শসা দিয়ে ফেসিয়াল উপকারিতা অপকারিতা খাওয়ার নিয়ম রাতে চোখে

স্বাস্থ্যের জন্য শসা যেমন উপকারী তেমনি রূপচর্চায় শসার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। শসা কে বলা হয় প্রাকৃতিক কুলিং পাওয়ার যা আমাদের শরীর ও ত্বক দুটোই ঠান্ডা রাখে। শসা দিয়ে ফেসিয়াল উপকারিতা অপকারিতা খাওয়ার নিয়ম রাতে চোখে এ সকল তথ্য খুঁজে পাবেন এই আর্টিকেলে।

প্রিয় পাঠক আশা করি ভালই আছেন। প্রতিদিনের মতো আজকেও আরো একটি নতুন ব্লগ আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকের আর্টিকেল শসা দিয়ে ফেসিয়াল উপকারিতা অপকারিতা খাওয়ার নিয়ম রাতে চোখে নিয়ে। এই আর্টিকেলে যে সকল প্রশ্ন এবং উত্তর খুঁজে পাবেন তা নিচে উল্লেখ করা হলো।

শসা দিয়ে ফেসিয়াল, শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, শসা খাওয়ার নিয়ম, চোখে শসা দিলে কি হয়, রাতে শসা খাওয়ার উপকারিতা। প্রিয় পাঠক এই সকল প্রশ্ন যদি আপনি গুগলে খুঁজে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য এবং মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন আশা করি সীমা আইটি ওয়েবসাইটে সকল সঠিক তথ্য খুঁজে পাবেন।

শসা দিয়ে ফেসিয়াল এর ভূমিকা অপরিসীম। শসা দিয়ে ফেসিয়াল কিভাবে করবেন কেমন করে করবেন নিচে উল্লেখ করা হলো।

• রোদে পোড়া কালো দাগ দূর করতে শসার ব্যবহার। বাহিরের রোদ থেকে এসে নরমাল পানি দিয়ে মুখটাকে ভালো করে ক্লিন করে নিন তারপর শসা পাতলা পাতলা করে কেটে পুরো মুখের উপর লাগিয়ে রাখুন অথবা শসা খেতা করে রস বের করে রস মুখে এপ্লাই করতে পারেন।
• ত্বকের কালো দাগ দূর করে উজ্জ্বলতা বাড়াতে শসার ব্যবহার। ৩ চা চামচ শসার রস এবং ১ চা চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিন, তারপর সেই মিশ্রণ মুখে লাগান ১৫ মিনিট পর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
• যাদের ত্বক অতিরিক্ত অয়েলি তাদের ক্ষেত্রে শসার ব্যবহার। শুধু শসা ব্লেন্ডারের ব্যান করে রসটাকে বের করে নিয়ে আইস কিউব বানিয়ে নিন। প্রতিদিন একটু করে আইস কিউব তোকে ঘোষণা তাহলে ত্বকের অয়েলি বা তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যাবে।
• চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে শসার ব্যবহার। শসা কে ভালোভাবে থেতা করে চোখের চারপাশে লাগিয়ে রাখুন আধাঘন্টা পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
• ত্বকের কালো দাগ দূর করতে শসা ও মুসুরির ডাল এর ব্যবহার। শসা ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে রস বের করে নিন এবং মুসুরির ডাল ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে নিয়ে পরিমাণ মতো মসুরির ডালের গুড়া এবং শসার রস ভালোভাবে মিক্সচার করে মুখে ব্যবহার করুন, ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
• শসার বাসন ও অ্যালোভেরা একসাথে মিক্সার করে নিয়ে মুখের উপর ভালোভাবে মিশিয়ে নিন ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন এতে আপনি সুন্দর চেহারার অধিকার লাভ করবেন।

প্রিয় পাঠক শশা দিয়ে ফেসিয়াল এই আর্টিকেলে আশা করি আপনি অনেকটাই তথ্য পেয়েছেন। পড়ে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে পরিচিত ব্যক্তিদের কাছে শেয়ার করতে পারেন।

সারা বিশ্বে আবাদ হওয়ার দিক থেকে ৪ নম্বরে রয়েছে যে সবজিটি সেটি হল শসা। শসায় রয়েছে হরেক রকম গুণ। শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

দেহের পানি শূন্যতা দূর করে, দেহের ভেতর বাহিরের তাপ শোষক, বিষাক্ততা দূর করে, প্রত্যাহিত ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে, ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, চোখের জ্যোতি বাড়ায়, ছানি পড়া ঠেকাতে শসার ভূমিকা অপরিসীম, ক্যান্সার প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে।

ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয়, কোলেস্টোরেল কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, মুখ পরিষ্কার রাখে, চুল ও নখ সতে সতেজ করে, মাথা ব্যাথা দূর করে, কিডনি ভালো রাখে ইত্যাদি। প্রিয় পাঠক এই ছিল শসা খাওয়ার উপকারিতা। আশা করি আপনারা শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়ে গিয়েছেন।

অতিরিক্ত মাত্রায় শসা খাওয়ার ফলে হাত পায়ে পানি জমতে শুরু করবে, চুল পড়া শুরু হতে পারে, শরীর দুর্বলতা হয়ে আসে, খিদে কম লাগে, ওজন কমে, অনেকের এসিডিটি হয়, টক্সিন এর মাত্রা বেড়ে যায়। যাদের স্বাস্থন্ত্রের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে শসা কিডনির কাজে ব্যাঘাত ঘটায়, কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি হতে পারে।

প্রিয় পাঠক শসার উপকারিতার পাশাপাশি অনেক অপকারিতা ও রয়েছে। আশা করি শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আপনার পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে এই তথ্যটি শেয়ার করতে পারেন।

শুনতে অবাক লাগলেও এই কথাটি সঠিক যে আমরা শসা খেলেও শসা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানি না। অনেকেরই শসা হজম হতে চায় না তাই অনেকেই শসা খেতে ভয় পান বা খেতে চান না। আজকে আমি এই আর্টিকেলে শসা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানাবো যা অনুসরণ করলে অন্যান্য খাবারের সাথে শসা ও হজম হয়ে যাবে।

শসা ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে তিতা অংশ ফেলে দিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন, তারপর চাকা চাকা করে কাটতে হবে তারপর একটি পাত্রে পরিমাণ মতো লবণ এবং একটি লেবুর রস বের করে নিন। লবণ, লেবুর রস ও শসা ভালোভাবে মিক্সচার করে কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে খাবেন তাহলে খুব সহজেই হজম হবে এবং মুখের স্বাদ ফিরবে।

শসা তরকারিতে দিয়ে সবজি হিসেবেও খেতে পারেন আবার অনেকেই শসা কে সালাদ বানিয়ে ভাতের সঙ্গে খাই। শসা পানির পিপাসা মিটাই তাই শসা এমনিতেই খেতে পারেন। প্রিয় পাঠক এই ছিল শসা খাওয়ার নিয়ম।

চোখে শসা দিলে কি হয়, অফিসিয়াল বা রূপচর্চার অংশ হিসেবে অনেকেই চোখের উপর শসার টুকরো দিয়ে রাখেন। কিন্তু এই শসার টুকরো কিছুক্ষণ চোখের উপর রেখে দিলে কি উপকার হয় তা জানেন কি?

চোখে শসা দিলে কি হয়, শসাই অনেক দরকারি ভিটামিন ও খনিজ আছে। এতে থায়ামিন, রিবোফ্লোবিন, ভিটামিন বি৬, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর মত উপাদান থাকে। এই উপাদান গুলো শরীরের জন্য যেমন দরকারি তেমনি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কার্যকর, চলুন জেনে নেওয়া যাক চোখে শসা দিলে কি হয় সেই সম্পর্কে।

চোখের ফোলা ভাব দূর করে, চোখের শুষ্ক ভাব দূর করে, চোখের ক্লান্তি দূর করে এবং সতেজ ভাব আনতে সাহায্য করে, চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে, ত্বকের অন্যান্য চামড়ার তুলনায় চোখের চারপাশের চামড়া অত্যন্ত পাতলা হয় তাই চোখে শসা দিয়ে রাখলে ত্বক কুচকে যাওয়া বা বলিরেখা দূর করে।

চোখের নিচের চামড়া ধুলিয়ে পরা রোধ করতে শসা দারুণ ভূমিকা পালন করে পাশাপাশি ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে শসার ভূমিকা অপরিসীম। প্রিয় পাঠক চোখে শসা দিলে কি হয় আশা করি আপনারা ন্যূনতম ধারনা পেয়ে গিয়েছেন।

রাতে শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নিচের বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। রাতে শসা খাওয়ার ফলে ঘুম ভালো হয়, ঘুমের মাঝে কেউ যদি হঠাৎ করে ডাক দেই আপনি তৎক্ষণাৎ যদি উঠে পাড়েন তাহলে মাথায় ব্যথা অনুভব হয় বা মাথা ধরে। মাথা ধরা বা মাথাব্যথা পাওয়া থেকে মুক্তি পেতে রাতে ঘুমানোর আগে টুকরা শসা খান উপকার পাবেন।

ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর ম্যাজ ম্যাজ করে এবং ক্লান্ত অনুভব হয় এর থেকে মুক্তি পেতে হলে রাতে ঘুমানোর আগে কয়েক টুকরা শসা খান। পানি শূন্যতা দূর করে। প্রিয় পাঠক এই ছিল রাতে শসা খাওয়ার উপকারিতা ভালো লেগে থাকলে পরিচিত ব্যক্তিদের কাছে শেয়ার করতে পারেন।

বন্ধুগণ, শেষ কথাই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল শসা দিয়ে ফেসিয়াল উপকারিতা অপকারিতা খাওয়ার নিয়ম রাতে চোখে এই সকল তথ্য আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। কোনো কিছু বুঝতে না পারলে বা কোনো তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

শেষ কথা আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে শসা দিয়ে ফেসিয়াল উপকারিতা অপকারিতা খাওয়ার নিয়ম রাতে চোখে এর সমস্ত তথ্য পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।

শসা দিয়ে ফেসিয়াল উপকারিতা অপকারিতা খাওয়ার নিয়ম রাতে চোখে এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার আপনার বন্ধুবান্ধব আপনার আত্মীয়-স্বজনদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন