ভাতের মাড়ের উপকারিতা ১৫ টি

কথায় আছে আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রমে শক্তির যোগান দিতে ভাতের ভূমিকা অপরিসীম। তবে ভাতের মধ্যে থাকে মাড়, ভাতের থেকে মাড়ের উপকারিতা বেশি। মাড় গাছের জৈব সার হিসেবে ও রূপ চর্চার পাশাপাশি, অসংখ্য রোগ প্রতিরোধ করে। ভাতের মাড়ের উপকারিতা ১৫ টি জানতে হলে পড়তে থাকুন।

প্রিয় পাঠক আশা করি ভালই আছেন। প্রতিদিনের মতো আজকেও আরও একটি নতুন ব্লগ আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকের আর্টিকেলটি মূলত ভাতের মাড়ের উপকারিতা নিয়ে। ভাতের মাড়ের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে সীমা আইটি ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে ধৈর্য ও মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

সাধারণত আমরা চাউল ভালোভাবে পরিষ্কার করে পাতিলে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে উনুনে চাউল এবং পানি চাপিয়ে দি। কিছুক্ষণ ধরে চাউল ফোটানোর ফলে ভাত সিদ্ধ হয় এবং পানি মাড়ে পরিণত হয়। অনেকেই মাড় ছেঁকে ফেলে দেয়। অনেকেই জানেনা মাড় মানব দেহের জন্য ভীষণ উপকারী।

ভাতের মাড়ে রয়েছে প্রায় ১০% ভিটামিন বি, ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামিনো অ্যাসিড ইত্যাদি আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। তবে ভাতের মাড়ের উপকারিতা এতে আপনারা ভাতের মাড় না ফেলে দিয়ে ভাত রান্নার সময় সঠিক পরিমাণে পানি দিয়ে ভাত রান্না করতে হবে। অসংখ্য ভাতের মাড়ের উপকারিতা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

ভাতের মাড়ে রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। ভাতের মাড় খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের জন্য কি কি স্বাস্থ্য উপকারিতা মিলে তা নিচে উল্লেখ করা হলো।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় হাতের মাড়ে অসংখ্য পুষ্টিকর উপাদান থাকায় মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রোধ করতে আপনি সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ গ্লাস ভাতের মার খেতে পারেন।

হজম শক্তি বাড়ায় দেখা যায় অনেকেই ভারী ভারী খাবার খাওয়ার পর বদহজমে ভোগেন। তাদের ক্ষেত্রে ভাতের মাড় যথেষ্ট উপকারী। ভাতের মাড় হজম শক্তি বাড়ায় এছাড়াও বুকের জ্বালাপোড়া ও গলা খসখস করা কমায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভোগেন, কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে শরীরে আরো নানা রোগের বাসা বাঁধে। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ নিরাময় করতে ভাতের মাড় ভীষণ উপকারী। প্রতিদিন সকালে খাওয়ার আগে এক গ্লাস ভাতের মাড় সেবন করবেন এতে কষ্টকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন।

ডায়রিয়া আপনার যদি পেট খারাপ হয় তাহলে এক গ্লাস ভাতের মাড় ও এক চিমটে লবণ ভালোভাবে মিশিয়ে সেবন করবেন দেখবেন পেট খারাপ বা ডায়রিয়া ভালো হয়ে যাবে। পেটে থাকা দূষিত পদার্থ মলদ্বারের সাহায্যে বের করতে সাহায্য করে ভাতের মাড়।

এলার্জি ভাতের মাড় থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও কার্বোহাইড্রেট এগুলো রাসায়নিক উপাদান এলার্জি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস করে ভাতের মাড় খাওয়ার ফলে এলার্জি রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

স্বাস্থ্য উপকারিতার পাশাপাশি রূপচর্চায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা অপরিসীম। রূপচর্চায়ই ভাতের মাড় কি কি উপকারিতা পাওয়া যায় চলুন বিস্তারিত নিচের মন্তব্য করা রয়েছে সেগুলো জেনে নেওয়া যায়।

চুলের যত্ন চুলে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার এর মত ভাতের মাড় চুলে ব্যবহার করবেন। চুলে ভালোভাবে মিশিয়ে আধাঘন্টা ধরে রেখে দিবেন। এতে আপনার চুল এর গোড়া মজবুত হবে এবং চুল পড়া বন্ধ হবে।

ক্লিনজার ত্বকে জমে থাকা পুরাতন ময়লা প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার করতে এক বাটি ভাতের মাড়, কয়েক ফোটা এসেনশিয়াল অয়েল ও আধা কাপ পানি একসাথে ভালো করে মিশিয়ে কুসুম গরম থাকতে মুখে লাগিয়ে ভালোভাবে মালিশ করতে থাকুন দেখবেন ক্লিনজার হিসেবে কাজ করবে এবং ত্বকের পুরাতন ময়লা দূর করবে।

ত্বকের যত্ন শুধু ভাতের মাড় ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট ধরে রেখে দিবেন এতে আপনার ত্বকের নানান রকমের সমস্যা যেমন, ব্রণ, এজমা, ছোপ ছোপ দাগ, চোখের নিচের কালো দাগ, মেস্তা দাগ ইত্যাদি দূর করতে ভাতের মাড় বেশ উপকারী।

তৈলাক্ত ত্বক অনেকেরই দেখা যায় তৈলাক্ত ত্বক। তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পেতে ভাতের মাড় ও কয়েক ফোটা মধু একসঙ্গে মিশেয়ে কুসুম গরম থাকতে ত্বকে ভালোভাবে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পাবেন।

বলিরেখা ত্বকের বলিরেখা দূর করতে অল্প পরিমাণে বাঁশি ভাতের মাড়, এক চিমটি হলুদ, কয়েক ফোটা লেবুর রস, কয়েক চামচ বেসন ভালোভাবে মিক্সচার করে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট ধরে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এতে আপনার ত্বকের বলিরেখা দূর হবে।

রোদে পোড়া দাগ অল্প পরিমাণে আলুর রস ও অল্প পরিমাণে ভাতের মার ভালো হবে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এতে আপনার রোদে পোড়া দাগ দূর হবে।

জৈব সার ভাতের মাড় গাছের জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি গাছের শক্তির যোগান দিতে বেশ উপকারী। যে কোন গাছে ফল আসার আগে মাসে ২ থেকে ৩ বার গাছের গোড়ায় ভাতের মাড় দিবেন এতে গাছ ও গাছের ফলর জন্য বেশ উপকারী।

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আপনারা ভাতের মাড়ের উপকারিতা ১৫ টি উপকারিতা সম্পর্কে জানলেন। আশা করি আপনারা ভাতের মাড়ের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

বন্ধুগণ, শেষ কথাই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল ভাতের মাড়ের উপকারিতা এই সকল তথ্য আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। কোনো কিছু বুঝতে না পারলে বা কোনো তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে জনসচেতনতার ক্ষেত্রে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

শেষ কথা আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে ভাতের মাড়ের উপকারিতা ১৫ টি এর সমস্ত তথ্য পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।