হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান কোথাই
ভূমিকা
হিন্দু ধর্মের সারা ভারত জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনেক অনেক তীর্থস্থান।
সারা বছর এই সকল তীর্থস্থানে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা এসে ভিড় জমায়।
প্রতিটি তীর্থস্থানীয় সনাতন ধর্মের মানুষদের কাছে অত্যন্ত ভালোবাসার জায়গা বা
স্থান। আমি আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান
সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃপ্রিয় পাঠক আপনি যদি হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান খুজে থাকেন তাহলে
আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আশা করি হিন্দুদের প্রধান
তীর্থস্থান সম্পর্কে সকল সঠিক তথ্য এই সীমা আইটি ওয়েবসাইটে খুঁজে পাবে
এই জন্য আপনার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান বদ্রীনাথ মন্দির
বদ্রীনাথ মন্দির হলো ভারতের উত্তরা খণ্ড বদ্রীনাথ শহরে উপস্থিত একটি মন্দির। এই
মন্দিরের অপর নাম বদীন নারায়ণ মন্দির। এটি হিন্দু দেবতা বিষণ মন্দির। বদ্রীনাথ
শহর ও বদ্রীনাথ নারায়ণ মন্দির চারধাম ও ছোট চার ধাম নামে পরিচিত তীর্থ গুলির
অন্যতম। বদ্রীনাথ মন্দির দিব্য দেসব নামে পরিচিত ১০৮ তীর্থেরও একটি। হিন্দুদের
প্রধান তীর্থস্থান বদ্রীনাথ মন্দির।
প্রতি বছর এপ্রিল মাসের শেষের দিক থেকে নভেম্বর মাসের প্রথম ভাগ পর্যন্ত ৬ মাস
এই মন্দিরটি খোলা থাকে। এই মন্দিরের প্রধান দেবতা বিষ্ণু বদ্রীনারায়ণ নামে
পরিচিত হন। বদ্দি নারায়ণের বিগ্রহটি কষ্টিপাথরের নিম্রিতি। সর্বশেষে বলা
যায় হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান বদ্রীনাথ মন্দির।
হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান পুরী
পুরী ভারতের ওড়িশা রাজ্যের পুরী জেলার একটি শহর। এই শহর পুরী জেলার সদর শহর এবং
বঙ্গপ নদীর তীরে অবস্থিত। ওড়িশা রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে
আবস্থিত। পরী হিন্দুদের চারধামের অন্যতম একটি ধাম হিসেবে বিখ্যাত। প্রাচীনকালে
পুরী শ্রী ক্ষেত্র এবং নীলাচল নামে পরিচিত ছিল। এই শহরে হিন্দুদের অনেক মন্দির
এবং মোট আছে।
এই শহরের ৮০% অর্থনীতি জগন্নাথ মন্দিরের ধর্মীয় গুরুত্ব তার উপর নির্ভর করে।
প্রতিবছর রথ যাত্রার উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ ভক্তবৃন্দ পুরী তে আসে। সর্বশেষে বলা
যাই হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান পুরী।
হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান রামেশ্বম মন্দির
রামেশ্বম রামায়নে বর্ণিত একটি পবিত্র তীর্থস্থান। রামেশ্বম ভারতের দক্ষিণ ভাগের
প্রান্তিক স্থান। ভারতের তামিলনাড়ু রাম নাথাপুরাম জেলার একটি শহর। এটি পাম্মান
দ্বীপে অবস্থিত, পাম্মান চ্যালেন দ্বারা ভারতের মূল ভূমি থেকে প্রিত এবং
শ্রীলংকার মান্নার দ্বীপ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই স্থানে রয়েছে
বিখ্যাত রাম সেতু যা সমুদ্রে ভাসমান পাথরের সেতু।
ভগবান রামচন্দ্র সীতাকে উদ্ধারের পর ফিরে এসে এখানে লিঙ্গরূপে শিবের আরাধনা করেন।
রাবণকে বধ করে যে পাপ করেছিল কারণে শিবের আরাধনা করেন। বর্তমানে তামিলনাড়ুর সেই
স্থানে হিন্দুদের কাছে এটি পবিত্র তীর্থস্থান এবং চারধাম বলে মনে করা হয় তার
সাথে হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান রামেশ্বম মন্দির।
রামেশ্বম ভারতের কাছ থেকে শ্রীলঙ্কায় পৌঁছানোর সবচাইতে নিকটতম বিন্দু এবং
ভোতাত্ত্বিক প্রমান গুলি নিদেষ করে যে রাম সেতু ভারত শ্রীলংকার এটি পূর্ব জনমের
একটি সংযোগ ছিল। এই মন্দিরে রামেশ্বর ইসতম্ব উপস্থিত। সর্বশেষে বলা যাই
হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান রামেশ্বম মন্দির।
হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান দ্বারকা মন্দির
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দ্বারকা নগরী। দ্বারকা হল ভারতের গুজরাট
রাজ্যের দেবভূমি দ্বারকা জেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন শহর। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের
কাছে চারধাম নামে পরিচিত, চার প্রধান তীর্থস্থানের একটি হল দ্বারকা। আবার
শব্দপুরী নামে পরিচিত ভারতের সাতটি প্রাচীনতম শহরের অন্যতম হলো দ্বারকা।
হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান দ্বারকা মন্দির
শ্রীকৃষ্ণ মহা প্রস্থানের পর একদিন এই দ্বারকা নগরীয় হারিয়ে যায় সমুদ্রের অতল
গহবরে। দ্বারকা শব্দের দ্বার অর্থ দরজা আর কা অর্থ স্বর্গ কিংবা মুখ্য। হিন্দু
শাস্ত্রে দ্বারকাকে কৃষ্ণের রাজধানী বলা হয়েছে। মনে করা হয় এটি ছিল গুজরাটের
প্রথম রাজধানী। কৃষ্ণের অপর নাম দ্বারকাধিস বা দ্বারকেশ্বর। খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ বা
সপ্তম শতাব্দীতে দ্বারকা মন্দির নির্মিত হয়।
হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান বিশ্বনাথ মন্দির কাশী
কাশী ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের একটি প্রাচীন শহর, স্থানীয়ভাবে বেনারস বা
বারাণসী নামে পরিচিত এবং বাঙ্গালিদের কাছে কাশী নামে পরিচিত। হিন্দুরা বিশ্বাস
করেন বারাণসী তে মৃতু হলে মৃত বেক্তি মুক্ষ লাভ করেন, এই জন্য এখানে আনেক বৃধ লোক
এর দেখা যাই। এদের মূল উদেশ্য হচ্ছে এই শহরে মৃতু বরণ করা। কাশীতে রয়েছে বিখ্যাত
বিশ্বনাথ মন্দির।
মন্দিরটি গঙ্গা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী কাশী বিশ্বনাথ
মন্দির জতির লিংগ নামে পরিচিত শীবের ১২ মন্দির এর মধে অন্যতম। মন্দির এর প্রধান
দেবতা শিব বিশ্বনাথ বা বিশ্বেস নামে পূজিত হন। মন্দিরের ১৫. ৫ মিটার উঁচুড়াটি
সোনাই মুড়া এইজন্য মন্দির থেকে স্বর্ণমন্দির বলা হয়ে থাকে।
পুরী তে জগন্নাথ মন্দির রয়েছে, জগন্নাথ মন্দির হিন্দুদের প্রধান
তীর্থস্থান বিশ্বনাথ মন্দির কাশী বলে মনে করা হয়। মন্দির টি ১৯ থেকে
২০ পূর্ব সমুদ্র সৈকতে নিকটে অবস্থিত। এই মন্দিরের আরাধ্য দেবতা প্রভু জগন্নাথ।
প্রতিবছর রথযাত্রার তিথিতে এ মন্দিরে রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়।
মন্দিরটি বেল পাথরের তৈরি ১১৬১ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ পুরী জগন্নাথ মন্দির প্রতিষ্ঠা
করা হয়। মন্দিরের চারটি তার রয়েছে উত্তর দ্বার দক্ষিন দ্বার পূর্ব দ্বার ও
পশ্চিম দ্বার। এই মন্দিরটিও বিভিন্ন সময় মুসলিম শাসকদের ক্রোধের শিকার হয়েছিল।
হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান বিশ্বনাথ মন্দির কাশী।
হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান হিমালয়ের চার ধাম কেদারনাথ
চার ধাম যাত্রার সুযোগ জীবনে একবার আসে। কেদারনাথ মন্দির হিন্দুদের অন্যতম
তীর্থস্থান এই যাত্রাপথে একই সঙ্গে দীর্ঘ, কঠিন এবং শেষ পর্যন্ত লক্ষ্য পূরণ হলে
একটা বড় প্রাপ্তি। এখানকার তীব্র শীতের জন্য এপ্রিল মাসের শেষ
থেকে কার্তিক পূর্ণিমা পর্যন্ত খোলা থাকে। শীতকালে
কেদারনাথের মূর্তিগুলো ছয় মাসের জন্য অখি মটে নিয়ে গিয়ে পূজা করা
হয়।
হরিদ্বার থেকে সাধারণত চার দামের যাত্রা শুরু হয়। হরিদ্বার থেকে যমুনোত্রী
যেখানে পবিত্র যমুনা নদীতে ডুব দিয়ে শুরু হয় পুণ্যার্থীদের তীর্থযাত্রা। এরপর
গঙ্গোত্রী সেখান থেকে কেদারনাথ সবশেষে বদ্রীনাথ এরমধ্যে পথে পাবেন অসংখ্য মন্দির
সেই সব মন্দির গুলোতে পূজ দেন মানুষ।
আর যাত্রা পথে রয়েছে অসংখ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। চার ধাম যাত্রা শুধু আপনাকে
ধর্মীয় দৃষ্টি গুণ থেকে প্রশান্তি দিবে তা নয় এই যাত্রাপথে দেখা পাবেন আপনি এক
অন্যরকম রোমান্সের। সর্বশেষে বলা যাই হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান হিমালয়ের
চার ধাম কেদারনাথ।
হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান যমুনোত্রি
যমুনোত্রি হল যমুনা নদীর উৎস এবং হিন্দু ধর্মের যমুনা নদীর আসন। এটি হিন্দুদের
প্রধান তীর্থস্থান যমুনোত্রি এবং ছোট চারধাম তীর্থযাত্রার মধ্যে একটি।
এটি বান্দর পঞ্চ পর্বতে এক প্রান্তে অবস্থিত। যমুনোত্রি প্রধান আকর্ষণ হল যমুনা
দেবীকে উৎসর্গ করা মন্দির।
হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান গঙ্গোত্রী মন্দির
গঙ্গোত্রী ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যের উত্তরকাশী জেলার একটি শহর। এটি ভাগীরথী নদীর
তীরে অবস্থিত একটি হিন্দু তীর্থ শহর। গঙ্গোত্রী হিমাত্রী হিমালয় পর্বত শ্রেণীতে
৩১০০ মিটার উচুতে অবস্থিত এই গঙ্গোত্রী মন্দির। গঙ্গোত্রী গঙ্গা নদীর
উচ্চস্থলতায় এখানে দেবী গঙ্গার একটি মন্দির আছে। গঙ্গোত্রী ছোট চার ধাম তীর্থ
চতুষ্টয়ের একটি মন্দির। সর্বশেষে বলা যাই হিন্দুদের প্রধান
তীর্থস্থান গঙ্গোত্রী মন্দির।
হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান কুম্ভ মেলা
কুম্ভ মেলা সনাতন ধর্মের সবচাইতে পবিত্র তীর্থস্থান এর একটি হল এই কুম্ভ মেলা।
এটি হিন্দু উৎসব উপলক্ষ ধর্ম প্রাণ হিন্দুরা তীর্থস্থান করতে আসে এই কুম্ভ মেলায়।
বিশ্বের বৃহতম শান্তি পূণ্য সমাবেশ হিসেবে রেকড রয়েছে ২০১৩ সালে এখানে ১০ কোটি
মানুষের আগমন ঘটে। সাধারণত কুম্ভ মেলা প্রতি ৪ বচ্ছর পর পয়জন হয়।
প্রতি ৬ বছর প্র্যাগ ও হরিদার অধ্রকুম্ভ আয়জিত হয়। প্রতি ১২ বছর অন্তর প্রয়াজ,
হরিদার, উজ্জিনি ও নাশীকে পূণ্যকুম্ভ অয়জিত হয়। ১২ টি পূণ কুম্ভ অথ্যাত ১৪৪ বছর
আন্তর প্র্যয়াগে আয়জিত হয় মহাকুম্ভ। হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান কুম্ভ
মেলা।
হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান ত্রিবেণী সঙ্গম
ত্রিবেণী শব্দের অর্থ তিন নদীর সংযোগস্থল বা মিলন বিন্দু। ভারতের উত্তর প্রদেশে
প্রয়াগ রাজে গঙ্গা-যমুনা ও সরস্বতী নদীর মিলনস্থল ত্রিবেণী সঙ্গম নামে পরিচিত।
এটি সনাতন ধর্মের মানুষদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র তীর্থস্থান এবং হিন্দুদের প্রধান
তীর্থস্থান ত্রিবেণী সঙ্গম।
পুরান মতে এই ত্রিবেণীতে সরস্বতী নদী অন্তর সলিল অবস্থায় যমুনার নিচ দিয়ে
প্রবাহিত হচ্ছে। এখানে প্রতি ১২ বছরে একবার করে কুম্ভ মেলা ও অনুষ্ঠিত হয়।
হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান হরিদ্বার
হরিদ্বার বা হরোদার ভারতের উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার জেলার একটি প্রাচীন শহর।
কিংবদন্তি অনুযায়ী দেবী গঙ্গা এখানেই ভগবানের শিবের চুল থেকে মুক্তি পেয়ে
পৃথিবীতে নেমেছিলেন। গঙ্গোত্রী হিম্বাহের প্রান্তে গোমুক থেকে উৎপন্ন হয়ে উৎস
থেকে ২৫৩ কিলোমিটার চলে হরিদ্বারে প্রথমবারের জন্য সিন্ধু গাঙ্গেয় সমভূমিতে
প্রবেশ করে গঙ্গা।
যা থেকে এই শহরটির নাম হয়েছে গঙ্গাধর। হরিদ্বার কে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে
শপ্তপুরী নামে পরিচিত ৭ টি পবিত্র তম স্থানের মধ্যে ১ টি হিসেবে বিবেচিত করা হয়।
সমুদ্র মন্থন অনুসারে উজ্জয়নী, নাসিক ও প্রয়াগ্রাজ সহ হরিদ্বার এমন চারটি
স্থানের মধ্যে একটি যেখানে অমৃতর বৃন্দু পড়েছিল। হিন্দুদের প্রধান
তীর্থস্থান হরিদ্বার।
মহাজগতিক গরুর পাখি অমৃতের কলস বহন করার সময় দুর্ঘটনা ক্রমে অমৃত ছড়িয়ে
পড়েছিল। এটি কুম্ভ মেলায় অভিব্যক্তি হয়েছে যা প্রতি ১২ বছর পর পর একবার
হরিদ্বারে পালিত হয়। হরিদ্বারে কুম্ভ মেলা চলাকালীন লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী ভক্ত
এবং পর্যটকরা মুখ্য অর্জনের জন্য এবং তাদের পাপ স্থলন করার জন্য গঙ্গা নদীর তীরে
স্নান করতে জমাইয়ট হয়।
হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান মথুরা বৃন্দাবন
বৃন্দাবন একটি প্রাচীন শহর। এই শহর হিন্দু ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত এবং হিন্দু
ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান। এই শহরের প্রাচীনতম মন্দির গুলির একটি হলো
গোবিন্দ মন্দির। বৃন্দাবন হল ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মথুরা জেলার একটি শহর।
ঈশ্বর পরম রাধা মাধব এখানে নিজেদের সৎ সীতানন্দ ছেলেবেলার লীলা প্রকাশ করে থাকে।
বৃন্দাবন শহরে রাধা ও কৃষ্ণের অনেকগুলো মন্দির আছে। হিন্দুদের প্রধান
তীর্থস্থান মথুরা বৃন্দাবন হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের কাছে এটি একটি
পবিত্র তীর্থস্থান।
হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান সোমনাথ মন্দির
সোমনাথ মন্দিরের আরাধ্য দেবতা শিব সোমেশ্বর মহাদেব নামে পরিচিত। এই সোমনাথ
মন্দিরে হিন্দু পুরাণ অনুসারে দক্ষ প্রজাপতি কর্তৃক অভিশপ্ত হয়ে চন্দ্র প্রভাস
তীর্থে শিবের আরাধনা করলে শিব সেই ব্যক্তির অভিশাপ নির্মূল করে দেয়। এই জন্য
সোমনাথ মন্দিরে অনেক ভক্তবৃন্দ তীর্থস্থানে আসেন তাই হিন্দুদের প্রধান
তীর্থস্থান সোমনাথ মন্দির বলে মনে করা হয়।
গুজরাত রাজ্যের পশ্চিম উপকূলের অবস্থিত সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের বেরাবলের নিকটস্থ
প্রভাস ক্ষেত্রে এই সোমনাথ মন্দির অবস্থিত। সোমনাথ মন্দিরটি চিরন্তন পিত নামে
পরিচিত কারণ, অতীতের ছয়বার ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও মন্ত্রীত্বের সপ্তম বারে নতুন করে
পুনর্নিত হয়।
চন্দ্র সোমনাথের শিবের একটি স্বর্ণ মন্দির নির্মাণ করেন। পরে রাবণ দ্রব্য ও কৃষ্ণ
চন্দন কাস্ট দ্বারা মন্দিরটি পুনর নির্মাণ করেছিল। সোমনাথ মন্দির ভারতের একটি
প্রসিদ্ধ শিব মন্দির, হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান সোমনাথ মন্দির।
শেষ কথা
বন্ধুগণ, থাকি। শেষ কথা ই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল হিন্দুদের প্রধান
তীর্থস্থান সম্পর্কে সমস্ত তথ্য আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে
পেয়েছেন। কোন কিছু বুঝতে না পারলে বা কোন তথ্য জানার থাকলে আমাদের
সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই
আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর
কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
শেষ কথা আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে
দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান এর
সমস্ত তথ্য পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন পোস্ট
পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।
ছেলেদের কাম শক্তি বৃদ্ধির ঔষধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত টি এই আর্টিকেলটি যদি
আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার আপনার বন্ধুবান্ধব আপনার
আত্মীয়-স্বজনদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url