তুলসী সেবা তুলসী মাহাত্ন্য তুলসী কাঠের মালা ধারণ বিধি
ভূমিকা
নমস্কার আমি শ্রী শুভ কুমার প্রামানিক প্রতিদিনের মতো আজকেও আরেকটি নতুন ব্লগ
আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকে আর্টিকেলটি মূলত তুলসী সেবা,
তুলসী মাহাত্ম্য, তুলসী কাঠের মালা ধারণবিধি, তুলসী মালা কত প্যাচ করতে হয়,
তুলসী মালা কেন করা হয়। এই সকল তথ্য নিয়ে।
আপনি যদি তুলসী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুগল এ খুজে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি
আপনার জন্য। আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন তাহলে তুলসী
সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়ে যাবেন।
তুলসী সেবা
প্রিয় পাঠক এখন যে বিষয়ে আপনারা পড়বেন তা হলো তুলসী সেবা নিয়ে।
তুলসীর ভক্তি এবে শুন মন দিয়া।
যেরূপে কৈলেন লীলা তুলসী লাইয়া ৷৷
এক ক্ষুদ্র-ভাণ্ডে দিব্য মৃওিকা পুরিয়া।
তুলসী দেখেন সেই ঘটে আরোপিয়া ৷৷
প্রভু বলে, - আমি তুলসীরে না দেখিলে।
ভালো নাহি বাসোঁ যেন মৎস্য বিনে জলে ৷৷
যবে চলে সংখ্যা - নাম করিয়া গ্রহণ।
তুলসী লইয়া অগ্রি চলে একজন ৷৷
পশ্চাতে চলেন প্রভু তুলসী দেখিয়া।
পড়য়ে আনন্দধারা শ্রিঅঙ্গ বহিয়া ৷৷
সংখ্যা নাম লইতে যে স্থানে প্রভু বৈসে।
তঠায় রাখেন তুলসীরে প্রভু পাশে ৷৷
তুলসীরে দেখেন, জপেন সংখ্যা নাম।
এ ভক্তিযোগের তত্ত্ব কে বুঝিয়ে আন ৷৷
পুনঃ সেই সংখ্যা নাম সম্পূর্ণ করিয়া।
চলেন ঈশ্বর সঙ্গে তুলসী লইয়া ৷৷
এই ছিল তুলসী সেবা দেওয়ার মূল মন্ত্র। নিচের তুলসী মুলা কাত প্যাচ পরতে হয় তা
জানতে হলে নিচে দেওয়া লেখা পড়তে থাকুন।
তুলসী মালা কত প্যাচ পরতে হয়
প্রিয় পাঠক এখন আমরা যেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা হলে তুলসী মালা কত প্যাচ পরতে
হয় চলুন জেনে নেওয়া যাক। যে ব্যক্তি নিজের গলায় তুলসী মালা গলায় ধারণ করে না
সেই মোর ব্যক্তি যদি জল স্পর্শ করে তাহলে ওই জল মদের সমান হয়ে যায়। ওই ব্যক্তি
যদি অন্য স্পর্শ করে তাহলে সেই অন্য রাজহংসের বিষ্ঠা অর্থাৎ (পায়খানা) সমান হয়ে
যায়।
এজন্য প্রতিটা মানুষের তুলসীর মালা গলায় ধারণ করা কর্তব্য। যখন কোন মানুষ তুলসী
মালা গলায় ধারণ করে স্নান করে তখন তুলসীকে স্পর্শ করে জল সর্বাঙ্গে স্নাত হয়।
ওই ব্যক্তির এই পৃথিবীর সর্ব তীর্থ স্থানের প্রাপ্তি হয়ে যায়। শ্রী ব্যাসদেব
পদ্মপুরাণম্ এই শর্ত লিখেছেন এতে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না।
তুলসী মালা কত প্যাচ পরতে হয়, শাস্ত্রসম্মতভাবে গলায় ৩ প্যাচ দিয়ে তুলসী মালা
ধারণ করা কর্তব্য কারণ স্মৃতিশাস্ত্রে তিন প্যাচ দিয়ে গলায় তুলসী কাঠের মালা
ধারণ করার কথা উল্লেখ রয়েছে। তিন প্যাচ দিয়ে তুলসীর মালা ধারণ করার সময় তিনটি
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হয় আমাদের।
- প্রথম প্যাচ দিয়ে বলতে হয় আমি নিজেকে উদ্ধার করিব হরিনামের দ্বারা।
- দ্বিতীয় প্যাচ দিয়ে বলতে হয় আমি আমার পরিবারকে উদ্ধার করিব হরিনামের দ্বারা।
- তৃতীয় প্যাচ দিয়ে বলতে হয় আমি যাহাকে দেখিবো তাহাকে বলিব হরিনাম, উদ্ধার হইবে সে হরিনামের দ্বারা।
তুলসী মালা প্রথম প্যাচে নির্দেশ করে সম্বন্ধ তত্ত্ব অর্থাৎ জীবের স্বরূপ হয়
কৃষ্ণের নৃত্য দাস। কৃষ্ণের সঙ্গে যে আমার নিত্য সম্বন্ধ রয়েছে সেই সম্বন্ধ কে
গভীর প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। তুলসী মালার দ্বিতীয় প্যাচ নির্দেশ করে
অবিদেহ তত্ত্ব। অর্থাৎ কৃষ্ণর সঙ্গে যে একমাত্র সম্বন্ধ রয়েছে তাকে পাওয়ার
একমাত্র উপায় হল ভক্তি।
সমস্ত বৈদিক শাস্ত্র ভগবত ভক্তির প্রন্থাকে আবিদেহ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। তাই এই
তুলসীর দ্বিতীয় প্যাচ দিয়ে আমি যেন সেই ভক্তি লাভ করাতে পারি। তুলসী মালার
তৃতীয় প্যাচ নির্দেশ করে প্রয়োজনীয় তত্ত্ব। সমস্ত জীবের একমাত্র প্রয়োজন হলো
কৃষ্ণ প্রেম লাভ করা। আমরা ধর্ম , অর্থ, কাম, মুখ্য এই চার প্রকার পুরুষার্থ লাভ
করার প্রয়োজন মনে করি।
পরম পুরুষার্থ শ্রীকৃষ্ণর প্রেমের কাছে এই চার পুরুষার্থ তির সম অর্থহীন।
শ্রীকৃষ্ণর প্রেমের আনন্দ হল একটি অমৃত সমুদ্রের মতো, যার তুলনা ধর্ম, অর্থ, কাম,
এবং মূখ্যর সাথে তুলনা করা যায় না। কৃষ্ণ প্রেমের কাছে এই চারটি বিষয় একেবারে
তুচ্ছ মাত্র।
- তুলসী মালার তিনটি প্যাচ সুপ্ত, রজ, তম এই তিন গুণের ভারসাম্যকে নির্দেশ করে।
- তুলসী মালার তিনটি প্যাচ সৃজন, পালন এবং সংঘার অর্থাৎ সৃষ্টির স্থিতি নয় এই তথ্যের অধিপতি ব্রহ্মা-বিষ্ণু মহেশ্বর কে নির্দেশ করে।
- তুলসী মালার এই তিনটি প্যাচ গঙ্গা যমুনা-সরস্বতী নদীর স্রোত কে নির্দেশ করে।
- তুলসীর মালার এই তিনটি প্যাচ বইদি, রাগানোগা , এবং রাগাতিকা এইট্টিন প্রকার ভক্তি কে নির্দেশ করে।
- তুলসী মালার এই তিনটি প্যাচ শ্রী ভগবান ভক্তি এবং ভক্তকে নির্দেশ করে যার মধ্যে কোন ভেদ নেই।
- তুলসী মালার তিনটি প্যাচ গুরু , ভগবান, এবং বৈষ্ণব এই তিনটি তথ্য কে নির্দেশ করে।
- তুলসী মালা এই তিনটি প্যাচ গৌড় নিত্যানন্দ অদ্বৈত এই তিনটি বিষ্ণু তত্ত্ব কে নির্দেশ করে।
- তুলসী মালার এই তিনটি প্যাচ সেব্য সেবক দুজনের মধ্যে সম্বন্ধকে নির্দেশ করে।
এইসব আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে তুলসী মালা সর্বদাই তিন প্যাচ দিয়ে গলায় ধারণ
করা উচিত। যিনারা এক প্রেস দিয়ে তুলসীর মালা গলায় ধারণ করে তারা শাস্ত্রের
নিয়ম অমান্য করে। জিনারা তিন প্যাচের বেশি তুলসীর মালা গলায় ধারণ করে সেটা
তাদের নিজস্ব ভাব।
তুলসী মালা কেন পড়া হয়
যেহেতু তুলসী দেবী ভগবান শ্রীবিষ্ণুর প্রিয় পাত্র সেজন্য তুলসী কে অত্যন্ত
পবিত্র মানা হয় আমাদের ধর্মে। এই পবিত্র বৃক্ষের মালা যখন আমাদের শরীরে স্পর্শ
করে তখন পাপ ও আমাদের স্পর্শ করার সাহস পায় না। মানুষকুলের অনেকেই তাদের প্রশ্ন
ও প্রাণীকে নিজের সন্তানের মত ভালবাসেন।
তাই অন্য কেউ যেন তাকে হত্যা বা আঘাত করতে না পারে এইজন্য তাকে গলায় লাল ফিতা
বেঁধে দেন। এর থেকে যে কেউ বুঝতে পারেন যে এই প্রাণীটি কারো স্পর্শ এবং এর কোন
প্রকার হানি ঘটানো তার জন্য বিপদ হতে পারে। ঠিক তেমনি আমরা আমাদের প্রতিপালন
নারায়ণের সন্তান তিনি আমাদের প্রভু।
আমরা যখন তার প্রিয় বস্তু আমাদের কণ্ঠে ধারণ করি তখন তার আমাদের প্রতি সমর্পণ
ইঙ্গিত করে, আমাদের ভালো-মন্দ সুখ শান্তি এবং মুখ্যলাভ তারই দায়িত্বে বর দায়।
সনাতনী বিশ্বাসে তুলসী মালা কন্ঠে ধারণ করিলে তিনটি জিনিস থেকে রক্ষা পাওয়া
যায়।
- তুলসী মালা ধারণকারী ব্যক্তির উপর বজ্রপাত ঘটে না।
- বিষ্ঠা ঘাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, অর্থাৎ মানুষের মল পশু পাখির মল থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- সর্প ছোবল থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, অর্থাৎ সাপের কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
রাতে বাদ দিনে ঘুমানোর পর আমরা বাজে বা ভয়ানক স্বপ্ন দেখি যা দেখে ভয় পেয়ে
আমাদের হাত-পা কাঁপতে থাকে। বিজ্ঞান বলছে এই ধরনের ঘটনা থেকে মানুষ চিরতরে পঙ্গু
বা প্যারালাইস হয়ে যেতে পারে। আপনি চাইলেই তুলসীর মালা গলায় ধারণ করে এইরকম
বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
তুলসী কাঠের মালা গলায় থেকে যদি কারো মৃত্যু হয়, সে যদি ভক্ত না হয়ে থাকে তবুও
তাকে নরকগামী হতে হবে না কারণ যার গলায় তুলসী কাঠের মালা থাকে তাকে জমেও স্পর্শ
করতে পারে না বরং দূর থেকে সেই তুলসী ধারী ব্যক্তি কে প্রণাম করে চলে যান স্বয়ং
যমরাজ। এখানে স্বাভাবিকভাবে মনে প্রশ্ন আসে তুলসীর মালা ধারণ করে মৃত্যুবরণ করলে
তার কি গতি হবে।
কেউ যদি তুলসীর মালা ধারণ করেও মায়াতে পড়ে কৃষ্ণকে ভুলে যায় তবুও তাকে নরকগামী
হতে হবে না। তবে তার সৎ গতি হবে পরের জন্মে ভগবান তাকে ভক্তের ঘরে জন্ম দিয়ে পাপ
মুক্ত হওয়ার সুযোগ দান করবেন। তুলসীর মালা গলায় থাকলে প্রতিদিন স্নান করার পর
মালার জল শরীরে স্পর্শ করলে আমাদের শরীর এমনই পবিত্র হয়ে যায়।
অনেকেই বলে থাকেন তুলসীর মালা গলায় থাকলে মিথ্যা কথা বলা যাবে না। হিন্দু
শাস্ত্র অনুসারে মিথ্যা কথা বলা মহাপাপ। তাই মিথ্যা কথা বলতে পারা বা না পারার
সাথে তুলসী মালার কোন সম্পর্ক নেই। একটু ভাবুন তুলসীর মালা ধারণ না করেও যদি
মিথ্যা বলা যদি মহাপাপ হয় তাহলে কোনটা ভালো যে কেউ বলবেন তুলসীর মালা ধারণ করে
মিথ্যা বলা ভালো। কারণ,
বেবি তুলসীর কৃপায় তুলসীর মালা ধারণকারী একজন মিথ্যাবাদীর মিথ্যার পরিমাণ আস্তে
আস্তে কমতে থাকবে। কোন এক সময় সেই ব্যক্তি শ্রী নারায়ণের পদপাদে নিজেকে
সম্পূর্ণ সমর্পণ করে মিথ্যা বলা পরিত্যাগ করতে সক্ষম হবেন। এই ভাবেই মিথ্যা বলা
ব্যক্তি ভগবানের প্রিয় পাত্র হতে পারেন পাশাপাশি তুলসীর কৃপায় তার সদগতি হবেন।
তুলসী মালা কেন পড়া হয় কেউ কেউ বলে থাকেন তুলসীর মালা ধারণ করে মাছ-মাংস তথা আমিষ
খাবার গ্রহণ করলে মহাপাপ হয়, আজ্ঞে হ্যাঁ কথাটি সত্য। বৈষ্ণব মতে আমিষ খাবার তথা
তাপসীক ভজন ঈশ্বর প্রাপ্তির সবচেয়ে বড় অন্তরাই। কোন কোন ক্ষেত্রে আমিষ
ভক্ষণকারীদেরকে পিচ্ছাছের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
ভাগবতে ভগবান বলেছেন যে আমার চেয়ে আমার নাম বড় আমার নামের চেয়ে আমার বড় এবং
আমার ভক্তের চেয়ে রক্তের চরণধূলি আরো বড়। এই ভাবেই ভগবান তার ভক্তকে সব সময়
উপরে রেখেছেন যে শুদ্ধ ভক্ত তার হাতে আপনার কন্ঠে তুলসীর মালা ধারণ করলে সেই
শুদ্ধ ভক্তের মাধ্যমে আপনার পাপ পরিত্রাণ করে থাকে।
প্রিয় পাঠক তুলসী মালা কেন পড়া হয় আশা করি বুঝতে পেরেছেন। তাই আসুন আমরা আট বছর
বয়স থেকে তুলসীর মালা কণ্ঠে ধারণ করি ও মুখে হরি নাম করি, তাহলে ভগবান আমাদের
সদগতি অবশ্যই করবে।
তুলসী মাহাত্ন্য
প্রিয় পাঠক এখন আমরা যেই বিষয়ে জানব তা হল তুলসী মাহাত্ন্য সম্পর্কে।
তুলসী মাহাত্ন্য
দৃষ্টাস্পৃষ্টাতথা ধ্যাতা কীর্ত্তিতা নমতা শ্রুতা।
রোপিতা সেবিতা নিত্যং পূজিতা তুলসী শুভা ৷৷
নবধা তুলসীং নিত্যং যে ভজন্তি দিনে দিনে।
যুগকোটী সহস্রাণি তে বসন্তি হরির্গৃহে ৷৷
তুলসী মাহাত্ন্য এর বাংলা অর্থ।
তুলসী সর্বমঙ্গলময়ী প্রত্যহ তুলসীর দর্শন,ম্পর্শন, ধ্যান, গুণকীর্তন, প্রণাম,
গুণ, শ্রবণ, রোপণ, জলসেচনাদি দ্বারা সেবন ও পূজা করলে সবরকমের কল্যাণ লাভ করা
যায়। এই নটি প্রকার বিধির মধ্যে তুলসী সেবা করলে সহস্র কোটী যুগ পর্যন্ত
বিষ্ণুলোকে বাস করা যায়।
তুলসী মাহাত্ন্য রয়েছে, তুলসীর দর্শনে পাপ ও রোগ নাশা হয়। স্পর্শের ফলে শরীর
শুদ্ধ হয়, জল সিঞ্চনে ভয় দূর হয়, রোপন করার ফলে ভগবদ্ভক্তি লাভ হয় এবং
শ্রীকৃষ্ণ চরণে অপূর্ণ করার ফলে পূর্ণভাগবৎ প্রেম লাভ করা যায়, সেই তুলসী দেবীর
চরণে সহস্র প্রণামী নিবেদন করি। প্রিয় পাঠক এই ছিল তুলসী মাহাত্ন্য।
তুলসী কাঠের মালা ধারণ বিধি
তুলসী কাঠের মালা ধারণ বিধি সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হলো। মা শব্দের অর্থ আমাকে,
লা ঋতুর অর্থ দান করা। হে হরি বলে ভে ! তুমি তুলসী কাষ্ঠ নির্মাতা বৈষ্ণবের
প্রিয়া, আমি তোমাকে কন্ঠে ধারণ করিতেছি। আমাকে শ্রীকৃষ্ণের সেবা দান কর। এই তুলসী
মালা যজ্ঞসূত্রের ন্যায় সর্বদাই ধারণ করিয়া রাখিতে হয়।
তুলসীকাষ্ঠমালাঞ্চ কষ্ঠস্থাং বাহতে তু যঃ
অপ্যশৌচোহপ্যানাচারো মামেবৈতি ন সংশয় ৷৷
যিনি সদাচার গ্রহণ করতঃ তুলসী কাঠের মালা ধারণ করেন, তিনি যদি কখনো কোন কারণ বশত
অসুচি বা অনাচারী হইয়া থাকেন, আমাকেই প্রাপ্ত হইবেন, ইহাতে কোন সংশয় নাই।
তুলসীকাষ্ঠমালান্ত প্রেতরাজস্য দূতকাঃ।
দৃষ্টা নশ্যন্তি দূরেণ বাতোদ্ধ তং যথা দলম্ ৷৷
তুলসীকাষ্ঠমালাভির্ভূষিতো ভ্রমতে যদি।
দুঃস্বপ্নং দুর্ন্নিমিত্তঞ্চ ন ভয়ং শস্ত্রজং ক্কচিৎ ৷৷
যমরাজের দূত সকল তুলসী কাষ্ঠের মালা দেখিয়া দূর হইতে বায়ুবিচলিত পত্রের ন্যায়
পালায়ন করে। যদি তুলসী কাষ্ঠের মালা ধারণ করিয়া কহে ভ্রমণ করে, তাহা হইলে তাহার
কোথাও দুঃস্বপ্ন, দুর্ঘটনা, ও শত্রুর জন্য ভয় থাকে না। প্রিয় পাঠক এই ছিল তুলসী
কাঠের মালা ধারণ বিধি
শেষ কথা
বন্ধুগণ, থাকি। শেষ কথা ই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল তুলসী সেবা তুলসী
মাহাত্ন্য তুলসী কাঠের মালা ধারণ বিধি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য আশা করি আপনি এই
আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। কোন কিছু বুঝতে না পারলে বা কোন তথ্য
জানার থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই
আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর
কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
শেষ কথা আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে
দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে তুলসী সেবা তুলসী মাহাত্ন্য তুলসী
কাঠের মালা ধারণ বিধি এর সমস্ত তথ্য পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।
ছেলেদের কাম শক্তি বৃদ্ধির ঔষধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত টি এই আর্টিকেলটি যদি
আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার আপনার বন্ধুবান্ধব আপনার
আত্মীয়-স্বজনদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url