আম গাছের বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা আম উপকারিতা বৈজ্ঞানিক
ভূমিকা
আম ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং হাইতির জাতীয় ফল। আমের মুন মাতানো গন্ধ আর
অতুলনীয় স্বাদ যা অন্য কোনো ফলের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। সেই সাথে আমে রয়েছে
অসাধারণ সব পুষ্টি উপাদান, সেই জন্য আমাকে বলা হয় ফলের রাজা। আম গাছের বৈশিষ্ট্য
ও উপকারিতা আম উপকারিতা বৈজ্ঞানিক নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
প্রিয় পাঠক আশা করি ভালই আছেন। প্রতিদিনের মতো আজকেও আরও একটি নতুন ব্লগ
আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে, আম গাছের
বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা, আম উপকারিতা, আমের বৈজ্ঞানিক নাম কি এই সমস্ত তথ্য যদি
আপনি গুগলে খুঁজে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
আম গাছের বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা
আম গাছের বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের লেখাগুলো
ধৈর্য এবং মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
আম গাছে বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলা হল, আম গাছ মূলত ৩০ থেকে ৪০ মিটার এবং ১১০ থেকে
১৩০ ফিট পর্যন্ত সর্বোচ্চ লম্বা হয়ে থাকে আম গাছের ব্যাসার্ধ ১০ মিটার থেকে ৩৫
ফিট পর্যন্ত হয়ে থাকে। আম গাছের প্রধান শিকড় মাটির নিচে প্রায় ২০ ফিট গভীর
পর্যন্ত যায়।
আম গাছের পাতা চিরো সবুজ, সরল ১৫ থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ৫ থেকে ১৫
সেন্টিমিটার চওড়া হয়ে থাকে। কচি পাতা দেখতে লালচে গোলাপি রঙের হয়। আম গাছ বহু
বছর ধরে বাঁচে মূলত এটা বিজ্ঞানীরা এখনো বিশ্লেষণ করতে পারেনি। তবে বিজ্ঞানীরা
এটা প্রমাণ করেছেন কিছু প্রজাতির আমগাছ ৩০০ বছর বয়সেও ফল দেয়।
প্রিয় বন্ধুগণ এতক্ষণে আপনারা আম গাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানলেন এবার আম গাছের
উপকারিতা সম্পর্কে জানবেন।
আম গাছের শীতের শেষের দিকে মুকুল ধরে এবং গ্রীষ্মকালের ফল পাকে। আমের আটি ও ছালে
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। এছাড়াও আম গাছের প্রতিটি অংশতেই উপকারিতা জর্জরিত।
যেমন নিচে উল্লেখ করা হলো।
- শীতকালে যাদের পা ফাটে তাদের ক্ষেত্রে আম গাছের ছাল বেটে ফাটা পায়ে লাগানোর ফলে পা-ফাটা ভালো হয়ে যাবে।
- আমি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। যাদের ভিটামিন সি এর অভাবে নানান রকমের রোগ দেখা যায় তাদের ক্ষেত্রে আম অত্যন্ত উপকারী। যেমন মুখের দুর্গন্ধ, দাঁতের যন্ত্রণা, মারীর ব্যথা ইত্যাদি।
- আমের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম যা হার্ডকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও ত্বকের সাধারণ সৌন্দর্য ফিরে আনে।
- আম পাতার সাহায্যে কানের অসুখ দূর করা যায়। আম পাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে বেটে রস কানে দেওয়ার ফলে কানের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
- আম পাতা রক্তচাপ কমায়, শ্বসনতন্তের সমস্যা নিরাময় করে, দেহের পোড়া সারায়, ইউরিক এসিডের সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে আম পাতা, স্ট্রেস কমায়, কিডনির পাথর দূর করে, মৌখিক স্বাস্থ্য বজায় রাখে ইত্যাদি।
প্রিয় পাঠক এই ছিল আম গাছের বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। ভালো
লেগে থাকলে অবশ্যই পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে শেয়ার করবেন।
আম উপকারিতা
প্রিয় বন্ধুগণ এখন আমি আলোচনা করব আম উপকারিতা কি বা আম খেলে কি হয়। তার আগে
চলুন জেনে নেওয়া যাক ১০০ গ্রাম আমের মধ্যে কি কি পাওয়া যায়। খুব সামান্য
পরিমাণে প্রোটিন আছে ১.৫ গ্রাম, প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট আছে প্রায় ১৭
গ্রাম, ফ্যাট রয়েছে ০.১৭ গ্রাম। এই খাদ্যের এই ৩ টি উপাদান ছাড়াও অন্যান্য
ভিটামিন এবং মিনারেলস থাকে।
ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, এন্টিঅক্সিডেন্ট, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং
পটাশিয়াম আমের মধ্যে বিদ্যমান। প্রিয় বন্ধুগণ এখন জেনে নেওয়া যাক আম খাওয়ার
ফলে যে সকল উপকারিতা পাওয়া যায় অর্থাৎ আম উপকারিতা সম্পর্কে।
- আম শরীফ গঠনে সহযোগিতা করে।
- শরীরের এনার্জি ফিরিয়ে আনে।
- ব্রেন ডেভলপ করতে সাহায্য করে অর্থাৎ বুদ্ধি বাড়ায়।
- চোখের নানান রকমের সমস্যা সমাধান করে। যেমন রাতকানা রোগ, ছানি পড়া, পানি পড়া ইত্যাদি।
- ত্বক সতেজ রাখে এবং ত্বকের নানান রকমের সমস্যা দূর করে। যেমন ব্রণ, কালো দাগ, এজমা, রোদে পোড়া কালো দাগ ইত্যাদি।
- রক্ত স্বল্পতা দূর করে পাশাপাশি দাঁতের মাড়ি মজবুত করে ও মুখ পরিষ্কার করে।
- শরীরের কোষ কে ড্যামেজ হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং বয়সের ছাপ পড়া কমায়।
- হাড়ের ক্ষয় রোধ দূর করে এবং হাড় মজবুত করে।
- শরীরের মাচাল ঠিক রাখে শরীর সতেজ থাকে।
- এজমা প্রতিরোধ করে।
প্রিয় বন্ধুগণ এই ছিল আমের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আম সম্পর্কে এগুলো
তথ্য জেনে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এই সিজনে আপনি অনেক বেশি আম খাবেন এতে
আপনার শরীরের জন্য উপরের উল্লেখিত উপকার মিলবে।
আমের বৈজ্ঞানিক নাম কি
আমের বৈজ্ঞানিক নাম কি বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো। আমের বৈজ্ঞানিক নাম
ম্যাঙ্গিফেরা ইন্ডিকা, সংস্কৃতে আম্র, বাংলায় আম, ইংরেজিতে ম্যাংগো, মালয় ও জাভা
ভাষায় ম্যাঙ্গা, তামিল ভাষায় ম্যাংকে, এবং চীন ভাষায় ম্যাংকাও বলে।
এর অর্থ সাধারণ। সাধারণের ফল আম। রসলা বা মধু ফলও বলা হয় আমকে। রামায়ণ ও
মহাভারতে আম্রকানন এবং আম্রকুঞ্জ শব্দের দেখা মেলে। ধারণা করা হয় আম প্রায়
সাড়ে ৬০০ বছরের পুরনো। জন্মস্থান নিয়ে রয়েছে নানান তর্ক বিতর্ক।
বৈজ্ঞানিক ম্যাঙ্গিফেরা ইন্ডিকা নামের এই ফল ভারতীয় অঞ্চলের কোথায় প্রথম দেখা
গিয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও আমাদের এই জনপদে যে আমের আদিবাস এই সম্পর্কে
আম-বিজ্ঞানীরা একমত। ইতিহাস থেকে জানা যায়, খ্রিস্টপূর্ব ৩২৭এ আলেকজান্ডার
সিন্ধু উপত্যকায় আম দেখে ও খুঁজে মুগ্ধ হয়েছিলেন।
প্রিয় বন্ধুগণ আমের বৈজ্ঞানিক নাম কি আশা করি আপনারা পুকুরের অংশটুকু করে
বুঝতে পেরেছেন।
শেষ কথা
বন্ধুগণ, শেষ কথাই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল আম গাছের বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা আম
উপকারিতা বৈজ্ঞানিক এই সকল তথ্য আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে
পেয়েছেন। কোনো কিছু বুঝতে না পারলে বা কোনো তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে
যোগাযোগ করতে পারে।
অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে
অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো
লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
শেষ কথা আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে
দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে আম গাছের বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা আম
উপকারিতা বৈজ্ঞানিক এর সমস্ত তথ্য পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন
এরকম নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট
ফলো
করুন, ধন্যবাদ।
আম গাছের বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা আম উপকারিতা বৈজ্ঞানিক এই আর্টিকেলটি যদি আপনার
ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার আপনার বন্ধুবান্ধব আপনার আত্মীয়-স্বজনদের
কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url