টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয় জেনে নিন
ভূমিকা
কালোজিরা শুধু ছোট ছোট কালো দানা নয় এর মধ্যে রয়েছে বিস্ময়কর শক্তি। প্রাচীন
কাল থেকেই কালোজিরার মানব দেহের প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক ঔষধি গুনাগুন হিসেবে
ব্যবহার হয়ে আসছে। এই আর্টিকেলে কালোজিরা সম্পর্কে যেই সকল তথ্য থাকবে টানা ৭
দিন কালোজিরা খেলে কি হয়, কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।
পোস্ট সূচিপত্রঃএছাড়াও আরো রয়েছে, কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম, মধু কালোজিরা
ও রসুন খাওয়ার উপকারিতা, ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম। এ সকল তথ্য যদি আপনি
গুগলে খুঁজে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত
মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি সীমা আইটি ওয়েবসাইটে সকল সঠিক তথ্য খুঁজে পাবেন।
টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়
টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয় জানেন? আপনি যদি বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকেন,
তাহলে এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। শুধু
খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতেই নয় আয়ুর্বেদিক ও কবিরাজি চিকিৎসাতেও কালোজিরার ব্যবহার
হয়। কালোজিরার দ্বারা একশটি রোগের নিরাময় হয়, তাহলে ভাবুন কালোজিরা কতটা
উপকারী।
মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের মহা ঔষধ বলা হয় এই কালোজিরাকে। শরীর-স্বাস্থ্যের বহু
গুণের জন্য কালোজিরা বিখ্যাত। পুষ্টি বীর ও খাদ্য বিজ্ঞানীরা বলে থাকে প্রতিদিন
কালোজিরা খেতে পারলে শরীরের নানা অসুখের সঙ্গে লড়াই করা হয়। কালোজিরাতে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, লৌহ, ফসফেট, কার্বোহাইড্রেট ছাড়াও জীবাণুনাশক বিভিন্ন
উপাদান।
প্রতি এক গাম কালোজিরাই আপনি যে সকল পুষ্টি উপাদান পাবেন তা হল ভিটামিন বি,
নিয়াসিন, ক্যালসিয়াম, আয়রণ, কপার, জিংক এবং ফোলাসিন। কালোজিরা খেলে ক্যান্সার
প্রতিরোধক, কেরোটিন ও শক্তিশালী হরমোন। প্রসাদ সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ
প্রতিরোধকারী কারী উপাদান হিসেবে কাজ করে।
টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয় বিস্তারিত আরো জেনে নিন।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
- স্মৃতশক্তি বৃদ্ধি করে।
- উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
- মাথা ব্যথা ভালো করবে।
- চুল পড়া ও চুল পাকা রোধ করতে কালোজিরা সেবন করেন, আশা করা যায় ভালো উপকার পাবেন।
- যৌন দুর্বলতা দূর করবে।
- প্রস্তাব এর সমস্যা থাকলে কালোজিরা খাওয়ার ফলে ভালো হয়।
- আমলও রোগের প্রতিষেধক কালোজিরা।
- কফ ও হাঁপানি দূর করতে কালোজিরা সেবন করুন।
- ডায়াবেটিস ছাড়িয়ে তুলবে।
- কিডনি সমস্যা দূর হবে।
- হৃদ রোগ সমস্যা সমাধান করবে।
- ৭ দিন কালোজিরা খাওয়ার ফলে আপনার চেহারা বা আপনার ফেস এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।
- বদ হজম বৃদ্ধি করবে।
- চোখের সমস্যা দূর হবে।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
- জ্বর সারাতে ভালো কাজ করবে।
বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে বলেছেন কালোজিরা খাওয়ার ফলে ১০০ টি বড় বড় রোগের নিরাময়
হয়। শুধু যে কালোজিরা খেলে সকল রোগের নিরাময় হবে তা না, অবশ্যই নিয়ম অনুসরণ
করে কালোজিরা খেতে হবে। তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন নয়তো তেমন কোন কাজে আসবে না।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম পড়তে হলে নিচের লেখা পড়তে থাকুন।
প্রিয় পাঠক, আশা করি সকল সঠিক তথ্য আপনি পেয়ে গিয়েছেন। টানা ৭ দিন কালোজিরা
খেলে কি হয় পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিবার, আপনার বন্ধু ও
বান্ধবী এবং আপনার আত্মীয়-স্বজন দের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আমিই আজকে আপনাদের মাঝে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
জানানোর জন্য আরও একটি ব্লগ আর্টিকেল নিয়ে হাজির হয়েছি। কালোজিরা খাওয়ার
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে নিচের লেখাগুলো প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত
মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয় এই আর্টিকেলে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও
অপকারিতা নিচে আলোচনা করা হলো।
কালোজিরার উপকারিতা
প্রিয় পাঠক এখন আমরা আলোচনা করব কালোজিরার উপকারিতা এবং বহুগুণ নিয়ে।
- কালোজিরার প্রথম সুপার উপকারিতা হল ওজন কমাতে সাহায্য করে। কালোজিরা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের সেটাইটি সেন্টার বা বা ইপিটেট সেন্টার এটাকে সাপিরাইজ করে এবং বডির ফ্যাট বা চর্বি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। রেজাল্ট আপনি ৮ সপ্তাহের মধ্যে দেখা শুরু করবে।
- শুক্রানুর কোয়ালিটি এবং বীর্যের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়। ফ্রাটালিটি ইনবন্দত পুরুষদের ক্ষেত্রে অনেকটাই ইনপ্রুভ করে। পাশাপাশি কালোজিরা খাওয়ার ফলে টেস্টোস্টনের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে আপনার ওভার অল সেক্সচুয়াল পারফরম্যান্স বৃদ্ধি পায়।
- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটা যদি আপনি চিনি এভয়েট করেন এবং নিয়মিত কালোজিরা সেবুনে করেন তাহলে এর মধ্যে রয়েছে, বিটা সিটাসটু এর অল এবং থাইমো কুইন নামে দুইটি উপাদান যেগুলো আপনার শরীরে ক্যান্সার সিলকে বাড়তে দেয় না, ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করে এবং প্রতিহত করে।
- কালোজিরা আর যেই বিশেষ গুণ যেটি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কালোজিরার মধ্যে রয়েছে, পনিফেনাল, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই। যেগুলো আসলে খুব স্ট্রং এন্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বহুবনে বাড়িয়ে দেয়।
- সাধারণ ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, জ্বর আপনি যদি পুদিনা পাতার রস এবং কালোজিরা মধু দিয়ে নিয়মিত খান তাহলে আপনার ওইগুলো রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে। এছাড়াও শরীরে যেগুলো বিপাকীয় প্রক্রিয়া গুলো কালোজিরা কমিয়ে ফেলতে পারে।
- আমাদের শরীরে যাদের হজমের সমস্যা হচ্ছে তারা যদি নিয়মিত কালোজিরা সেবন করেন তাদের হজম ক্ষমতা বেড়ে যাবে। দেখা গিয়েছে যাদের পেটে বায়ু হয়, হজমের সমস্যা হয়, বা গ্যাস হয় তাদের কালোজিরা খাওয়ার ফলে পায়খানা টাও পরিষ্কার থাকে।
- সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি বিষয় হচ্ছে, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কালো জিরা ভীষণ উপকারী আমাদের শরীরে ইনসুলেশনের সিক্রেশন বাড়িয়ে দেয় এবং ইনসুলেশনের রেজিস্ট্রেট এবং ইন্টেস্টালান একযশন অর্থাৎ ইনসুলিন কাজ করতে আমাদের শরীরে যে বাতাস সৃষ্টি করে ওই জিনিসটাকে কালোজিরা ইনপ্রুভ করে দেয়।
- কালোজিরার উপকারিতা, ব্লটিংয়ের এর সমস্যা, পেটে গ্যাসের এর সমস্যা মুখের অতিরিক্ত ব্রণ বা একনি যদি হয় এবং কারো যদি শেতী রোগ দেখা দেয় তাদের ক্ষেত্রে কালোজিরা খুব ভালো কাজ করে।
টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয় এই আর্টিকেলে কালোজিরার উপকারিতা, পড়ে যদি আপনি
উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের কাছে শেয়ার করবেন।
কালোজিরার অপকারিতা
কালোজিরা যেমন খুবই উপকারি তেমনি কালোজিরার কিছু অপকারিতা ও আছে। তাই বলে সকলের
জন্য না। মোট পাঁচ রকমের মানুষের জন্য কালোজিরা অপকারী, আপনি নিজেই জেনে নিন ওই
পাঁচ রকমের মানুষের মধ্যে আপনি পড়েন কিনা। কালোজিরার অপকারিতা
- কালোজিরা খেলে কি আপনার গ্যাস হয়? পেট ফেটে যায়? বমি হয়? পটি হতে চায় না? তাহলে কালোজিরা থেকে দূরে থাকুন, কালো কালোজিরা খাওয়ার ফলে এইগুলো সমস্যা কিছু মানুষের দেখা যায়।
- আপনার কি, Bleeding Disorder অর্থাৎ রক্তপাত বৃদ্ধি আছে? আপনার যদি রক্তপাত বৃদ্ধি থেকে থাকে তাহলে কালোজিরা খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। কালো জিরা Bleeding Disorder রক্তপাত বৃদ্ধির জন্য অপকারী, সমস্যা আরো বাড়াবে।
- আপনার কি Low Blood sugar? কালোজিরা আপনার রক্তে শর্করা কমাবে, কালোজিরা আপনার ব্লাড সুগার কমাবে ফলে আপনার যদি আগের থেকেই লো কম রক্তে শর্করা থাকে তাহলে কালোজিরা খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে।
- আপনার কি Low Blood pressure অর্থাৎ আপনার কি নিম্ন রক্তচাপ? কালোজিরা আপনার রক্তচাপ কমাবে। ফলে আপনার যদি আগের থেকেই Low BP হয় তাহলে অবশ্যই কালোজিরা খাওয়ার থেকে সাবধান হবেন।
- কালোজিরার অপকারিতা আপনার কি সার্জারি হবে? সার্জারি হলে কালোজিরা খাওয়ার আগে ডাক্তার বাবুর পরামর্শ নিন, সার্জারি ক্ষেত্রে কালোজিরা অপকারী রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- কালোজিরা যেমন খুব উপকারী, তেমনি আলোচিত অপকারিতা নিয়ে আপনাকে সাবধান হতে হবে। সব সময় মনে রাখবেন কম মাত্রায় কালোজিরা খাওয়ার ফলে কালোজিরার বেশিরভাগ ক্ষতিকারক দিক থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
- এলার্জির সমস্যা, কালোজিরা প্রথম খেলেন খাওয়ার ফলে শরীরে এলার্জি রাশ হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে কালোজিরা খাবেন না।
- ছোট বাচ্চা যাদের বয়স ৬ বছরের নিচে, যিনারা গর্ভবতী মহিলা এবং আপনাদের দুধ খাওয়া তাদের ক্ষেত্রে কালোজিরা খাওয়া যাবেনা।
- একটি সবিক্ষা দেখা গিয়েছে, যিনারা ৮ সপ্তাহের বেশি একটানা কালোজিরা ব্যবহার করছেন তাদের কারো কারো বমি ভাব এবং নওশিয়া তাদের ক্ষেত্রে কালোজিরা একটু বিরতি দিয়ে খাওয়া উচিত।
টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয় এই আর্টিকেলে কালোজিরার অপকারিতা পড়ে যদি আপনি
উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের কাছে শেয়ার করবেন।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক, আপনার সাথে রোগের চিকিৎসা হয় এই কালোজিরা দিয়ে। তবে কালোজিরা
খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে সেই নিয়ম মেনে যদি সেবন করেন তাহলে যেই রোগ নিরাময় করার
জন্য সেবন করবেন তার ভালো ফলাফল পাবেন। কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম বিশেষ করে
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে তিন থেকে চার চিমটি কালোজিরা চিবিয়ে খেতে হবে।
কালোজিরা খাওয়ার আরো অনেক নিয়ম রয়েছে যেগুলো নিয়মে আপনি কালোজিরা সেবন করেন
তাহলে যে সকল রোগ থেকে মুক্তি পাবেন তা নিচে বিশ্লেষণ করা হলো।
- শুধুমাত্র পুষ্টিগুণে এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে নয় মসলা হিসেবেও কালোজিরার চাহিদা প্রচুর।
- প্রতিদিন এক চা চামচ পুদিনা পাতার রস দুই চামচ মধু এবং এক চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে নিয়মিত দিনে তিনবার খাওয়ার ফলে আপনাকে মেধা বাড়াতে সাহায্য করবে, এছাড়াও মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
- প্রতিদিন সকালে এক চিমটে পরিমাণ কালোজিরা জলের সাথে খেয়ে দেখুন রক্তের গ্লল কোজ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়াও গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন দুইবার খেলে বেশ উপকার পাবেন।
- গরম জল, মধু, লেবু এবং কালো জিরা একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার ফলে দ্রুত ওজন কমতে শুরু করে। এছাড়াও কালোজিরাতে আছে বিশেষ ধরনের ফাইবার যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে।
- পুরুষের বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধ করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিশ্বের মধ্যে ১০ জন পুরুষের মধ্যে ২ জন পুরুষ বন্ধ্যাত্ব জনিত সমস্যায় ভুগছেন। এটি সমাধানে গোটা কালোজিরা অথবা কালোজিরার তেল অথবা কালোজিরা এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেলেও খেতে পারেন। তাহলে পুরুষদের নানান রকমের জটিল ও কঠিন সমস্যা দূর হবে।
- রাতে ঘুমানোর আগে পাঁচ থেকে দশ গ্রাম কালোজিরার গুঁড়ো গরম জল বা দুধের সঙ্গে খেতে পারেন। এভাবে দুমাস খেলে আপনার শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাবে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে গোটা কালো জিরার চেয়ে কালোজিরার গুঁড়ো বেশি শক্তিশালী প্রভাব ফেলে।
- কালোজিরা তেল আন্টি ইনফ্লেমাটারি গুনাগুন প্রদাহ আছে। বয়স্ক ব্যক্তিদের যদি বাতের ব্যথা বা হাড়ের ব্যথা, যে কোন ব্যথা হয়ে থাকলে সেই জায়গায় রাতে ঘুমানোর আগে কালোজিরার তেল হালকা গরম করে নিয়ে ভালোভাবে মালিশ করবেন মোটামুটি ১০ থেকে ১৫ দিন মালিশ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
- শরীরের ব্যথা কমানোর জন্য কালোজিরার তেল হালকা গরম জলের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে শরীরের ব্যথা ভালো হয়ে যায়।
- সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা ভালো করতে এক চা চামচ কালোজিরা, তিন চা চামচ মধু এবং তুলসী পাতার রস মিশিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দুইবার সেবন করুন, একই সঙ্গে পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে কালোজিরা বেঁধে শুকতে থাকুন এতেও ভালো উপশম পাবেন এবং তাড়াতাড়ি ভালো ফল পেতে বুকেও পিঠে কালোজিরার তেল মালিশ করুন।
প্রিয় পাঠক, আশা করি সকল সঠিক তথ্য আপনি পেয়ে গিয়েছেন। টানা ৭ দিন কালোজিরা
খেলে কি হয় এই আর্টিকেলে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন
তাহলে আপনার পরিবার, আপনার বন্ধু ও বান্ধবী এবং আপনার আত্মীয়-স্বজন দের কাছে
অবশ্যই শেয়ার করবেন।
মধু কালোজিরা ও রসুন খাওয়ার উপকারিতা
রসুনে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন, আইরন, ক্যালসিয়াম, ও পটাশিয়াম এছাড়াও
রোশনে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এন্টিবায়োটিক, অ্যান্টিভাইরাল ও আন্টি ও
আঙ্কালকোল তাই যেকোনো মানুষ চাইলে রসুন খেতে পারে।
কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে এড়ানো যায় অসংখ্য রোগ। আদিকাল থেকেই রসুন
ব্যবহার হয়ে আসছে প্রাকৃতিক যৌন উত্তেজক হিসেবে। খাবারের স্বাদ বাড়ানো সহ ঔষধি
গুণের জন্য রসুনের কদর চিরকাল। তবে জেনে রাখতে হবে খাওয়ার সঠিক প্রয়োগ।
নিয়মিত রসুন খাওয়ার ফলে রক্তের কোলেস্টরেল এর মাত্রা এবং উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি
পায়। মধু কালোজিরা ও রসুন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু আলোচনা করা
যাক।
রসুন ও কালোজিরা থেকে আপনি ভরপুর শক্তিশালী টক্সিডেন্ট, আলিসিন জজ্ঞ, অলিফেনালস,
ফ্লাপনাইট, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, জিংক, কপার, আইরন, ফলিক অ্যাসিড, মাইঙ্গানিস,
সেভিরিয়ন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ছাকনিম, এবং খাদ্যতন্ত্র তাছাড়া এই দুই
ধরনের খাদ্যের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন
বি কমপ্লেক্স।
রসুন, কালাই জিরা এর সাথে যদি মিক্স করেন মধু তাহলে লক্ষ কোটি টাকা দামের ঔষধ এর
সমান পুষ্টিগুণে ভরপুর। সপ্তাহে তিন দিন সকালে খালি পেটে সেবন করবেন ফলে যে সকল
উপকার গুলো পাবেন তা নিচে বলা হলো।
- মধু কালোজিরা ও রসুন খাওয়ার উপকারিতা প্রধান হলো যৌন। নারী এবং পুরুষ উভয়ের যৌন বিষয়ে যাবতীয় সমস্যার সমাধান করবে, এই কালাজিরা, রসুন, এবং মধু।
- রসুন এবং কালোজিরা একসঙ্গে খাওয়ার ফলে রক্ত শূন্যতা এবং শারীরিক দুর্বলতা থেকে মুক্তি পাবেন।
- চোখে ঝাপসা দেখা থেকে মুক্তি পাবেন এবং দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
- গ্যাস্ট্রিক এবং পেটফা থেকে মুক্তি পাবেন।
- ডায়াবেটিক, ক্যান্সার উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার ঝুঁকি যথেষ্ট মাত্রায় কমে যাবে।
- নারী পুরুষ উভয়ের যৌন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে রসুন ও কালাই জিরা ভায়াগ্রা মত কাজ করে।
- বিভিন্ন ঋতু কালীন অসুখ যেমন জর, সর্দি, কাশি, হাঁপানি, বুকে জমে থাকা কম, শ্বাসকষ্ট এই সকল রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
- হাঁটুর ব্যথা, কোমর ব্যথা, এবং হাড়ের ক্ষয় দূর হয়ে যাবে।
- অতিরিক্ত চুল পড়া, অকালে চুল পেকে যাওয়া এবং রুক্ষ ত্বকের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন।
- মাথা ব্যাথা, মাইগ্রেন, এবং সাইটি কার ব্যাথা দূর করতে রসুন ও কালোজিরা ভীষণ উপকারী।
- মধু রসুন ও কালোজিরা তিন উপাদান স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে ও নার্ভার সিস্টেম ভালো রেখে এলসাইমার এবং ডিমেনশিয়াল সমস্যার মতো জটিল শারীরিক সমস্যা প্রতিরোধ করে।
- হার্ট ও ধমনীতে ব্লকের সৃষ্টি হওয়া প্রতিরোধ করতে এবং হার্ট অ্যাটাক ও চোখের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- এই তিন উপাদান শরীরের মেটা পলিসাম বৃদ্ধি করে শরীরের জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ সরিয়ে ফেলে এবং দৈহিক ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।
- এটিল উপাদান সেবন করার ফলে অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং অনিদ্রার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- একদিন উপাদানে থাকা অ্যান্টিসেকটিক, আন্টিফাঙ্গাল এবং ব্লাড পিউরিফায়াল গুণাবলী রক্ত পরিশোধন করে অতিরিক্ত ব্রণ ও মেছতার দাগ, দাগ সার্কেল এবং শরীর চুলকানির সমস্যা দূর করে।
- নারীদের পিরিয়ডের সমস্যা এবং সাদা স্রাব দূর করতে এই তিন মিশ্রণ ম্যাজিক এর মতন কাজ করে।
- মধু রসনও কালোজিরা একসাথে খেলে বিধস্তনিতে কিডনি এবং পাথর হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়।
- শরীর দুর্বলতার জন্য বুকে ব্যথা, বুক ধরফর করা এবং হাত-পা কাঁপা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- মুখের ঘা দূর করতে এই তিন উপাদান বেশ কার্যকরী।
- প্রতিদিন মধু কালাজিরা ও রসুন খাওয়ার ফলে কষা পায়খানা ও পাইলস এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
প্রিয় পাঠক, আশা করি সকল সঠিক তথ্য আপনি পেয়ে গিয়েছেন। টানা ৭ দিন কালোজিরা
খেলে কি হয় এই আর্টিকেলে মধু কালোজিরা ও রসুন খাওয়ার উপকারিতা পড়ে যদি আপনি
উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিবার, আপনার বন্ধু ও বান্ধবী এবং আপনার
আত্মীয়-স্বজন দের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম, গবেষকরা ৯০ জন মানুষকে এক জায়গায় করলেন তারা
ছিলেন স্লোকা এবং মহিলা ছিলেন। তারা জানতে চাইলেন কালো জিরা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে
কতটা ভূমিকা রাখতে পারে? এই নম্বর জনকে দুইটি গ্রুপে ভাগ করা হলো এবং দুই গ্রুপেই
ক্যালরি রেস্টিক এর ডায়েট দেওয়া হলো।
ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম জানতে হলে পড়তে থাকুন। একটি গ্রুপ কে প্রতিদিন ৩
গ্রাম করে কালোজিরার তেল দেওয়া হল। আর আরেকটি গ্রুপে অন্যান্য খাবার দেওয়া হল।
দুই গ্রুপকেই খাবারের পরিমাণ কম এবং ক্যালরি কম দেওয়া হয়েছিল।
আট সপ্তাহ পর দেখা গিয়েছে, যাদেরকে কালোজিরার তেল খাওয়ানো হয়নি তাদের ওজন
কমেছে ৩.৫০%, আর যাদেরকে কালোজিরার তেল খাওয়ানো হয়েছিল তাদের ওজন কমেছে প্রায়
৬% প্রায় দ্বিগুনের কাছাকাছি।
এবার আসেন কোমরের মাপ। যে গ্রুপে কালোজিরা তেল দেওয়া হলো না তাদের কোমরের মাপ
কমেছে ৩.৫০% এবং যে গ্রুপের কালোজিরার তেল দেওয়া হয়েছিল তাদের কোমরের মাপ কমেছে
প্রায় ৭% এর থেকে বোঝা যায় যে কালোজিরার খাওয়ার ফলে ওজন কমতে থাকে।
এবার জেনে নেওয়া যাক ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে
মধু এবং লেবু দিয়ে, এক চিমটি কালোজিরা পিসে গুড়া তৈরি করে নয়ে এক গ্লাস হালকা
গরম জলে কালোজিরার গুড়া দিয়ে ভালো করে মিক্স করুন এর মধ্যে এক চা চামচ মধু এবং
এক চা চামচ লেবুর রস নিন সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে এটা খালি পেটে পান করলে
দ্রুত ওজন কমতে শুরু করবে।
একটি বাটিতে ৮ থেকে ১০টি কালোজিরা নিয়ে তাতে অল্প একটু লেবুর রস মিশাল, তারপর
কালোজিরা রোদে দুই থেকে তিন দিন রাখুন, ওজন কমাতে প্রতিদিন সেখান থেকে দুই থেকে
চারদোনা কালোজিরা চিবিয়ে খান।
সরাসরি জল দিয়ে, কয়েকটি কালোজিরা নিন এবং হালকা গরম জল দিয়ে গিলে ফেলুন অথবা
এক গ্লাস জলে ৮ থেকে ১০ টি কালোজিরার দানা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন সকালে ভালো করে
ছেঁকে জল খেয়ে নিন তাহলে দ্রুত ওজন কমতে শুরু করবে।
প্রিয় পাঠক, আশা করি সকল সঠিক তথ্য আপনি পেয়ে গিয়েছেন। টানা ৭ দিন কালোজিরা
খেলে কি হয় এই আর্টিকেলে ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম পড়ে যদি আপনি উপকৃত
হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিবার, আপনার বন্ধু ও বান্ধবী এবং আপনার আত্মীয়-স্বজন
দের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
শেষ কথা
বন্ধুগণ, থাকি। শেষ কথা ই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে
কি হয় এই সকল তথ্য আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। কোন কিছু
বুঝতে না পারলে বা কোন তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে
যোগাযোগ করতে পারে।
অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে
অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো
লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
শেষ কথা আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে
দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয় এর
সমস্ত তথ্য পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন পোস্ট
পেতে আমাদের ওয়েবসাইট
ফলো
করুন, ধন্যবাদ।
টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয় বিস্তারিত জেনে নিন এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো
লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার আপনার বন্ধুবান্ধব আপনার আত্মীয়-স্বজনদের কাছে
অবশ্যই শেয়ার করবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url