কলার উপকারিতা ও অপকারিতা পুষ্টিগুণ ভিটামিন খাওয়ার নিয়ম

ভূমিকা

ছোট বড় প্রায় সকলেরই কলা অনেক বেশি প্রিয়, কলা এমন একটি ফল এটা বারো মাস পাওয়া যায়। তাই সহজ লভ্য এই ফলের অনেক রকমের ভিটামিন পুষ্টি গুনে ভরপুর খাওয়ার উপকারিতা ও অনেক। তাই আমি আজকে আপনাদের মাঝে, কলার উপকারিতা ও অপকারিতা পুষ্টিগুণ ভিটামিন খাওয়ার নিয়ম নিয়ে হাজির হয়েছি।
কলার উপকারিতা ও অপকারিতা পুষ্টিগুণ ভিটামিন খাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আশা করি ভালই আছেন। প্রতিদিনের মতো আজকেও আরও একটি নতুন ব্লগ আর্টিকেল নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের আর্টিকেলটি মূলত, কলার উপকারিতা ও অপকারিতা, কলার উপকারিতা, কলার অপকারিতা, কলার পুষ্টিগুণ, কলা খাওয়ার নিয়ম।

এই সমস্ত তথ্য যদি আপনি গুগোলে খুজে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন আশা করি সীমা আইটি ওয়েবসাইটে সকল সঠিক তথ্য খুঁজে পাবেন।

কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। কাঁচা কলা এবং পাকা কলা দুই কলাই নানান রকমের পুষ্টিগুণ ভিটামিনে ভরপুর এবং খাওয়ার ফলে উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক। তবে কলা অপকারীর তুলনায় উপকারিতা বেশি। কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কলার অপকারিতা

কলার অপকারিতা জানতে হলে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
  • ওজন বৃদ্ধি করে মাঝারি মাপের একটি পাকা কলায় ১০৫ ক্যালরি শক্তি থাকে। তাই বেশি কলা খেলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা অনেক বেশি।
  • মাইগ্রেন কারো যদি মাইগ্রেনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তাদের যতটা সম্ভব কলা এড়িয়ে চলা উচিত। কলায় তাইরা মায়ের নামের এক ধরনের উপাদান থাকে যা মাইগ্রেন এর কারণ।
  • হাইপার ক্যালেমিয়া রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে এই রোগ হয়। এই রোগে আক্রান্তরা সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। হৃদপিন্ডের স্পন্দন অনিয়মিত হয়ে থাকে। কলায় পটাশিয়াম থাকায় বেশি খেলে এই রোগ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • দাঁতের ক্ষয় প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকায় বেশি কলা খেলে দাঁতের ক্ষতি হয়। এমনকি দাঁতের শর্করার জন্য কলা চকলেটের থেকেও বেশি ক্ষতিকারক।
  • ক্লান্তি পাকা কলাতে ট্রিপটোফ্যান আমাইনো অ্যাসিড থাকে। এই এমাইনো এসিডের প্রভাবে মানসিক কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। দেহে ক্লান্ত অলসতা আসে এবং সব সময় ঘুম পায়।
  • শ্বাস নিতে সমস্যা যাদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা আছে তারা বেশি মাত্রায় কলা খেলে শ্বাস বেড়ে যেতে পারে।

প্রিয় পাঠক এই ছিল কলার অপকারিতা। তবে কলার অপকারিতা দেখে কলা খাওয়া বাদ দিবেন না। কারণ কলার উপকারিতার তুলনায় অপকারিতা ক্ষতি সামান্য। কলার উপকারিতা ও অপকারিতা পরে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে পরিচিতদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

কলার উপকারিতা

আমাদের মানব শরীরের জন্য কলার উপকারিতা অনেক। কলার উপকারিতা জানতে হলে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
  • লিভার সুস্থ রাখে কলার পটাশিয়াম লিভার এমন কি কিডনি ও ভালো রাখে। ইউরিনে ক্যালসিয়াম জমা হতে বাধা দেয় বলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এর ফলে হাড় মজবুত হওয়ার জন্য আরও বেশি ক্যালসিয়াম বরাদ্দ থাকে।
  • হৃদযন্ত্র ভালো রাখে পাকা কলা পটাশিয়ামের আধার। প্রতিদিন একটি বা দুটি কলা খেলে আপনার হৃদযন্ত্র অনেক বেশি সচল থাকবে এবং হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে।
  • শরীরে শক্তি যোগায় কলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা এবং ফাইবার, যা ধীরে হলেও দৃঢ় শক্তির যোগান দেয় শরীরে। এই কারণে খেলোয়ারদের খেলার মাঠে কলা খেতে দেখা যায়।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে কলা। কোষ্ঠকাঠিন্যর জন্য ল্যাক্সেটিভ অর্থাৎ মল নরম করার ঔষধ না নিয়ে অতিরিক্ত পাকা কলা খেয়ে দেখুন ভালো ফলাফল পাবেন।
  • বদ হজমে সহায়তা করে কলার ফাইবার এবং প্রোবায়োটিক অলিগোস্যাকারাইড হজমের দারুণ সহায়ক এর ফলে আপনার শরীর আরো বেশি পুষ্টি সঞ্চয় করতে পারে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলায় এসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬, যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড সৃষ্টি করে, রক্তে শর্করার পরিমাণ সঠিক রাখে এবং হিমোগ্লেবিন বৃদ্ধি করে। অর্থাৎ, শরীরে উৎকৃষ্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টির জন্য কলার জুড়ি মেলা ভার।
  • পাকস্থলীর আলসার এবং বুক জ্বালা রোধ করে পাকস্থলীর আলসারের ভুগছেন? কিংবা বুক জ্বালা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না? নিয়মিত কলা খান। প্রটেকটিভ নিউ ক্লাস প্লেয়ার বৃদ্ধির মাধ্যমে পাকস্থলীতে পিএইচ লেভেল ঠিক রাখে, আপনার বুক জ্বালা এবং পাকস্থলীর আলসার থেকে রক্ষা করবে।
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত পাকা কলা শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ TNF-A নামক এক ধরনের যৌগ সরবরাহ করে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়ায়। এতে করে ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
  • শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি করে কলা ডোপামিন, ক্যাটেচিস্ন এর মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ এন্টিঅক্সিডেন্ট এর দারুন উৎস। এগুলো শরীরকে সার্বিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার কাজ করে।
  • ত্বক সজীব করে কলার চামড়ায় কিছু পরিমানে ফ্যাটি উপাদান আছে, যা ত্বকে ঘষলে মশ্চারাইজার এর মত কিছু উপাদান পেতে পারেন। আবার ব্রণ দূর করার জন্য কলার চামড়া ব্যবহার করা হয়। তবে সব ধরনের ত্বকের জন্য তা কাজ করতে পারে না।
  • মানসিক চাপ কমায় ও সুনিদ্রায় সহায়তা করে কলায় আছে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো এসিড যা সেরোটোনিনে পরিবর্তিত হয়। সেরোটোনিনের সঠিক মাত্রা আপনার মুখ ঠিক রাখবে এবং মানসিক চাপ কমাবে এতে করে আপনার ভালো ঘুম হবে।

কলার পুষ্টিগুণ

কলা এমনই একটা ফল যার ভিতরে সকল ভিটামিন বিদ্যমান। পৃথিবীতে এমন ফল খুব কমই আছে যার মধ্যে সকল ভিটামিন পুষ্টিগুণ বিদ্যমান রয়েছে। কলার পুষ্টিগুণ ভিটামিন সম্পর্কে জানতে হলে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।


কলাতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে পটাশিয়াম, ফাইবার, ন্যাচারাল সুগার, গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ ইত্যাদি। প্রিয় পাঠক আপনি যেই কলাই খান না কেনো সকল কলার পুষ্টিগুণ একই। কলার পুষ্টিগুণ কোনটার বেশি কোনটার কম এটা নির্ভর করে কলার সাইজ এর ওপর।

কলা খাওয়ার নিয়ম

কলা শরীরের জন্য উপকারী কিন্তু কলা অসময় খেওয়ার ফলে শরীরের পক্ষে অপকারী। আমরা কলা খেয়ে থাকি কিন্তু কলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানি না। কলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হলে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে যাকুন। গবেষণায় প্রমাণিত এবং ডাক্তারদের মতে সাধারণত সকালবেলা কলা খাওয়ার ফলে শরীরের পক্ষে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

ভুলেও সকালবেলা খালি পেটে কলা খাবেন না, বিশেষ করে সকালবেলার হালকা নাস্তা শেষ করে আধা ঘন্টা পর কলা খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় এবং দুপুরে খাবার খাওয়ার আধা ঘন্টা আগে কলা খাবেন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন। রাতে ঘুমানোর আগে কলা খাবেন না। তাহলে শরীরের পক্ষে অপকার।


প্রিয় পাঠক কলা খাওয়ার নিয়ম পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে জনসচেতনতার ক্ষেত্রে পরিচিতদের কাছে শেয়ার করবেন।

শেষ কথা

বন্ধুগণ, থাকি। শেষ কথাই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল কলার উপকারিতা ও অপকারিতা পুষ্টিগুণ ভিটামিন খাওয়ার নিয়ম এই সকল তথ্য আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। কোন কিছু বুঝতে না পারলে বা কোন তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

শেষ কথা আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে কলার উপকারিতা ও অপকারিতা পুষ্টিগুণ ভিটামিন খাওয়ার নিয়ম এই সমস্ত তথ্য পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।

কলার উপকারিতা ও অপকারিতা পুষ্টিগুণ ভিটামিন খাওয়ার নিয়ম এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার আপনার বন্ধুবান্ধব আপনার আত্মীয়-স্বজনদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url