টক বরই এর উপকারিতা - টক বরই এর পুষ্টিগুণ

ভূমিকা

শীতের শেষের দিকে পাওয়া যায় নানা জাতের টক মিষ্টি বরই। টক বড়ই এর ঝাল মিষ্টি স্বাদের জিভে এনে দেয় জল। শুধু স্বধেয় নয় টক বরইয়ে রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। টক বরইয়ে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান শরীরের নানা রকম রোগ প্রতিরোধ করে। টক বরই এর উপকারিতা ও পুষ্টিগূণ সম্পর্কে জানতে হলে সীমা আইটি ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন।
টক বরই এর উপকারিতা - টক বরই এর পুষ্টিগুণ

প্রিয় পাঠক আশা করি ভালই আছেন। প্রতিদিনের মতো আজকেও আরও একটি নতুন ব্লগ আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকের আর্টিকেলে রয়েছে টক বরই এর উপকারিতা - টক বরই এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। টক বরই এর উপকারিতা - টক বরই এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে হলে নিচের লেখা গুলো পড়তে থাকুন।

টক বরই এর পুষ্টিগুণ

প্রিয় পাঠক আপনি জানেন কি টক বরই এর পুষ্টিগুণ কি কি রয়েছে? টক বরই এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে হলে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

১০০ গ্রাম টক বরইয়ে আপনি পাবেন, ভিটামিন সি ৭৭ শতাংশ, ক্যালোরির পরিমাণ ৪৪ শতাংশ, এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, ফাইটোকেমিক্যাল। এছাড়াও ত্বক বরইয়ে রয়েছে খনিজ পদার্থের ভালো উৎস। এছাড়াও টক বরইয়ে আছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আইয়রন ও ফসফরাস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। টক বরইয়ে ফ্যাট নেই বললেই চলে।


বন্ধুগণ এতক্ষণ আপনারা টক বরই এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানলে। আশা করি টক বরই এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এবার আপনাদের মাঝে টক বরই এর উপকারিতা সম্পর্কে কিছু তথ্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।

টক বরই এর উপকারিতা

প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা টক বরই এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। এত সব পুস্টিগুণ আমাদের মানব শরীরের জন্য যে সকল উপকারে আসে তার নিচে উল্লেখ করা হলো।


টক মিষ্টি উভয় বরইয়ের পুষ্টিগুণ ভরপুর। বড়ইয়ের রসকে অ্যান্টি ক্যান্সার হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ফলের রসে রয়েছে ক্যান্সার কোষ, টিউমার কোষ ও লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার অসাধারণ ক্ষমতা।

বরই এর ভিটামিন সি ইনফেকশন জনিত রোগ যেমন, টনসিলাইটিস, ঠোঁটের কোণে ঘা, জিব্বাতে ঘা, ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়া ইত্যাদি দূর করে। বরই অত্যন্ত চমৎকার একটি রক্ত বিশুদ্ধ কারক। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য টক বরই খুব উপকারী ফল। ডায়রিয়া, ক্রমাগত মোটা হয়ে যাওয়া, রক্তশূন্যতা, ব্রস্কাইটিস ইত্যাদি রোগ খুব দ্রুত সাড়িয়ে তুলে টক বরই।

এছাড়াও গর্ভাবস্থায়ই টক বরই এর ভূমিকা অপরিসীম। গর্ভাবস্থায় বড়ই ছেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। প্রকৃতপক্ষে, টক বরইয়ে উপস্থিত পলিস্যাকারাইড নামক উপাদানগুলো ইমিউনোমোডুলেটরি প্রভাব প্রদর্শন করতে পারে, যা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে ও শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়াতে পারে।

বেশি বরই এর স্বাদ তুলনামূলক টক। টক বেশি হওয়ার এতে ক্যালরি ও ফাইবার থাকার কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তবে বেশি বরইয় বেশি খেলে এজমা ও কাশি হতে পারে। প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আপনারা টক বরই এর উপকারিতা সম্পর্কে জানলেন। ভালো লেগে থাকলে পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে শেয়ার করবেন।

শেষ কথা

বন্ধুগণ, শেষ কথাই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল ভাতের মাড়ের উপকারিতা এই সকল তথ্য আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। কোনো কিছু বুঝতে না পারলে বা কোনো তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।


অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে জনসচেতনতার ক্ষেত্রে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

শেষ কথা আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে ভাতের মাড়ের উপকারিতা ১৫ টি এর সমস্ত তথ্য পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url