি টেবিল আকৃতি হয়ে থাকবে। যাইহোক আপনারা এই ভাবেই খুব সহজেই আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে অনলাইন থেকে মালয়েশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট চেক অনলাইন বাংলাদেশ এবং বাহিরে যে কোন স্থান থেকে চেক করতে পারবেন।

আপনি যদি মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম খুশি থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়ুন আশা করি সকল সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য এই সীমা আইটি ওয়েব সাইটে পেয়ে যাবেন।

বাংলাদেশের মানুষেরা অনেকেই মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা করতে দিয়ে থাকে থার্ড পার্টি অথবা এজেন্সের মাধ্যমে। যখন আমরা ভিসা করতে দিয়ে থাকি তখন আমরা জানার চেষ্টা করি আমাদের ভিসা কমপ্লিট হয়েছে কিনা। এটা জানার জন্য আমরা যাকে ভিসা করতে দিয়েছি তার সাথে যোগাযোগ করতে থাকি।

যেখানে সেখানে না গিয়ে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে আপনি মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করার নিয়ম খুঁজে বার করতে পারবেন খুব সহজেই। মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করার অনেকগুলো উপায় আছে তার মধ্যে সবচাইতে সহজ মাধ্যম হলো পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করা যায়। কিভাবে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করবেন তা নিচে তুলে ধরা হলো।

প্রথমে আপনাকে গুগল ক্রোম ওপেন করে সার্চ দিতে হবে https://eservices.imi.gov.my/myimms/PRAS লিখে। তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর মধ্যে আসলে আপনার সামনে এইরকম একটা ইন্টারফেস আসবে।

কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করার জন্য নিচে দেওয়া ছবির মধ্যে চিত্তির আকারে যে চিহ্ন দেওয়া আছে ওটাই হল নম্বর। প্রিয় পাঠক আপনারা ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে পাসপোর্ট চেক করতে পারবেন। 

উপরের ছবিতে আপনি যে নম্বরটি দেখতে পাচ্ছেন সেই নম্বর দিয়ে খুব সহজেই মানুষের ভিসা চেক করতে পারবেন। মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করার নিয়ম জানতে হলে নিচের লেখাগুলো পড়তে থাকুন।

উপরের ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এটি গর্বিতদের চিহ্নিত করা রয়েছে, এখানে কলিং ভিসার মধ্যে কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন নম্বর থাকে। কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার যদি আপনি না পান আপনার যেই কোম্পানি আছে তাদের থেকে আপনি কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার চেয়ে নিতে পারবেন। উপরের বৃত্তের মধ্যে শুধু রেজিস্ট্রেশন নাম্বার বসাতে হবে।

সার্চ করলে আপনার কোম্পানির সমস্ত কপি গুল তার নিচে চলে আসবে। কয়টা এপ্লিকেশন এ পর্যন্ত হয়েছে, কার কার কার কার নামে অ্যাপ্লিকেশন হয়েছে অ্যাপ্লিকেশন নম্বর সমস্ত তথ্য চলে আসবে। লাস্ট নম্বরে আপনি সেখানে আপনার Status দেখতে পারবেন।

যদি দেখেন প্রিন্ট অবস্থায় আছে বা মালয়েশিয়ান ভাষায় চিতাক এই ভাষাই লেখা থাকে তাহলে আপনার ভিসা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। Status এর মধ্যে যদি REJECT লেখা থাকে তাহলে বুঝবেন তার ভিসা প্রস্তুত হয়নি।

প্রিয় পাঠক এখন আমরা জানবো মেডিকেল আনফিট হলে কত দিন পর মেডিকেল করা হয়, দেশের বাহিরে যাওয়ার জন্য আমাদের মেডিকেল টেস্ট করতে হয়। অনেকেরই কিছু সমস্যার কারণে মেডিকেল রিপোর্ট আসতে পারে, আপনার যদি কোন সমস্যা না থাকে তার পরেও যদি কোন কারণ বসত মেডিকেল রিপোর্ট যদি আনফিট আসে।

কোন কারণবশত আপনাদের মধ্যে যাদের মেডিকেল রিপোর্ট আনফিট আসে চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই ৩ থেকে ৬ মাস পর আবারো মেডিকেল করার জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। যেই কারণে আপনার মেডিকেল রিপোর্ট আনফিট এসেছে সেই সমস্যা আপনি ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে আপনি সমাধান করে নিবেন।

আপনার শারীরিক কোন সমস্যা নেই তারপরও আপনার মেডিকেল রিপোর্ট আনফিট এসেছে এই ক্ষেত্রে আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। হয়তোবা তারা আপনার কাছ থেকে কিছু টাকা নেওয়ার জন্য কোন সমস্যার কথা বলে আনফিট করে দেয়। তাদেরকে কিছু টাকা পয়সা প্রদান করলে তারা আপনার মেডিকেল রিপোর্ট ফিট করে দিবে।

প্রিয় পাঠক মেডিকেল আনফিট হলে কত দিন পর মেডিকেল করা হয় আশা করি সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। এই জন্য আপনি যখন মেডিকেল করতে যাবেন যদি আপনার শরীরের কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটা সমাধান করে মেডিকেল করতে যাবেন।

বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনার শরীরের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা নেওয়া হয় কারণ আপনার শরীরে যদি কোন ভাইরাস থেকে থাকে তাহলে দেশের বাহিরে যেতে পারবেন না। যে যে কারণে মেডিকেল রিপোর্ট আসে বা মেডিকেল আনফিট হওয়ার কারণ গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।

• এইচআইভি ভাইরাস থাকলে আপনার মেডিকেলে আনফিট হওয়ার কারণ হবে।
• করণ ভাইরাস থাকলে আপনার মেডিকেলে আনফিট হওয়ার কারণ হবে।
• জন্ডিস থাকলে আপনার মেডিকেলে আনফিট হওয়ার কারণ হবে।
• চর্মরোগ থাকলে আপনার মেডিকেলে আনফিট হওয়ার কারণ হবে।
• শ্বাস কষ্ট থাকলে আপনার মেডিকেলে আনফিট হওয়ার কারণ হবে।
• ক্যান্সার থাকলে আপনার মেডিকেলে আনফিট হওয়ার কারণ হবে।
• হার্টের সমস্যা থাকলে আপনার মেডিকেলে আনফিট হওয়ার কারণ হবে।
• নাকের পলিপাস থাকলে আপনার মেডিকেলে আনফিট হওয়ার কারণ হবে।
• এছাড়াও অন্যান্য ভাইরাস জনিত সমস্যা থাকলে আপনার মেডিকেলে আনফিট হওয়ার কারণ হবে।

উপরে উল্লেখিত সমস্যা যদি আপনার শরীরের মধ্যে থাকে তাহলে এগুলো সমস্যা সমাধান করার পর মেডিকেল করাতে যাবে নয়তো আপনার মেডিকেল রিপোর্ট আনফিট আসার সম্ভাবনা বেশি।

বন্ধুগণ, থাকি। শেষ কথা ই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল মালয়েশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট চেক অনলাইন বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। কোন কিছু বুঝতে না পারলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

শেষ কথা আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে মালয়েশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট চেক অনলাইন বাংলাদেশ - মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।