ব্রয়লার মুরগির ডিমের উপকারিতা ক্ষতিকার দিক পড়ুন
ভূমিকা
ডিম খুব ভালো একটি পুষ্টিকর খাবার। সবার উচিত স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত
ডিম খাওয়া। ডিমের মধ্যে শরীরের উপযোগী প্রায় সব ধরনের উপাদান রয়েছে, তাছাড়া
ডিম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। আজকে আমি আপনাদের মাঝে
ব্রয়লার মুরগির ডিমের উপকারিতা ক্ষতিকার দিক নিয়ে আলোচনা করব।
পোস্ট সূচিপত্রঃপ্রিয় পাঠক আশা করি ভালই আছেন। প্রতিদিনের মতো আজকেও আর
এই একটি নতুন ব্লগ আর্টিকেল নিয়ে হাজির হয়েছি। এই আর্টিকেলটি মূলত ব্রয়লার
মুরগির ডিমের উপকারিতা ক্ষতিকার দিক এবং ব্রয়লার মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে এই
সকল সমস্ত তথ্য যদি আপনি গুগলে খুঁজে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য এবং মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি সীমা এটি
ওয়েবসাইটে সকল সঠিক তথ্য খুঁজে পাবেন। প্রিয় পাঠক কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক
ব্রয়লার মুরগির ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
ব্রয়লার মুরগির ডিমের উপকারিতা
শিশু থেকে শুরু করে বয়জ্যিষ্ঠ লোক সকলেই ডিম খেতে পছন্দ করেন। আবার অনেকেই
রান্নার ঝামেলা এড়াতে রুটির সাথে ডিম পোচ করে খেয়ে থাকেন। শরীর দুর্বল হলে
ডাক্তার ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ডিমের মধ্যে প্রোটিন রয়েছে অন্যান্য
প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের তুলনায় এর দাম কম। কিন্তু ডিম যদি হয় বয়লার মুরগির
তাহলে ঘটে অন্যটা।
ব্রয়লার মুরগির খাবারে গম, ভুসি, ভুট্টা, না নানা রকম খনিজ পদার্থ, খোল, শামুকের
গুঁড়া, শুটকি মাছের গুড়া, আরো অনেক কিছুর সংমিশ্রনের সাথে দেওয়া হয় নানান রকম
ভিটামিন, এছাড়াও অতি তাড়াতাড়ি মুরগির মাংস বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এবং ডিম উৎপাদনের
ক্ষেত্রে নানান রকমের কেমিক্যাল এবং অ্যান্টিবায়োটি খাওয়ানো হয়।
মুরগিকে কি খাওয়ানো হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে ডিমের পুষ্টিগুণ হয়। প্রিয় পাঠক
এই আর্টিকেলে ব্রয়লার মুরগির ডিমের উপকারিতা জানতে পারবেন। একটি ব্রয়লার মুরগির
ডিমের ওজন ৫৫ থেকে ৭০ গ্রাম। ব্রয়লার মুরগির ডিমের শক্তির পরিমাণ ১৮০ থেকে ১৯০
ক্যালরী। দেশি মুরগির থেকে ব্রয়লার মুরগির ডিম এবং কুসুম বড় হয়।
অন্যান্য ডিম থেকে আমরা যে সকল পুষ্টিগুণ উপাদান পাই সাধারণত ব্রয়লার মুরগির ডিম
থেকেও আমরা একই পুষ্টিগুণ উপাদান পায়। তাই নতুন করে বলার কিছুই নাই আবার আছে
ব্রয়লার মুরগির ডিম খাওয়ার ফলে কিছু ক্ষতিকার দিক রয়েছে তা জানতে হলে নিচে
লেখাগুলো কোন সন্ধান করুন।
ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকার দিক
প্রিয় পাঠক এখন আপনাদের ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকার দিক সম্পর্কে ধারণা
দেওয়ার চেষ্টা করব। ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকার দিক সম্পর্কে জানতে হলে নিচের
লেখা গুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
ব্রয়লার মুরগির ডিমে বা ফার্ম এর মুরগির ডিম খেলে বিপদও ঘটতে পারে। মুরগির মাংস ও
ডিমের চাহিদা বেশি থাকায় খামারিরা এর উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের খারাপ উপায়
অবলম্বন করছে। কৃত্রিম এই উপায় গুলো ভক্ষকদের জন্য বয়ে আনছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
ব্রয়লার মুরগি কে যেই খাবার দেওয়া হয় তাহলে চামড়া শিল্পের বর্জ্য।
এ সকল বর্জে আছে বিষাক্ত ক্রমিইয়াম যা মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। মুরগির মাংস
ও ডিম রান্না করলেও এই ক্রমিয়াম নষ্ট হয় না। কারণ এর তাপ সহনীয় ক্ষমতা হল ২৯০০
ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, আর আমরা রান্না করি ১০০ থেকে ১৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে। ফলে
এই বিষাক্ত ক্রোমিয়াম ব্রয়লার মুরগির মাংস ও ডিম থেকে আমাদের দেহের সরাসরি
প্রবেশ করে।
কিডনি, লিভার, শরীরের বিভিন্ন ধরনের অঙ্গ পতঙ্গ ধীরে ধীরে অকেজো করছে যা আমরা
সাথে সাথে বুঝতে পারি না। এছাড়াও এই বিষাক্ত ক্রোমিয়াম দেহের কোষ নষ্ট করে
দেয়, যা পরবর্তীতে ক্যান্সার সৃষ্টি করে। বিশেষজ্ঞদের মতে একজন মানুষ প্রতিদিন
৩৫ মাইক্রোগ্রাম গ্রহণ করতে পারে। এর বেশি হলে তা দেহের জন্য ক্ষতিকর।
আমরা যদি প্রতিদিন ব্রয়লার মুরগির ডিম খাই তাহলে আমাদের দেহে প্রবেশ করছে প্রায়
৪০ মাইক্রোগ্রাম ক্রোমিয়াম যা অনেক বেশি। এই ক্রোমিয়াম বাদেও মুরগিকে দেওয়া হয়
অনেক ধরনের এন্টিবায়োটিক। কৃষি গবেষকদের মতে এই সকল এন্টিবায়োটিক মুরগির মাংস ও
দিবে অল্প পরিমাণে হলেও থেকে যায়।
আর এই সমস্ত এন্টিবায়োটিক মুরগির মাংস ও ডিম খাওয়ার ফলে আমাদের দেহে প্রবেশ করে
এবং আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। প্রাণিসম্পদ এক প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে বেশিরভাগ ফার্ম এর মুরগিতে রয়েছে এমন সব মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া ও
জীবাণু, যা মানব দেহের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
ব্রয়লার মুরগির দেহে হিউম্যান এন্টিবায়োটিক দেয়া হয়, এতে মুরগি তাড়াতাড়ি বড়
হয় ফলে বেশি খাবার দেওয়ার দরকার হয় না। আর দানাদার যেসকল খাবার দেওয়া হয়
তাতেও মেশানো হয় নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ। তাই এ সকল মুরগির মাংস ও ডিম খেলে
মানুষের শরীরে নানান রকম বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
সবশেষে বলতে হয় আমাদের ফার্ম ও ব্রয়লার মুরগির ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত
এর পরিবর্তে আমরা দেশি মুরগি বা হাঁসের ডিম খেতে পারি। প্রিয় পাঠক, এই ছিল
ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকার দিক। জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে এই পোস্টটি পরিচিতদের
কাছে শেয়ার করুন।
ব্রয়লার মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে
ব্রয়লার মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে? জানতে হলে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে
পড়তে থাকুন। চলুন আজেবাজে কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক ব্রয়লার মুরগির ডিমে কি
এলার্জি আছে, না নেই? এলার্জি এটি একটি ব্যক্তির পার্সোনাল রোগ। এলার্জি সকলের
শরীরে নেই আবার অনেকের শরীরে আছে।
কোন কোন মানুষের ক্ষেত্রে হাঁসের ডিম খাওয়ার ফলেও এলার্জি হয়। আবার কোন কোন
মানুষের ক্ষেত্রে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার ফলে ও এলার্জি হয়। আবার কোন কোন
মানুষের ক্ষেত্রে মুরগির ডিম খাওয়ার পরে এলার্জি হয়। আসলে এটা নির্ভর করে সেই
ব্যক্তি কোন জিনিস খেলে এলার্জি হচ্ছে সেই জিনিস খাওয়া বর্জন করা উচিত।
আশা করি ব্রয়লার মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে না নেই তার পুরো ধারনা পেয়ে
গিয়েছেন। জনসচেতনতার বৃদ্ধিতে এই পোস্ট পরিচিতদের কাছে শেয়ার করুন।
সতর্কবার্তা
অতিরিক্ত কোন কিছু খাওয়া আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক এটা কম বেশি আমরা অনেকেই
জানি, ঠিক তেমনি ডিম অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কোলেস্টরেলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় তাই
অতিরিক্ত ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
আমাদের নিজেদের শরীর নিজেদেরই যত্ন নিতে হবে, তাই আমাদের শরীরের জন্য কোনটা উপকার
আর কোনটা ক্ষতিকর এই সকল সমস্ত তথ্য সীমা আইটি ওয়েবসাইটে স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা
বিষয়ক আর্টিকেলে জানতে পারবেন।
শেষ কথা
বন্ধুগণ, থাকি। শেষ কথাই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল ব্রয়লার মুরগির ডিমের
উপকারিতা ক্ষতিকার দিক এই সকল তথ্য আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে
পেয়েছেন। কোন কিছু বুঝতে না পারলে বা কোন তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে
যোগাযোগ করতে পারে।
অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে
অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো
লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
শেষ কথা আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে
দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে ব্রয়লার মুরগির ডিমের উপকারিতা
ক্ষতিকার দিক এর সমস্ত তথ্য পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন এরকম
নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট
ফলো
করুন, ধন্যবাদ।
ব্রয়লার মুরগির ডিমের উপকারিতা ক্ষতিকার দিক বিস্তারিত জেনে নিন এই আর্টিকেলটি
যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার আপনার বন্ধুবান্ধব আপনার
আত্মীয়-স্বজনদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url