জাম গাছের ছালের উপকারিতা - জামের বিচির পাউডার
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক জান ফল এর সাথে কোকেশিয়ানরা অনেকেই পরিচিত। জাম গাছ থেকে শুরু করে
জাম জামের বিচির পাউডার এবং জাম পাতা ও জাম গাছের ছালের উপকারিতা অনেক।
বিশেষজ্ঞরা জাম, জামের গাছ, জামের বিজ, জামের পাতাকে এবং জাম জাছের ছাল বহু রোগের
চিকিৎসা হয় বলে, সি সি জিয়াম কিউমিনি নামে পরিচয় দিয়েছে।
প্রিয় পাঠক আশা করি ভালই আছেন? প্রতিদিনের মতো আজকেও আরো একটি নতুন ব্লগ
আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকের আর্টিকেলটি মূলত, জাম গাছের
ছালের উপকারিতা, জামের বিচির পাউডার, জাম পাতার উপকারিতা, জামের উপকারিতা ও
অপকারিতা, জামের বীজের উপকারিতা, জাম বীজ চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম।
পোস্ট সূচিপত্রঃজাম থেকে শুরু করে জামের গাছ জামের বীজ এবং জামের ছাল
সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য যদি গুগলে খুঁজে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার
জন্য। আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন আশা করি সীমা আইটি
ওয়েবসাইটে সকল সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য খুঁজে পাবেন।
জাম গাছের ছালের উপকারিতা
জাম গাছ বহু পুষ্টি গুণে ভরা তার জন্য বিশেষজ্ঞরা এর নাম দিয়েছে, সি সি জিয়াম
কিউমিনি। এতদিন আপনি জাম খেয়ে আসছেন কিন্তু জাম এবং জামের গাছের ছাল এর উপকারিতা
সম্পর্কে আপনার কোন ধারণা আছে? যদি জাম গাছের ছালের উপকারিতা সম্পর্কে কোন ধারণা
না থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
জাম গাছের ছালের উপকারিতা
মানুষের অথবা পশুপাখির পচা ঘা, গুরুতর কেটে যাওয়া বা ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তুলতে
জাবের গাছের ছাল বেশ উপকারী। জাবের গাছের ছাল মিহি গুঁড়ো করে ক্ষতস্থানে
ভালোভাবে লাগাবেন, খুব দ্রুত ক্ষতস্থান ভালো হয়ে যাবে।
- রক্ত পায়খানা হলে, দুই থেকে তিন চা চামচ জামের গাছের ছাল এর রস এবং ছাগলের দুধ (আপনার পরিমাণ মত) একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার ফলে রক্ত পায়খানা ভালো হয়ে যায়।
- হজম এর সমস্যা বা পেট খারাপ হয়ে থাকলে জামের গাছ এর ছাল গুড়ো হালকা কুসুম গরম জল এর সাথে মিশিয়ে ভালো করে ছেঁকে নিয়ে সে জল চা এর মত পান করুক তাহলে পেট ভালো হয়ে যাবে।
- দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে, জাম গাছের ছাল রোদে শুকিয়ে নিয়ে গুঁড়ো করে সেই গুঁড়ো দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁতের নারী দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হবে এবং দাঁতের যে কোন ধরনের কালো দাগ ও হলুদ দাগ দূর হয়ে যাবে।
- মুখে রুচি নাই তাহলে জামের গাছের ছাল এর গুঁড়ো এবং গরম জল এর সাথে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে জল যখন সবুজ কালার ধারণ করবে তখন সেই জল সেঁকে নিয়ে পান করতে হবে এভাবে বেশ কয়েকদিন পান করতে থাকুন তাহলে মুখের রুচি ফিরে আসবে।
প্রিয় পাঠক এই ছিল জাম জাম গাছের ছালের উপকারিতা, জামের বিচির পাউডার পড়তে হলে
নিচের লেখাগুলো অনুসন্ধান করুন।
জামের বিচির পাউডার
জাম খেয়ে জামের বিচি ফেলে দেন? আপনি তো জামের বিচির উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না
তাহলে তো জামের বিচি ফেলে দিবেন এটাই স্বাভাবিক তো চলুন জামের বিচির পাউডার
সম্পর্কে জানতে হলে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। প্রথমে জানাবো
কেমন করে জামের বিচির পাউডার তৈরি করবেন তারপর এর উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো।
প্রথমে জেনে নিন কেমন করে জামের বিচির পাউডার তৈরি করবেন তারপর এর উপকারিতা
সম্পর্কে জানাবো, জাম খেয়ে জামের বিচি ফেলে দিবেন না সংগ্রহ করে রোদে শুকাতে
দিন। ২ থেকে ৩ দিন রোদে শুকানোর পর উপরে থাকা সাদা খোলসটি ছাড়িয়ে নিন তারপর
সবুজ অংশ আবারো রোদে শুকাতে দিন। এবার ২ থেকে ৪ দিন রোদে শুকিয়ে নিন।
ভালোভাবে শুকানো হলে দেখবেন সবুজ অংশটি কালো হয়ে গিয়েছে এবং হাতের আঙ্গুল দিয়ে
হালকা চাপ দিলেই ভেঙে বুড়ো হয়ে যাচ্ছে এমন করে রোদে শুকিয়ে দিতে হবে।
ব্লেন্ডার মেশিন এর সাহায্যে অথবা শীল পাটার সাহায্যে আপনি যেকোন ভাবে মিহি
গুঁড়ো করে নিবেন। এভাবে আপনি জামের বিচির পাউডার করতে পারেন।
প্রতি ১০০ গ্রাম জামের বিচির পাউডার এর মূল্য ৮০ টাকা করে। অনলাইনে আপনি যেকোন
প্ল্যাটফর্ম থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন যেমন দারাজ অ্যাপ, ফেসবুক পেজ, ইউটিউব থেকে
এবং বড় বড় মোদির দোকান থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
প্রিয় পাঠক, জাম গাছের ছালের উপকারিতা ও জামের বিচির পাউডার এই সমস্ত তথ্য পরে
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন,
বন্ধু-বান্ধবী দের কাছে শেয়ার করবেন। তারাও যেন এই সকল তথ্য পেয়ে উপকৃত হতে
পারে।
জাম পাতার উপকারিতা
জাম গাছ দেশের আনাচে-কানাচে অনেক জাম গাছ দেখতে পাওয়া যায়। ইংরেজিতে এটি
ইন্ডিয়ান ব্ল্যাকবেরি নামে পরিচিত। সাধারণত জুন থেকে জুলাই মাসে জাম পাওয়া
যায়, খেতে সুস্বাদু মিষ্টি কালো রং এর হয়ে থাকে এবং নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর।
জামের থেকে জাম পাতায় রয়েছে নান রকমের ঔষধি গুনাগুন, তা আমরা অনেকেই জানিনা।
একটি জামের গাছে সারা বছর জাম পাতা পাওয়া যায়, যে কেউ চাইলে সংগ্রহ করতে পারেন।
চিকিৎসা ভাষায় গাছটির নাম হল সিসিজিয়াম কিওমিনি। আজকে আমি আপনাদের কে জাম পাতার
উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব। কথা না বাড়িয়ে, চলুন
জেনে নেওয়া যাক জাম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে।
- জামের পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এটি অ্যান্টিভাইরাস ও প্রধন আসুক হিসেবে কাজ করে থাকে।
- জামের পাতার রস রক্তের শতকরা কমাতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং এলার্জি দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
- এ এস ন্যাশনাল লাইব্রেরী অফ মেডিসিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্প এর গবেষণা অনুযায়ী জাম ও জাম পাতা দেহের ক্যান্সার বিরোধী কোষ তৈরি করে। জাম পাতার রসে বায়ু একটিভ ফাইটো কেমিক্যাল বিদ্যামান যা লিভার এর অসুখ এবং ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
- ওজন কমাতে জাম পাতার রস ভীষণ উপকারী। গরম জলে জামপাতা এবং সজনে পাতা একসঙ্গে৫ থেকে ১০ মিনিট ফুটিয়ে জলের রং সবুজ হয়ে এলে নামিয়ে নিয়ে জল ছেঁকে জল খেয়ে নিন, বিশেষ করে সকাল বেলা খালি পেটে খাওয়ার ফলে ওজন কমাতে অনেকটাই উপকারে আসবে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গরম জলে জামপাতা এবং নিম পাতা একসঙ্গে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন, জলের রং সবুজ হয়ে এলে নামিয়ে নিন। সকাল বেলা খালি পেটে সেবন করলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে বেশ কয়েকদিন সেবন করলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা যায়।
- খুব বেশি চুল পড়লে এবং মুখের ক্ষত ও দাঁতের অসুখ কারি পাতা এবং জাম পাতা একসঙ্গে জলে ফুটিয়ে পান করুন। এই মিশ্রণটি মুখের ক্ষত সারাতে ও দাঁতের অসুখ তার পাশাপাশি চুল পড়া সারাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- সাদা বা রক্ত আমাশয় জামের কুচি পাতার রস দুই থেকে তিন চা চামুচ এবং ছাগলের দুধ একটু গরম করে নিয়ে খেলে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সাদা বা রক্ত আমাশয় ভালো হয়ে যাবে।
- পেটের সমস্যা এবং জ্বর জাম পাতা গরম জলে ফুটিয়ে নিয়ে সেবন করলে পেটের সমস্যা এবং জ্বর ভালো হয়ে যায়।
- অধিক মাত্রায় বমি হওয়া কোন ব্যক্তির যদি দীর্ঘ সময় ধরে বমি হয় তাহলে জাম পাতার রস এবং মধু একসঙ্গে খাওয়ার ফলে বমি বন্ধ হয়ে যায়।
প্রিয় পাঠক এই ছিল জাম পাতার উপকারিতা। জাম গাছের ছালের উপকারিতা ও জামের বিচির
পাউডার এই আর্টিকেলে জাম পাতার উপকারিতা করে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে
অবশ্যই আপনার পরিচিতদের কাছে এই তথ্যটি শেয়ার করবেন।
জামের উপকারিতা ও অপকারিতা
হালকা টক এবং মিষ্টি কালো রঙের ছোট ছোট জাম দেখলেই আমাদের জিভে জল চলে আসে। পাকা
জামে মধুর রসে শুধু যে মুখ রঙিন হয় তা নয়, জামের উপকারিতা কিন্তু বহু ফলকে হার
মানায়। প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদের মাঝে জামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
আলোচনা করব, তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
দেশি ফলের মধ্যে জাম সকলেরই প্রিয়। এই রসালো টক মিষ্টি কালো ফলটি গ্রীষ্মের
গরমের সকলেরই প্রাণ জুড়ায়। জাম শুরুতে ডিম্বাকৃতির সবুজ থাকে, পরে গোলাপি হয়
এবং পাকলে কালো বা কালচে গোলাপী হয়।
ফলের বহিরা বর নিচে থাকে সাচ্চ। জাম পুষ্টিগুণে অতুলনীয় চিকিৎসা ক্ষেত্রেও
ব্যবহার হচ্ছে। জামে রয়েছে, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, আইরন, জিন্স, কপার,
গ্লুকোজ, ট্রেকটজ, ট্রউকটজ, ফাইবার, এন্টিঅক্সিডেন্ট সহ বিভিন্ন উপাদান। প্রিয়
পাঠক চলুন জেনে নেই জামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
জামের উপকারিতা
- রক্ত পরিশোধন করেঃ জামে প্রচুর পরিমাণ থাকে, আর আয়রন থাকার ফলে রক্তে হিমোগ্লজিন বেড়ে যায় যার রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
- ক্লান্তি দূর করেঃ একটি জামিয়া ৮৮ শতাংশ মিনারেল থাকে। এছাড়াও ফসফরাস এবং আইরিন এর মতো উপাদান জাম খাওয়ার ফলে শরীরের শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়। জামে গ্লুকোজ, ট্রেকটজ, ট্রউকটজ রয়েছে এজন্য জাম খাওয়ার ফলে ক্লান্তি দূর করে কাজ করা শক্তি যোগায়।
- ডায়াবেটিস নিরাময় করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম ফল ভীষণ উপকারী। জামে থাকা এন্টি ডায়াবেটিক প্রপার্টির কারণে রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। জামির গ্লাইসেনিক ইনডেক্স কম হওয়ায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভীষণ উপকারী।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় গ্রামে ফাইটো কেমিক্যাল আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, পাশাপাশি মৌসুমীর জ্বর সর্দি কাশি থেকে মুক্তি দেয়।
- ইনফেকশন দূর করে এন্টি ম্যালেরিয়া এন্টি প্রক্রিয়া অ্যান্টি ইনফেকটিভ এবং গ্যাস্ট্রো অয়েল প্রতিরক্ষক হিসেবে কাজ করে। জাম ফল দিতে এত সব অ্যান্টি উপাদান শরীরের ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করে জামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, উদের মানবদেহের ভিটামিন সি এর অভাব দূর করে।
- হার্টের অসুখ দূর করে জমে আছে এলাজিক অ্যাসিড এন্টসেলাইন যা এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও শরীর থেকে খারাপ কলেস্টরেল দূর করতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে যা হাইপার টেনশন দূর করে দেহের উপর থেকে চাপ কমায়।
- হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে গ্রামে থাকা পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ও আইরন জামের শক্তির বৃদ্ধির জন্য দারুন কাজ করে। এজন্য হাড় ক্ষয়ে যাওয়া রোগীদের এবং বয়স্ক লোকের খাবার তালিকায় এই ফলটি রাখুন।
- ক্যান্সার হতে দূরে রাখে জামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা আমাদের শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি হতে বাধা দেয়।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ করে জামে কম পরিমাণ ক্যালরি থাকে যা ক্ষতিকর্ত নয় বরং স্বাস্থ্যসম্মত তাই যারা ওজন নিয়ে চিন্তায় আছেন তাদের খাদ্য তালিকায় জাম রাখুন।
জামের অপকারিতা
- আধা পাকা জাম খাওয়া উচিত নয়।
- প্রতিদিন ১০০ গ্রাম এর বেশি জাম খাওয়া যাবে না।
- জাম খাওয়ার আগে লবণ পানি দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
- খালি পেটে কখনো জাম খাবেন না, খালি পেটে জাম খেলে হাইপার এসিডিটি হতে পারে।
- জাম খাওয়ার আগে ও পরে প্রায় দুই ঘন্টা দুধ খাবেন না।
- শরীরে জল জমে গিয়েছে বা কিছুদিন আগে সন্তান প্রসব করেছেন অথবা ঘনঘন বমি করছেন এই সময় জাম খাবেন না।
প্রিয় পাঠক, জাম গাছের ছালের উপকারিতা - জামের বিচির পাউডার এই আর্টিকেলে জামের
উপকারিতা ও অপকারিতা পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের
কাছে আমার এই উক্ত তথ্যটি শেয়ার করবেন।
জামের বীজের উপকারিতা
বহু রোগ বেধি ভালো করে জামের বীজ এজন্য জামের বীজ কে বিশেষজ্ঞরা এন্টি ডায়াবেটিক
এজেন্ট নামে পরিচিত দিয়েছে। জামের বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। জামের
বীজের উপকারিতা বা জামের বীজের পাউডার এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে নিচের লেখা
গুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
জামের বীজ এমন একটি কোন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া ঔষধ যা আমাদের হাতের
নাগালে আছে।
খাওয়ার নিয়ম আপনারা চাইলে জামের বীজএর গুড়ো পাউডার করে খেতে পারেন।
পাউডার জলের সাথে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেই জল খেলে অনেক উপকার
পাবেন। কিংবা গরম জলের সাথে জামের বীজের পাউডার ফুটিয়ে নিয়ে খেতে পারেন।
- ভাতের সাথে মিশিয়ে নিও খেতে পারেন অথবা যেকোনো সালাতের সাথে মিশিয়ে নিয়েও খেতে পারেন। প্রিয় পাঠক চলুনজামের বীজের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- প্রথমে আমি আপনাদের যে বিষয় বলবো, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জামের বিচির পাউডার বেশ দারুন একটি ঔষধ।
- কোন ব্যক্তির যদি রক্ত স্বল্পতায় ভোগে সেই ব্যক্তির জন্য জানের নিজের পাউডার বেশ উপকারী হবে।
- কোন ব্যক্তির যদি, মুখর গন্ধ, মারির রক্ত খনন এবং দাঁতের হলুদ এবং কালো দাগ দূর করতে জামের বীজের পাউডার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।
- জামের বিচির পাউডার সেবন করার ফলে আমাদের ত্বকের ওয়েল নিয়ন্ত্রণে রাখে, ত্বক করে স্বাস্থ্য সুন্দর ও উজ্জ্বল এবং আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে তার পাশাপাশি চুল সুন্দর সিল্কি হবে।
- জামের বীজে রয়েছে পটাশিয়াম আমাদের হার্ড ভালো রাখে এবং হৃদরোগ ভালো করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
- জামের বীজ রক্তের অতিরিক্ত চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এই জন্য জামের বীজ কে এন্টি ডায়াবেটিক এজেন্ট বলা হয়।
- যাদের বহুমূত্রের সমস্যা রয়েছে এবং আমাশয় এর সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে জামের বীজ অনেকটা উপকারী ঔষধ হিসেবে কার্যকরী হবে।
- যাদের বমি বমি ভাব হয় এবং হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে জামের বীজ অনেক উপকারী ঔষধ।
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আপনারা জামের বীজের উপকারিতা সম্পর্কে জানলেন এই বিষয়ে
আরেকটু জেনে নেয়া যাক। যে কোন জিনিস আপনি সেবন করবেন নিয়ম এবং মাত্রা অনুযায়ী।
জামের বীজ আপনি একটানা নিয়মিত ২০ থেকে ২৫ দিন ১ থেকে ২ চা চামচ করে সেবন করলে
আশা করা যায় অবশ্যই ভালো ফলাফল পাবেন।
প্রিয় পাঠক, জাম গাছের ছালের উপকারিতা ও জামের বিচির পাউডার এই আর্টিকেলে জামের
বীজের উপকারিতা পরে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের
উপকৃত করার জন্য এই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।
জাম গাছের বৈশিষ্ট্য
জাম গাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো। সাধারণত জামের গাছ ১০ ফুট
থেকে ৫০ ফুট অথবা তারও বেশি লম্বা হতে পারে। নামের পাতা বড় বড় সরল হয়ে থাকে,
চামড়া পুরু তার পাশাপাশি সবুজ চকচকে হয়। গাছ এর নিচের দিকের ছাল কিছুটা কালচে
কালো রং এর , মোটা পুরু খোলোস দ্বারা আবৃত।
জাম গাছের বৈশিষ্ট্য, উপরের দিকের ছাল সাদা রং এর হয়ে থাকে। গাছ দূর থেকে খুব
সুন্দর এবং চির সবুজ লাগে। প্রিয় পাঠক এই ছিল জাম গাছের বৈশিষ্ট্য। জাম গাছের
ছালের উপকারিতা ও জামের বিচির পাউডার এই আর্টিকেলে, জাম গাছের বৈশিষ্ট্য পড়ে আপনি
যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত দের কাছে শেয়ার করবেন।
জাম খেলে কি রক্ত বাড়ে
জাম খেলে কি রক্ত বাড়ে এই সকল প্রশ্ন অনেকেরই মনে জেগে থাকে চলুন জেনে নেওয়া
যায় জাম খেলে কি রক্ত বাড়ে না কমে। এদিক ওদিক থেকে লোকের কথায় কান না দিয়ে
নিজেই সঠিক তথ্য পড়ুন এবং জানো। ১০০ গ্রাম জাম শাঁস থেকে আপনি কার্বোহাইড্রেট
পাবেন ১৫.৬০ গ্রাম।
ফাইবার ১ থেকে ২ গ্রাম মতো এবং প্রোটিন ও ফ্যাট না থাকার মতই। জামের পুষ্টি
উপাদান কিছুটা পাকা আমের মতো, জাম খেলে আমের মতোই মাঝারি ব্লাড সুগার বাড়বে।
ডায়াবেটিস রোগী একেবারে সর্বাধিক ৭৫ থেকে ১০০ গ্রাম কালো জাম খেতে পারেন।
আপনার যদি কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকে তাহলে জান আপনার জন্য উপকারী হতে পারে। জান
শেষে বেশ ভালো পরিমাণে পলিফেনল ও Anthucyanin জাতীয় Antioxidant থাকে। জাম
শ্বাসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো আপনাকে সুগার কমাতে সাহায্য করবে।
প্রিয় পাঠক জাম খেলে কি রক্ত বাড়ে আশা করি আপনারা সঠিক তথ্য পেয়েই গিয়েছেন।
জাম গাছের ছালের উপকারিতা ও জামের বিচির পাউডার এই আর্টিকেলে জাম খেলে কি রক্ত
বাড়ে করে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের কাছে এই তথ্য
শেয়ার করবেন।
শেষ কথা
বন্ধুগণ, থাকি। শেষ কথাই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল জাম গাছের ছালের উপকারিতা ও
জামের বিচির পাউডার এই সকল তথ্য আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে
পেয়েছেন। কোন কিছু বুঝতে না পারলে বা কোন তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে
যোগাযোগ করতে পারে।
অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে
অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো
লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
শেষ কথা আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে
দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে জাম গাছের ছালের উপকারিতা - জামের
বিচির পাউডার এর সমস্ত তথ্য পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন এরকম
নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট
ফলো
করুন, ধন্যবাদ।
জাম গাছের ছালের উপকারিতা - জামের বিচির পাউডার বিস্তারিত জেনে নিন এই আর্টিকেলটি
যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার আপনার বন্ধুবান্ধব আপনার
আত্মীয়-স্বজনদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url