বাগদা চিংড়ি ইংরেজি কি মাছের খাবার বাগদা গলদা চিংড়ির পার্থক্য

ভূমিকা

বাগদা চিংড়ি অত্যন্ত সুস্বাদু একটি চিংড়ি মাছ, যা নোনা জলেও বাস করে আবার মিষ্টি জলেও বাস করে। বাগদা চিংড়ি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেতে এই আর্টিকেল। এই আর্টিকেলের থাকছে বাগদা চিংড়ি ইংরেজি কি মাছের খাবার বাগদা গলদা চিংড়ির পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
বাগদা চিংড়ি ইংরেজি কি মাছের খাবার বাগদা গলদা চিংড়ির পার্থক্য

প্রিয় পাঠক আশা করি ভালই আছেন। প্রতিদিনের মতো আজকেও আরও একটি নতুন ব্লগ আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত এই সকল প্রশ্ন এবং উত্তর খুঁজে পাবেন তা হল, বাগদা চিংড়ি ইংরেজি কি, বাগদা চিংড়ি ও গলদা চিংড়ির পার্থক্য, বাগদা চিংড়ি মাছের খাবার, বাগদা চিংড়ির রোগ ও প্রতিকার, বাগদা চিংড়ি মাছ চাষ করার নিয়ম।

পোস্ট সূচিপত্রঃউপরের উল্লেখিত তথ্য যদি আপনি গুগলে খোঁজে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য এবং মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন আশা করি সীমা আইটি ওয়েবসাইটের সকল সঠিক তথ্য খুঁজে পাবেন।

বাগদা চিংড়ি ইংরেজি কি

বাগদা চিংড়ি ইংরেজি কি এই রকম প্রশ্ন অনেকেই গুগলে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। প্রিয় পাঠক বাগদা চিংড়ি ইংরেজি কি জানতে হলে নিচের লেখা মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

বাগদা চিংড়ি ইংরেজি হল, Bagda shrimp. অথবা বাগদা চিংড়ি ইংরেজি আরেকটি নামেও ডাকা যায় Prawn. প্রিয় পাঠক বাগদা চিংড়ি ইংরেজি কি আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

বাগদা চিংড়ি ও গলদা চিংড়ির পার্থক্য

বাগদা চিংড়ি ও গলদা চিংড়ির পার্থক্য অনেকটাই তফাৎ, বাগদা চিংড়ি ও গলদা চিংড়ির পার্থক্য জানতে হলে নিচের লেখাগুলো পড়তে থাকুন।
বাগদা চিংড়ি পার্থক্য
  • বাগদা চিংড়ি ৭ ধরনের রয়েছে, আবার এদের মধ্যে ৫৪০ প্রজাতির বাগদা চিংড়ি রয়েছে। নিচে বাগদা চিংড়ি পার্থক্য উল্লেখ করা হলো।
  • বাগদা চিংড়িকে সম্পূর্ণভাবে বাঁকানো যায় না।
  • বাগদা চিংড়ি সাধারণত সামদ্রিক লোনা পানিতে বসবাস করে। প্রজনন ঋতুর সময় অল্প লোনা জলে চলে আসে।
  • বাগদা চিংড়ি অন্যান্য মাছের সাথে মিশ্র চাষ করা যায় না।
  • বাগদা চিংড়ির মাথা বড় এবং দেহ ছোট, গায়ের রং বাঘের মত লালচে বাদামী আড়াআড়ি টানটান দাগ রয়েছে।
  • বাগদা চিংড়ির চলন পথে তিন জোড়া অর্থাৎ ছয়টা চিন্তা থাকে।
  • বাগদা চিংড়ি সর্বোচ্চ ১৩ ইঞ্চি এবং ওজনে ৪৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাগদা চিংড়ি প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় তুলনামূলকভাবে আকারে ছোট হয়।
  • বাগদা চিংড়ির পা দুই জোড়া অর্থাৎ ৪ টি এবং শাখান্বিত ফুলকা রয়েছে।

প্রিয় পাঠক চিংড়ির পার্থক্য। গলদা চিংড়ির পার্থক্য জানতে হলে নিচের লেখাগুলোও মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

গলদা চিংড়ির পার্থক্য

  • গলদা চিংড়ি মিঠা পানির প্রজাতির মাছ, তবে অল্প লোনা জলেও পাওয়া যায়।
  • গলদা চিংড়ি অন্যান্য মাছের সাথে মিশ্র চাষ করা যায়।
  • গলদা চিংড়ির মাথা ও দেহ প্রায় সমান।
  • গলদা চিংড়ির গায়ের রং হালকা সবুজ থেকে বাদামী রং এর হয়ে থাকে।
  • গলদা চিংড়ির পা ৩ জোড়া অর্থাৎ ৬ টি, প্লেটের ন্যায় ল্যামিলার ফুলকা রয়েছে।
  • বাগদা চিংড়ি প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় তুলনামূলকভাবে আকারে অনেক বড় হয়।
প্রিয় পাঠক এই ছিল বাগদা চিংড়ির পার্থক্য। বাগদা চিংড়ি ও গলদা চিংড়ির পার্থক্য পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে পাশাপাশি চিংড়ি মাছ ব্যবসায়ী দের কাছে আমার এই তথ্যটি শেয়ার করতে পারেন।

বাগদা চিংড়ি মাছের খাবার

প্রিয় পাঠক বাগদা চিংড়ি মাছকে খাওয়ানোর জন্য বাজারে নানান রকমের খাদ্য রয়েছে। এগুলো খাদ্য চিংড়ি মাছ কে খাওয়ানোর ফলে চাষীদের তাকার পরিমাণ বেড়ে যাবে এবং লাভের পরিমাণ কমে যাবে। তাই বাজার থেকে খাদ্য না কিনে বিভিন্ন উপাদানের মাধ্যমে বাড়িতেই বাগদা চিংড়ির খাবার তৈরি করতে পারবেন।

বাগদা চিংড়ি মাছের খাবার কি বা বাগদা চিংড়ি কি খেতে বেশি পছন্দ করে, বাগদা চিংড়িকে কি খাওয়ানো উচিত এই সকল প্রশ্ন যদি খুঁজে থাকেন তাহলে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।


বাগদা চিংড়ি মাছের খাবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে, নিচে উল্লেখ করা হলো।

বাগদা চিংড়ির জন্য আমিষ জাতীয় খাবার যেমন, রেশমকীট মিল, সরিষার খৈল, তিলের খৈল, নারিকেলের খৈল, ফিশ মিল, বাদামের খৈল, মিট আথবা বোন মিল, চিংড়ির গুড়া, কাঁকড়ার গুড়া, শুটকি মাছের গুড়া ইত্যাদি।

বাগদা চিংড়ির জন্য তৈল জাতীয় খাবার যেমন, সরিষার তেল, মাছের তেল, তিলের খৈল, বাদাম এর গুড়া বা তেল ইত্যাদি।

বাগদা চিংড়ির জন্য শর্করা জাতীয় খাবার যেমন, চালের গুড়ো, ভুট্টার আটা, ক্ষুদিপানা, কুটিপানা, বাঁধাকপি, হেলেঞ্চা, গমের ভূষি, শালোনচি ইত্যাদি।

উপরে উল্লেখিত খাবার গুলো বাগদা চিংড়ি মাছের খাবার বা এগুলো খাবার দেওয়া প্রয়োজন।

বাগদা চিংড়ির রোগ ও প্রতিকার

বাগদা চিংড়ির রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হলে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক বাগদা চিংড়ির রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে।

প্রিয় পাঠক বাগদা চিংড়ির রোগ ও প্রতিকার এবং বাগদা চিংড়ি চাষ করার ক্ষেত্রে প্রথমত অবশ্যই আপনাকে একটি ভালো পুকুর নির্বাচন করতে হবে। পুকুরটির চারপাশের যেন রোদের আলো পড়ে।

বাগদা চিংড়ি চাষ করার জন্য প্রথমে পুকুরের পানি শুকাতে হবে পাশাপাশি পুকুরের নরম কাদা শুকাতে হবে। নয়তো দূষিত পানি এবং কাঁদো তে নানান রকমের ব্যাকটেরিয়া থাকে যা চিংড়ির জন্য ক্ষতিকারক।

পুকুরের চারপাশে নেট দিয়ে ঘেরাও করতে হবে। নয়তো কাঁকড়া, ব্যাংক, কেঁচো, সাপ, শামুক ইত্যাদি প্রবেশ করবে এতে চিংড়ির ক্ষতি এবং রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি পাবে।

বাগদা চিংড়ি মাছ চাষ করার নিয়ম

বাগদা চিংড়ি মাছ চাষ করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।

বাগদা চিংড়ি চাষ করার ক্ষেত্রে নদীমাতৃক এলাকায় ভালো হয়। কারণ বাগদা চাষ করার জন্য নোনা জল এর প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে নদীর পাশে যদি কোনো পুকুর থাকে সেই পুকুরে বাগদা চিংড়ির চাষ আরো ভালো হয়। এছাড়াও বাগদা চিংড়ি মাছ চাষ করার নিয়ম নিচে উল্লেখ করা হলো।

বাগদা চিংড়ি চাষ করার ক্ষেত্রে ভালো মানের একটি পুকুর নির্বাচন করতে হবে। পুকুরটি পানি শুন্য করে কাদামাটি রোদে ভালোভাবে শুকাতে হবে। পুকুরের তলায় ট্যাকটার বা নাঙ্গল দিয়ে চাষ করতে হবে। দুই থেকে তিনদিন পর পুকুরটির আয়তন অনুযায়ী ছার প্রয়োগ করতে হবে। পুকুরের চারপাশে নেট দিয়ে ঘিরে রাখতে হবে।

পুকুরে পরিষ্কার জল দিতে হবে। পুকুরে জল দেওয়ার পর জলের জীবাণুম মুক্ত করতে হবে তার জন্য রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করতে হবে যা উপরে উল্লেখ করা রয়েছে। বাগদা চিংড়ি চাষ করার ক্ষেত্রে পুকুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণ দিতে হবে। বাগদা চিংড়ি চাষ করার ক্ষেত্রে পুকুরে নেট দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করবেন।


উপরে উল্লেখিত সকল তথ্য সম্পূর্ণ হওয়ার পরে বা পুকুর প্রস্তুত করা শেষ হলে আপনি গলদা চিংড়ির বাচ্চা ছাড়বেন। প্রয়োজনে মৎস্য কর্মকর্তাদের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখবেন। প্রিয় পাঠক আশা করি বাগদা চিংড়ি মাছ চাষ করার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা ন্যূনতম ধারনা পেয়ে গিয়েছেন।

শেষ কথা

বন্ধুগণ, শেষ কথাই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল বাগদা চিংড়ি ইংরেজি কি মাছের খাবার বাগদা গলদা চিংড়ির পার্থক্য এই সকল তথ্য আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। কোনো কিছু বুঝতে না পারলে বা কোনো তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

শেষ কথা আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে বাগদা চিংড়ি ইংরেজি কি মাছের খাবার বাগদা গলদা চিংড়ির পার্থক্য এর সমস্ত তথ্য পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।

বাগদা চিংড়ি ইংরেজি কি মাছের খাবার বাগদা গলদা চিংড়ির পার্থক্য এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার আপনার বন্ধুবান্ধব আপনার আত্মীয়-স্বজনদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url