টিউমার চেনার উপায় - কি খেলে টিউমার ভালো হয়
ভূমিকা
বন্ধুগণ আমাদের শরীরে অস্বাভাবিক ভাবে যে কোন স্থানে মাংসপিণ্ড কোষ বা টিস্যু যদি
বৃদ্ধি পায় তাহলে এটা টিউমার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। টিউমারের কথা শুনলে অনেকেই
ক্যান্সারের ভয় পেয়ে থাকে আসলে টিউমার এবং ক্যান্সার দুইটা আলাদা রোগ। আজকে
আমরা উক্ত পোস্টে টিউমার চেনার উপায় এবং কি খেলে টিউমার ভালো হয় এ সকল বিষয়
জানবো।
পোস্ট সূচিপত্রঃটিউমার শব্দটি আমরা কম বেশি অনেকেরই চিনি। আজকের আর্টিকেলে আপনাদের টিমার চেনার
উপায়, কি খেলে টিউমার ভালো হয়, ম্যালিগন্যান্ট টিউমার চেনার উপায়, টিউমার
সম্পর্কে এ টু জেড ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। প্রিয় পাঠক আপনি প্রথম থেকে শেষ
পর্যন্ত পড়ুন আশা করি টিউমার সম্পর্কে সঠিক তথ্য এই আর্টিকেলে খুঁজে পাবেন।
টিউমার চেনার উপায়
টিউমার সকল প্রাণীরই হয়ে থাকে। আমরা অনেকেই চিনি না টিউমার কেমন জিনিস বা টিউমার
দেখতে কেমন হয় উক্ত আর্টিকেলে আমরা টিউমার চেনার উপায় জানব। আমাদের শরীরে নতুন
করে কোন কোষ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এরকম যদি আপনি দেখতে পান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের
কাছ থেকে পরামর্শ নিবেন হতে পারে এটা টিউমার।
টিউমার নরম তুলতুলে হয়ে থাকে। টিউমার সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে। ১ হিস্টোমা
বা কানেকটিভ। ২ সাইটোমা। ৩ টেরাটোমা বা মিক্সড সেল টিউমার। বিশেষজ্ঞরা হিস্টোমা
টিউমারকে দুইটি রূপ দিয়েছে।
- বেনাইন টিউমার।
- ম্যালিগন্যান্ট টিউমার।
বেনাইন টিউমার
বেনাইন টিউমার, মূলত এই টিউমার খুব জটিল নয়। এই বেনাইন টিউমার ক্যান্সারের
ঝুঁকিবিহীন বেনাইন টিউমার নরম তুলতুলে এবং শক্ত হয়ে থাকে। বেনাইন টিউমার থেকে
ক্যান্সার না হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বেনাইন টিউমার আস্তে আস্তে মাংস কোষ বৃদ্ধি
পায় এই টিউমারে চাপ দিলে কোন ব্যাথা অনুভব করা যায় না।
তবে এক পর্যায়ে এটা অপারেশন করলে সম্পূর্ণভাবেবেনাইন টিউমার ভালো হয়ে যাবে আশা
করা যায়। এটা স্বাভাবিক টিউমার এই টিউমার শরীরের ওপর কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে
না।
ম্যালিগন্যান্ট টিউমার
ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যদি হয় তাহলে এই টিউমার মানুষের শরীরের পক্ষে বেশ
ঝুঁকিপূর্ণ। এই ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যদি হয় তাহলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেশি।
ম্যালিগন্যান্ট টিউমার মানুষের শরীরে পরজীবী হিসেবে সৃষ্টি হয়। এই টিউমার যদি
হয় দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন শরীরের সকল পুষ্টি, কোষ, রক্তনালীর উপর নির্ভর করে
বেঁচে থাকে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার।
ম্যালিগন্যান্ট টিউমার শরীরের যেকোন স্থানে দেখা দিতে পারে এই টিউমারে উপর চাপ
দিলে ব্যথা অনুভব হয়। খুব দ্রুত গতিতে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার মানব শরীরে বৃদ্ধি
পায়। শরীরের অন্যান্য স্থানে এই টিউমার ছড়িয়ে পড়ে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের
জন্য দ্রুত দীর্ঘ চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন।
কি খেলে টিউমার ভালো হয়
আমরা সাধারণত যে সকল খাবার খেয়ে থাকি সকল খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকমের
নিজস্ব পুষ্টিগুণ। আমাদের দেহের চাহিদা অনুযায়ী সকল খাবার পরিমান মত খেতে হবে।
কিছু কিছু খাদ্য রয়েছে যেগুলো খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে নানান রকম বিষক্রিয়া
দেখা দেয়। এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব কি খেলে টিউমার ভালো হয়।
বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞান এখন অনেক উন্নত, চিকিৎসার মাধ্যমে অতি সহজে যে কোন
রোগের রোগ প্রতিরোধ করা যায়। উক্ত পোস্টে টিউমার সম্পর্কে আলোচনা, ডিজিটাল যুগে
মেডিসিনের মাধ্যমে টিমের চিকিৎসা করা হয়। প্রতিটি মেডিসিনে রয়েছে উপকারিতা এবং
অপকারিতা। মাত্রা ছেড়ে যদি বেশি সেবন করেন তাহলে নানান রকম সমস্যা হতে পারে।
দ্রুত টিউমার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শুধু মেডিসিন এর উপর নির্ভর করে থাকার
পাশাপাশি প্রকৃতি থেকে পাওয়া কিছু কিছু খাবার খেতে হবে। প্রকৃতি থেকে পাওয়া যে
সকল খাদ্য রয়েছে সেগুলো খেলে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না অনেক খাবার রয়েছে
যেগুলো খেলে টিউমার থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং আমাদের শরীরের পক্ষে অনেক
উপকারী।
প্রকৃতি থেকে বা কিছু কিছু খাদ্য রয়েছে যেগুলো খেলে দ্রুত টিউমার থেকে মুক্তি
পাওয়া যায় চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সকল খাদ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
মাশরুম
মাশরুম এর মধ্যে আনেক পুষ্টি গুনে ভরা মাশরুমের মধ্যে অনেক পরিমাণে ভিটামিন
রয়েছে। মাশরুম খাওয়ার ফলে টিউমার ভালো হয়। আমাদের শরীরের যদি কোন টিউমার থাকে
তাহলে এটি টিউমারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। মাশরুম মধ্যে ১০ টি অত্যাবশ্যকীয়
অ্যামাইনো এসিড যেগুল আমাদের দেহের পক্ষে আনেক উপকারী।
প্রতি 100 গ্রাম মাশরুমে ৩০ থেকে ৩৫ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। যেখানে প্রতি ১০০
গ্রাম মাছ মাংস ও ডিম থেকে মাশরুম এর মত এত প্রোটিন পাওয়া যায় না। প্রতি 100
গ্রাম ওজন এর মধ্যে মাছে রয়েছে ১৬ থেকে ২২ গ্রাম, মাংস তে রয়েছে ২২ থেকে ২৫
গ্রাম, ডিমেতে রয়েছে ১৩ গ্রাম করে প্রোটিন পাওয়া যায়। এখানে সবচাইতে মাশরুম এর
মধ্যে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। মাশরুম খেলে টিউমার ভালো হয়।
সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজি
প্রিয় পাঠক আমরা আলোচনা করছি কি খেলে টিউমার ভালো হয় ? সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজি
খেলে টিউমার ভালো হয়। সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজির মধ্যে কোনগুলো অন্যতম চোলন জেনে
নেওয়া যাক। কলার্ড গ্রীন , লাল পালং, হেলেঞ্চ, লেটুস, আরুগুলা প্রভুতি দেশি
জাতীয় শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।
এগুলো শাকসবজিতে রয়েছে মিনারেল ও এন্টি অক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট টিউমারের
বিরুদ্ধে বেশ ধারণা লড়াই করে ফলে দ্রুত টিউমার ভালো হয়। শাকসবজি শুধু টিউমারের
জন্য রোগ প্রতিরোধ করে না, শাক-সবজি খাওয়ার ফলে নানান সমস্যার সমাধান হয়।
কার্বোযুক্ত সবজি যেমন বাঁধাকফি, ফুলকফি, লাল গম, ওলকফি
হলুদ
নিয়মিত হলুদ খাওয়ার ফলে টিউমার ভালো হয়ে যায়। হলুদ খালি খাওয়া যায় না হলুদ
মূলত মসলা জাতীয় খাবার। হলুদ সাধারণত রান্না করতে তরকারিতে ব্যবহার করে খেতে
পারেন। হলুদ খুব গুরুত্বপূর্ণ মসলা না খাওয়ার ফলে টিউমারের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন। হলুদ খাওয়ার ফলে মানবদেহে অ্যান্টিঅক্সাইড
হিসেবে কাজ করে আর অ্যান্টিঅক্সাইড ক্যান্সার এবং টিউমার এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ
করে। এই জন্য আমাদের বেশি বেশি হলুদ খাওয়া বিশেষ প্রয়োজন।
দুধ জাতীয় খাবার
দুধ সাধারণত তরল ক্যালসিয়াম পুষ্টিতে ভরপুর তরল পদার্থ। দুধ যুক্ত খাবার যেমন টক
দই , টক দই প্রোবায়োটিক ভালো ব্যাক্টরিয়ার উৎস। প্রোবায়োটিক টিউমারের বিরুদ্ধে
বেশ দারুন লড়াই করে। গরু ছাগল এর দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সালফার স্যাচুরেটেড
ফ্যাট। এছাড়াও গরু ছাগল এর দুধের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি।
ভিটামিন ডি মানব শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় প্রমাণিত
ক্যালসিয়াম রেকটালসহ ক্যান্সারের প্রতিরোধ করে।
মাছ
আমরা মাছে ভাতে বাঙালি এই প্রথাটা প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত। বিশেষজ্ঞদের মতে মলা
ও ঢেলা মাছের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল। মলা ও ঢেলা মাছ
খাওয়ার ফলে আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি জন্য বেশ উপকারী।
এছাড়াও গবেষণায় প্রমাণিত মাছে ওমেগা ৩ রয়েছে ফ্যাটি এসিড আর অ্যান্টিটিউমার ও
আন্টি ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন যা কেমোথেরাপি পার্শ্বপ্রতিকা ঠেকাতে এর
ভূমিকা অপরিসীম।
ব্রোকলি
ব্রোকলি সবুজ রঙের এই সবজিটি বিভিন্ন রকমের পুষ্টিগুণে ভরপুর। ব্রোকলি সবজি
খাওয়ার ফলে টিউবার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
সিম
সিম এর মধ্যে রয়েছে নানান রকমের ভিটামিন যা মানব শরীরে বিভিন্ন ঘাটতি পূরণ করে।
আপনি যদি প্রতিদিন খাবারের সাথে সিম সবজি খান তাহলে আপনার ক্যান্সার হওয়ার
সম্ভাবনা খুব কম।
গাজর
গাজরে নানান রকমে ঔষধি এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি। গাজর খাওয়ার ফলে বহু রোগের
নিরাময় হয়। কি খেলে টিউমার ভালো হয় এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর হলো গাজর আপনি বেশি
বেশি করে গাজর খাবেন।
ম্যালিগন্যান্ট টিউমার চেনার উপায়
প্রিয় পাঠক আমরা অনেকেই ম্যালিগন্যান্ট টিউমার চিনিনা। এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা
ম্যালিগন্যান্ট টিউমার চেনার উপায় এবংম্যালিগন্যান্ট টিউমার সম্পর্কে এ টু জেড
ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন আশা করি সকল সঠিক
ধারণা পাবেন। শুরু করা যাক ম্যালিগন্যান্ট টিউমার চেনার উপায়।
সাধারণত তামাক জাতীয় দ্রব্য খাওয়ার ফলে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার হয়।
ম্যালিগন্যান্ট টিউমার নিরেট বা শক্ত হয়, খুব দ্রুত বড় হয়। ম্যালিগন্যান্ট
টিউমার উপর চাপ দিলে ব্যথা অনুভব হয়। ম্যালিগন্যান্ট টিউমার আঘাত করলে
অস্ত্রোপচার করলে হ্মতি হয় এবং ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
ম্যালিগন্যান্ট টিউমার অস্বাভাবিক কোনো অবতরণ দ্বারা আবৃত থাকে না যার ফলে খুব
দ্রুত বৃদ্ধি পায়। শরীর থেকে বের হওয়া রক্তের মাধ্যমেও ম্যালিগন্যান্ট টিউমার
ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিলে অল্প কিছুদিনের জন্য ভাল হয় কিছুদিন পর
পুনরায় দেখা দেয়। এই টিউমার ভালো করার জন্য দীর্ঘ চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন।
শেষ কথা
বন্ধুগণ, থাকি। শেষ কথা ই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল টিউমার চেনার উপায় এবং
কি খেলে টিউমার ভালো হয় আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন।
কোন তথ্য জানার জানার থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই
আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর
কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
শেষ কথা আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে
দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে টিউমার চেনার উপায় এবং কি খেলে
টিউমার ভালো হয় পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন
পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url