গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁসের ১৫ টি উপকারিতা - ডাবের শাঁসের অপকারিতা
ভূমিকা
ডাব আমরা সকলেই খেয়ে থাকি, এটি অনেক উপকারী। ডাব পরিপক্ক হলে এর মধ্যে শাঁস
পাওয়া যায়, দেখতে কিছুটা পাতলা দুধের সরের মতো। আমরা অনেকেই ডাবের শাঁস খেয়ে
থাকি কিন্তু ডাবের শাঁসের পুষ্টিগুণ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে তেমন কারো কোন
ধারনা নেই। তাই গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁসের ১৫ টি উপকারিতা - ডাবের শাঁসের অপকারিতা
নিয়ে হাজির হয়েছি।
প্রিয় পাঠক আশা করি ভালই আছেন। প্রতিদিনের মতো আজকেও আরও একটি নতুন ব্লগ
আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকের আর্টিকেলটি মূলত গর্ভাবস্থায়
ডাবের শাঁসের ১৫ টি উপকারিতা - ডাবের শাঁসের অপকারিতা নিয়ে। এই আর্টিকেলে
রয়েছে, ডাবের শাঁসের পুষ্টিগুণ, গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা, ডাবের
শাঁসের অপকারিতা ইত্যাদি।
ডাবের শাঁসের পুষ্টিগুণ
প্রিয় পাঠক, আমরা অনেকেই ডাব খাই আর ডাবের শাঁস ফেলে দেই। আপনারা কি জানেন ডাবের
শাঁসে কি পরিমাণে প্রতিবন থাকে? ডাবের শাঁসের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে হলে নিচের
লেখাগুলো ধৈর্য ও মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
প্রতি ১০০ গ্রাম ডাবের শাঁস থেকে পাওয়া যায় ৩৫৩ মিলিগ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৩৫৪
ক্যালোরি, ৩.৩ গ্রাম প্রোটিন, ৩৫৬ পটাশিয়াম, ২০ পাওয়া যায় সোডিয়াম, ১৬ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট ৩৩ গ্রাম, ৩.৩ গ্রাম প্রোটিন এছাড়াও ডাবের শাঁসে রয়েছে
ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২, ক্যালসিয়াম, আইরন, ম্যাগনেসিয়াম
ইত্যাদি।
প্রিয় পাঠক এই ছিল ডাবের শাঁসের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। এতসব
পুষ্টিগুণ থাকায় ডাবের জলের পাশাপাশি ডাবের শাঁসের উপকারিতা অপরিসীম।
গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা
ডাব একটু পরিপক্ক হয়ে গেলে এর ভিতরে শাঁস তৈরি হতে থাকে। পাতলা ও সাদা রং এর
হয়ে থাকে, দেখতে কিছুটা দুধের সর এর মত। খেতে অনেক মজার এবং মিষ্টি। গর্ভাবস্থায়
মা ও পেটে থাকা শিশুর জন্য ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা অপরিসীম। গর্ভাবস্থায়
ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে
পড়ুন।
- কচি ডাবের শাঁস গর্ভবতী মায়ের রক্তের গ্লুকোজ ও ইন্সুলেশন সিক্রেসার উন্নত করে ফলে গর্ভবতী মায়ের রক্তের সুগারের মাত্রা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে দায় ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা কমিয়ে দেয়।
- কচি ডাবের শাঁস খেলে গর্ভবতী মা ও পেটে থাকা সন্তান দুজনেরই রক্ত বৃদ্ধি করে ও পেটে থাকা সন্তানের মাংস গঠনে দারুন ভূমিকা রাখে, এটি গবেষকদের মতে প্রমাণিত।
- ডাবের শাঁসে থাকা ফাইবার। প্রতি ১০০ গ্রাম ডাবের শাঁসে প্রায় ৭.২ গ্রাম ফাইবার। এই ফাইবার গর্ভবতী মায়ের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর করতে সাহায্য করে।
- ক্ষুধা নিবারণ করে। ডাবের শাঁসে থাকা ফাইবার ও বিভিন্ন রকমের ভিটামিন গর্ভবতী মায়ের হালকা নাস্তাই খাওয়ার ফলে ক্ষুধা নিবারণ হয়। এটি পেটে অনেকক্ষণ ধরে থাকে ফলে শরীরে এনার্জি দেয়। গর্ভবতী মায়ের জন্য বেশ উপকারী খাবার।
- ডাবের শাঁসে থাকা ক্যালসিয়াম ও মেঙ্গানি এটি গর্ভবতী মায়ের হারের জয়েন এর সুস্বাস্থ্য ভালো রাখে পাশাপাশি পেটে থাকা সন্তানের হাড় মজবুত করে।
- ডাবের শাঁসে প্রচুর পরিমাণে ইউরিক এসিড এটি গর্ভকালীন সময়ে হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা কমানোর পাশাপাশি উচ্চমাত্রায় মনোগিছ রেডস উপাদান থাকায় গর্ভবতী মায়ের শক্তির যোগান দিতে সাহায্য করে বা শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে।
- ডাবের শাঁসে খাওয়ার মাধ্যমে পেটে থাকা সন্তানের ত্বকর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
- একজন নতুন মায়ের পেটে যখন বাচ্চা আসে তখন সেই মাকে নানা রকম ব্যাকটেরিয়ায় আক্রমণ করে। ডাবের শাঁসে থাকা অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি ইনফ্লেমেটরি গর্ভবতী মায়ের ভাইরাস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- ডাবের শাঁসে থাকা প্রচুর পরিমাণে আইরন, একজন গর্ভবতী মায়ের পেটে থাকা বাচ্চার জন্য তাকে প্রতিদিন অনেক পরিমাণ আয়রন জাতীয় খাবার খেতে হয়। আয়রন জাতীয় খাবার খেলে পেটে থাকা বাচ্চার বুদ্ধি বাড়াই, বাচ্চা শক্তিশালী হয়, বাচ্চার শরীর গঠনে বেশ উপকারী ভূমিকা পালন করে।
- ডাবের শাঁসে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফাইবার ও খনিজ পদার্থ থাকায় এটি গর্ভবতী মায়ের যেকোনো খাবার খুব সহজেই হজম করে। তাই ডাবের শাঁসে গর্ভবতী মায়ের ব্লাড সার্কুলার বাড়াই এবং শরীরের কোষে রক্ত সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
- প্রতিদিন পরিমাণ মতো ডাবের শাঁসে খাওয়ার মাধ্যমে পেটে থাকা সন্তানের রোগ প্রতিরোধ করে।
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আপনারা গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
পড়লেন। আশা করি গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা আপনারা ভালভাবে বুঝতে
পেরে।
ডাবের শাঁসের অপকারিতা
প্রিয় পাঠক ডাবের শাঁসের এত সব উপকারিতার মাঝেও কিছু পরিমাণে রয়েছে অপকারিতা।
ডাবের শাঁসের অপকারিতা নিয়ে হাজির হয়েছি। ডাবের শাঁসের অপকারিতা সম্পর্কে
বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। বন্ধুগণ
ডাবের শাঁসের তেমন কোনো অপকারিতা নেই।
হজমের সমস্যা
অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে ডাবের শাঁস খাওয়ার ফলে আপনার হজমের সমস্যা দেখা দিতে
পারে। কারণ এই খাবার হজম হতে অনেক সময় লাগে, ফলে পেটে দেখা দিতে পারে অম্লতা,
গ্যাস, বদহজম ইত্যাদি।
পেট কামরাই
ডাব যদি বেশি বয়সের হয় অথবা ডাবের শাঁস যদি খেতে শক্ত হয় সেই ক্ষেত্রে অধিক
বেশি পরিমাণে ডাবের শাঁস খাওয়ার ফলে পেট কামড়াতে পারে।
ডায়রিয়া
ডাবের শাঁস অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে আপনার ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে। এটি হজম করতে না পারলে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কারণ এতে প্রচুর
পরিমাণে চর্বি থাকে।
বন্ধুগণ আমরা সকলেই জানি যে কোন খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে শরীরে নানান রকম
বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এতক্ষণ আপনারা ডাবের শাঁসের অপকারিতা সম্পর্কে পড়লেন।
আশা করি ডাবের শাঁসের অপকারিতা সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। জনসচেতনতা
ক্ষেত্রে পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে এই মন্তব্যটি শেয়ার করতে পারেন।
শেষ কথা
বন্ধুগণ, শেষ কথাই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল ডাবের শাঁসের অপকারিতা
এই সকল তথ্য আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। কোনো কিছু
বুঝতে না পারলে বা কোনো তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে
যোগাযোগ করতে পারে।
অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে
অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো
লেগে থাকে তাহলে জনসচেতনতার ক্ষেত্রে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে
অবশ্যই শেয়ার করবেন।
শেষ কথা আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে
দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে ডাবের শাঁসের অপকারিতা
এর সমস্ত তথ্য পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন পোস্ট
পেতে আমাদের ওয়েবসাইট
ফলো
করুন, ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url