ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি কি - ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজন

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আশা করি ভালই আছেন। প্রতিদিনের মতো আজকেও আরেকটি নতুন ব্লগ আর্টিকেল নিয়ে চলে এসেছি। আজকের আর্টিকেলটি মূলত ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি কি, ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজন, ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি কি, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি, ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি কি - ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজন

পোস্ট সূচিপত্রঃনতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি? ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানতে হলে এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি সীমা আইটি ওয়েবসাইটে সকল সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য খুঁজে পাবেন। কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক আজকের ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি কি - ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজন নিয়ে।

ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি কি

ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) বলতে বোঝায় মুক্ত পেশা, আর ফ্রিল্যান্সার বলতে বোঝায় যিনারা অনলাইনে কাজ করেন তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয় অর্থাৎ স্বাধীন কাজ করার অধিকারী। প্রিয় পাঠক প্রতিটি জিনিসের ভালো-মন্দ দুইটি দিক আছে, তবে ফ্রিল্যান্সিং করার অনেক সুবিধা রয়েছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি কি?

ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি কি
  • খুবই সাধারণ প্রযুক্তিগত দক্ষতা নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায়।
  • ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য খুব কম ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ম্যাটার করে।
  • ফ্রিল্যান্সিং কাজে আপনার কোন বস থাকবে না।
  • ফ্রিল্যান্সিং এটি একটি মুক্ত পেশা, কোন কাজ করবেন আর কোন কাজ করবেন না এবং কোন সময় করবেন এটি বেছে নেওয়ার পুর স্বাধীনতা আপনার আছে।
  • যেকোনো চাকরিতে বছর শেষে বাড়লেও বাড়তে পারে তার পরিমাণ হবে খুব সামান্য কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করলে আপনি চাইলে বেশি পরিশ্রম করলে বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
  • আপনি ইচ্ছামত ব্রেক নিতে এবং কাজ করতে পারবেন।
  • যেখানে খুশি আপনি সেখানে বসে থেকে কাজ করতে পারবেন।
  • পড়াশোনার পাশাপাশি আপনি কি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
  • ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে প্রচুর শিখার সুযোগ আছে, দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে ধীরে ধীরে ইনকাম করতে পারবেন।
  • আপনি যখন মাল্টিলেভেল এর দিলে দক্ষ হয়ে যাবেন তখন আপনি যদি আইটি ফ্রম বা কোম্পানি খুলেন তাহলে আপনার ইনকাম আরো বাড়বে।
  • আপনার বাহিরের শত্রু কমে যাবে।
  • আপনি চাইলে দলগত ভাবে কাজ করতে পারবেন এবং এককভাবে কাজ করতে পারবেন।
  • আপনার স্কিল যেত বাড়বে আপনার ভ্যালু তত বাড়বে।
প্রিয় পাঠক ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি কি তাই কি মধ্যে আমরা জেনে গিয়েছি। সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধা কি কি?

ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধা কি কি
  • ফ্রিল্যান্সিং কাজের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো সময়। আপনি একজন পরিপূরক ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে এবং মাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে গেলে প্রচুর সময় দিতে হবে।
  • ফ্রিল্যান্সিং কাজে কোন নির্দিষ্ট ইনকাম নেই। চাকরিতে যেমন মাস শেষে নির্দিষ্ট ইনকাম পাওয়া যায় কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ে সেই রকম নির্দিষ্ট কোন নেই কোন মাসে বেশি হবে কোন মাসে কম হবে আপনার কাজের উপর।
  • ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে মানুষের ধারণা না থাকার কারণে এটিকে মানুষ মর্যাদার সাথে দেখেনা।
  • আপনাকে নিশাচর হয়ে যেতে হবে, কারণ আপনার যখন পিকোয়ার তখন তাদের দেশে ঘুমানোর সময়। যখন আপনার ঘুমানোর সময় তখন আপনাকে কাজ দিবে। আপনাকে সুযোগসন্ধানী হতে হবে প্রতিমুহূর্তে কাজের সুযোগর সুযোগ খুঁজে বের করতে হবে।
  • এই পেশায় ফাঁকি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, আপনি যদি ফাঁকি দিতে চান তাহলে আপনি অবশেষে নিজেই ফাঁকিতে পড়বেন।
  • আপনাকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কাজ শিখতে হবে।
  • মোবাইল ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় না।
  • আপনার নেট কানেকশন এবং ইলেকট্রিসিটি বিষয়ে ইনভেস্ট করতে হবে।
  • আপনি কারো সাথে মেশার সুযোগ পাবেন না। যারা আড্ডাবাজ, আমাদের সঙ্গ প্রিয়, ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দিতে পছন্দ করেন তারা এই কাজে না আসাই ভালো।
  • ফ্রিল্যান্সিং এর দুনিয়া কম্পিউটার এর ডেক্স এর ভিতর বন্দী।
প্রিয় পাঠক এই ছিল ফ্রিল্যান্সিং কাজ এর সুবিধা এবং অসুবিধা।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজন

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজন এটা আসলে অনেক জনের কাছে অনেক রকম কিছু মনে হয়, এই আর্টিকেলে আপনাদের ধাপে ধাপে বোঝানোর চেষ্টা করব। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজন আপনি প্রথম থেকে কেমন ভাবে শুরু করবেন না বুঝতে পারলে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।


ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজন ল্যাপটপ অথবা ডেক্সটপঃ প্রিয় পাঠক ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য প্রথমত আপনার ইন্টারনেট সংযুক্ত একটি ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ থাকতে হবে। ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু কিছু কাজ করা যায় এবং অনেক কাজ করা যায় না, এর জন্য ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ এর প্রয়োজন।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজন বার্ষিক কম্পিউটার স্কিলঃ প্রিয় পাঠক ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রথমত আপনাকে যে অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন সেটি হল বার্ষিক কম্পিউটার স্কিল। কম্পিউটারের যাবতীয় তথ্য জানা না থাকলে আপনর ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার কষ্টসাধ্য হয়ে উঠবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজন সঠিক গাইডলাইটঃ প্রিয় পাঠক প্রথম অবস্থায় ফিন্যান্সিং করার জন্য ফিনান্সিং শিখতে হবে ভালো আইডি ফ্রাম। কোন আইডির নামে কেমন গাইডলাইন দেয় এবং আপনি কি বিষয়ে কাজ করতে চান সেটি নির্ধারণ করে তাদের থেকে কাজের শিক্ষা গ্রহণ করা।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজন কাজের পোর্টফোলিওঃ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনি যেই বিষয়ে কাজ করতে চান সেই বিষয়ের একটি আইটি বা আইডি অথবা একাউন্ট থাকতে হবে। আপনি যেই বিষয়ের উপর কাজ শিখেছেন সেই বিষয়টি অনলাইন অনলাইন প্লাটফর্মে তুলে ধরা।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্যঃ প্রিয় পাঠকভি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং কাজে পরিশ্রম করলে অবশ্যই ফল পাওয়া যাবে, এজন্য আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরে এবং ইচ্ছাশক্তি নিয়মিত কাজ করে যেতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজন কৌশল অবলম্বনঃ অনলাইন জগতে কাজ করার অনেক কৌশল রয়েছে, তার মধ্যে মূল হলো আপনি যে বিষয়ে কাজ করছেন সেই কাজের সঠিক সময় এবং সঠিক কৌশল সম্পর্কে ধারণা থাকা। এর জন্য আপনাকে আপনি যেখান থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখেছেন সেখান থেকে সঠিক গাইডলাইন নেওয়া।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজন সার্টিফিকেটঃ আপনি যেই আইডি ফার্ম থেকে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স কমপ্লিট করেছেন সেই আইটি ফার্ম থেকে কোর্স শেষে সার্টিফিকেট গ্রহণ করে নিবেন। সার্টিফিকেট ছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা যায় তারপরও সার্টিফিকেট থাকলে ৭০% কাজ পাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

প্রিয় পাঠক আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে উপরে যে সকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে সাধারণত এইগুলো ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজন। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই বন্ধুদের কাছে শেয়ার করবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার

মূলত মুক্ত পেশার, এটিকে অন্যভাবে প্রকারভেদ করা একটু মুশকিল তারপরও বিভিন্নভাবে ফ্রিল্যান্সিংকে ভাগ করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার সাধারণভাবে ফ্রিল্যান্সিং কে ২ ভাগে ভাগ করা যায় অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং এবং অফলাইন ফ্রিল্যান্সিং। এখন প্রশ্ন আসতে পারে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং কি অফলাইন ফ্রিল্যান্সিং কি?

অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংঃ অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মূলত ফ্রিল্যান্সিং এর এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো ল্যাপটপ অথবা ডেক্সটপে ইন্টারনেটের সাহায্যে অনলাইনে থেকে করতে হয় একে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং বলে।


অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে যেগুলো রয়েছে যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন, ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং ,মার্কেটিং এর কাজ, আর্টিকেল লেখার কাজ, এডমিন সাপোর্ট এর কাজ, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ ইত্যাদি সাধারণত এইগুলোই ফ্রিল্যান্সিং এর অনলাইন ভিত্তিক কাজ।

অফলাইন ফ্রিল্যান্সিংঃ অফলাইন ফ্রিল্যান্সিং বলতে ল্যাপটপ অথবা ডেক্সটপ ইন্টারনেট ছাড়া শরীরের মূল শক্তি দিয়ে যেই সকল কাজ করা হয় তাকেই অফলাইন ফ্রিল্যান্সিং বলে। অফলাইন ফ্রিল্যান্সিং অর্থাৎ নিজের ইচ্ছামত যেই সকল কাজ রয়েছে তাকেই অফলাইন ফ্রিল্যান্সিং বলেন। যেমন রিকশা চালানো, বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য করা, বিভিন্ন রকমের কাজ করা ইত্যাদি।

প্রিয় পাঠক ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার, উপরে উল্লেখিত যে সকল কাজের কথা তুলে ধরা হয়েছে এতক্ষণ তা আপনারা হয়তো করে নিয়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন ফ্রিল্যান্সিং এর প্রকারভেদ।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি কি

ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানার পর অধিকাংশ মানুষ উত্তর খুঁজতে থাকে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি কি? ফ্রিল্যান্সিংয়ে অনেক অনেক কাজ রয়েছে যার মধ্যে থেকে আপনাকে যে কোন একটি কাজ বেছে নিতে হবে যেটার প্রতি আপনার নিজের প্রতি সহনশীলতা রয়েছে।

এমন কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজ বেছে নিবেন না যাতে আপনার কাছে বিরক্তি কর বড়িং মনে হয় কিন্তু শুধুমাত্র চাহিদা বেশি আছে দ্বিধায় করছেন। মন থেকে যেটা ভালো লাগবে সেটা করলেই ফল পাবেন কারন ফ্রিল্যান্সিং সকল কাজে প্রচুর সময় দিতে হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি কি

গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে জনপ্রিয় ও অন্যতম একটি কাজ। আপনি আপনার আশেপাশে যত কিছু দেখেন সব কিছুরই একটা ডিজাইন করা থাকে। প্রতিদিন বিশ্বব্যাপী ডিজাইন করার অনেক চাহিদা রয়েছে এবং দিনে দিনে বাড়ছে। ডিজাইন এর মধ্যে অনেক রকমের কাজ রয়েছে।

ডিজিটাল মার্কেটিংঃ অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজের ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভূমিকা অপরিসীম কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভিতরে অনেক রকমের কাজ রয়েছে। যেমন ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, আর্টিকেল রাইটিং, ইত্যাদি ইত্যাদি।

ওয়েব ডিজাইনঃ ভিল্যান্সিং এর ভেতর ওয়েব ডিজাইন একটি অন্যতম কাজ। আপনি যদি কোডিং এ ভালো হয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই ওয়েব ডিজাইন কাজ করতে পারেন।

ওয়েব ডিজাইন এর কাজের মধ্যে অনেক রকমের কাজ রয়েছে, আপনাকে যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি নানান রকমের সফটওয়্যার, ট্রান্সলেটর তৈরি করতে হতে পারে। এই ধরনের কাজ করে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। প্রিয় পাঠক ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি কি তাই ইতিমধ্যেই আমরা জেনে গিয়েছি।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

প্রিয় পাঠক আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করতে চাচ্ছেন কিন্তু বুঝতে পারছেন না ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি বা কোন কাজ করলে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন জানতে হলে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে যে সকল কাজ রয়েছে তুলনামূলক সকল কাজের চাহিদা উনিশ বিশ।


আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে যেকোনো একটি কাজ বেছে নিয়ে প্রতিনিয়ত করতে থাকেন তাহলে অবশ্যই ফল পাবেন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে বেশিরভাগ মানুষই যে সকল কাজ বেশি পছন্দ করে থাকেন বা যেই সকল কাজের বেশি চাহিদা রয়েছে তা নিচে তুলে ধরা হলো।

ডিজিটাল মার্কেটিংঃ এই মুহূর্তে ফ্রিল্যান্সিংয়ে সবচাইতে বেশি চাহিদা রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে। এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেশ কিছু ছাপ ক্যাটাগরি রয়েছে যেমন SEO, কনটেন্ট মেকিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, PPC অর্থাৎ প্লে আর ক্লিক, আর্টিকেল রাইটিং রয়েছে, ইত্যাদি এইগুলো কাজের চাহিদা বেশি।

ভিডিও এডিটিংঃ ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা অনেক বেশি। বর্তমানে আমাদের দেশের যে সকল টিভি চ্যানেল রয়েছে টিভি চ্যানেলের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে এছাড়াও আরো অনেক মাধ্যম রয়েছে যেমন কনটেন্ট ক্রিয়েটর সেগুলোর হিউজ পরিমাণে ভিডিও এডিটর এর প্রয়োজন হয়।

গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ বর্তমান সময়ে গ্রাফিক ডিজাইনের চাহিদা অনেক আনেক বেশি। অনলাইন থেকে নিজের ভবিষ্যত ক্যারিয়ার করতে চান তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ করতে পারেন।

ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ বর্তমান সময়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে। ওয়েব ডেভেলপমেন্টে অনেক বড় বড় কাজ পাবেন যেগুলোর এমাউন্ট অনেক বেশি।

অ্যাপ ডেভেলপমেন্টঃ প্রিয় পাঠক বর্তমান সময়ে অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের চাহিদা অনেক বেশি বাড়ছে। ফ্রিল্যান্সিং থেকে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কাজ শিখে হিউজ পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই।

ডাটা এন্ট্রিঃ ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে এই কাজটা খুবই সহজ, এই কাজের ও অনেক চাহিদা রয়েছে এবং আগামী বেশ কয়েক বছর এই ডাটা এন্ট্রি কাজের চাহিদা থাকবে। আপনি যদি এই সহজ কাজ শিখে আপ ওয়ার্ক বা ফাইবার থেকে কাজ করে টাকা ইনকাম করবেন তাহলে এই ডাটা এন্ট্রি কাজ করতে পারেন।

2D অ্যানিমেশনঃ ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে 2D অ্যানিমেশন এই কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে আপনি চাইলে করতে পারেন।

Ui/Ux ডিজাইনঃ ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে Ui/Ux ডিজাইন এই কাজের অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে এবং এই কাজের অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

প্রিয় পাঠক ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি, উপরে উল্লেখিত যে সকল কাজ রয়েছে এই সকল কাজ এর চাহিদা বেশি।

ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি

প্রিয় পাঠক টাকা ইনকাম করা এত ইজি ব্যাপার না আপনাকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে যে সকল কাজ রয়েছে সফল কাজেই পরিশ্রমের ফলে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে যেই সকল কাজ রয়েছে তার মধ্যে যেগুলো সহজ কাজ সেই কাজগুলো এক নজরে দেখে নিন। ভিডিও এডিটিং, বাংলা আর্টিকেল রাইটিং, কনটেন্ট রাইটিং, ফটোগ্রাফার, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার, ডাটা এন্ট্রি, ওয়েব রিচার্জ, ব্লগ কমেন্টিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ট্রান্সক্রিপশন ইত্যাদি।

প্রিয় পাঠক ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি তাই ইতিমধ্যে আমরা জেনে গিয়েছি।

নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে কম বেশি সব নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে তাদের ক্যারিয়ার শুরু করবে সেটি বুঝে উঠতে পারে না। অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সাররা ভুল করে যে মার্কেটপ্লেস এর শুরুর দিকে যাদের জন্য প্রয়োজনী নয় অনেক চেষ্টা করেও কাজ না পেয়ে হতাস হয়ে পড়ে।

বর্তমানে কমবেশি অনেক ট্রেনিং সেন্টারে জিনারা ফ্রীলান্সিং কোর্স সেল করতেছে তাদের কোর্স গুলোর মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে কথা বললেও মার্কেটপ্লেস সম্বন্ধে ঐরকম তথ্য খুব কম তুলে ধরে। তার জন্য আমি আজকে আপনাদের এই আর্টিকেলে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি হবে তা যেনে নিন।

বর্তমান ওয়ার্ল্ডের লেডিং মার্কেটপ্লেসগুলো হল আপ ওয়ার্ক, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি। এদের মধ্যে আপ ওয়ার্ক upwork হলো সবচাইতে টপ। এর পরের লেভেলে ফাইবার ও ফ্রিল্যান্সার। তবে নতুনদের জন্য ফাইবার ও আপ ওয়ার্ক কাজ পাওয়ার পক্ষে ভালো সাইট।


এছাড়া নতুনদের জন্য কাজ করার আরো প্ল্যাটফর্ম রয়েছে সেগুলো হল পিপল পার আওয়ার, নাইনটি নাইন ডিজাইনস, বিল্যান্সার, গুরু ডটকম ইত্যাদি। প্রিয় পাঠক নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি তাই ইতিমধ্যে আমরা জেনে গিয়েছি।

শেষ কথা

বন্ধুগণ, থাকি। শেষ কথা ই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি কি - ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজন এই সকল তথ্য আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। কোন কিছু বুঝতে না পারলে বা কোন তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

শেষ কথা আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি কি - ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজন এর সমস্ত তথ্য পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।

ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি কি এবং ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজন এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার আপনার বন্ধুবান্ধব আপনার আত্মীয়-স্বজনদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url