আখের রসের খুব গুরুত্ব পূণ্য ১৫ টি উপকারিতা
ভূমিকা
তপ্ত দুপুরে রাস্তায় বেরিয়ে এক গ্লাস আখের রস খেলে সেই আখের রস শুধুমাত্র যে
আপনার পিপাসা মিটাই তাই নয়, এরমধ্যে ভিটামিন, মিনারেল ও এন্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর
মাত্রায় রয়েছে। যা আপনার পিপাসা মিটানোর সাথে সাথে আপনাকে অজস্র হেল্প বেনিফিট
দিতে পারে। আখের রসের খুব গুরুত্ব পূণ্য ১০ টি উপকারিতা নিয়ে হাজির হয়েছি জানতে
হলে সঙ্গে থাকুন।
প্রিয় পাঠক আশা করি ভালই আছেন। প্রতিদিনের মতো আজকেও আরও একটি নতুন ব্লগ
আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকের আর্টিকেলটি মূলত, আখের রসের
উপকারিতা এই মন্তব্যে আখের রসের খুব গুরুত্ব পূণ্য ১৫ টি উপকারিতা নিয়ে হাজির
হয়েছি। জানতে হলে সীমা আইটি ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন।
আখের রসের উপকারিতা
গ্রীষ্মকালে অন্যান্য ঋতুর তুলনায় আমাদের অনেক বেশি ঘাম উৎপন্ন হয়। আর যখন
আমাদের শরীর থেকে বেশি ঘাম নির্গত হয়, তখন অটোমেটিক আমাদের শরীর থেকে এনার্জি
লেভেল ডাউন হতে থাকে। সেই সময় আপনি যদি এক গ্লাস আখের রস খেতে পারেন, সে আখের রস
অন্যান্য এনার্জি খাবারের থেকেও’ আপনার শরীরে খুব দ্রুত এনার্জি ফিরিয়ে আনতে
পারে।
আখের রসের মধ্যে যেই ন্যাচারাল সুগার থাকে সেটি হল সুক্রোজ (Sucrose). সেই
সুক্রোজ খুব সহজেই আমাদের শরীরের মধ্যে ব্রেক ডাউন হয়ে, ফ্রুটস (Fructose) ও
গ্লুকোজে (Glucose) পরিণত হয়। এই গ্লুকোজ খুব সহজে আমাদের শরীরে মিশে যেতে পারে
এবং অতি তাড়াতাড়ি এনার্জি দিতে পারে। শুধু তাই নয় আখের রসের উপকারিতা সম্পর্কে
বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।
হজম ক্ষমতার বৃদ্ধি
আপনি যদি কোন সময় হজমের সমস্যায় ভোগেন সেই ক্ষেত্রে এক গ্লাস আখের রস আপনার
বদহজং এর সমস্যার সমাধান হতে পারে। এছাড়াও এই আখের রস আমাদের শরীরে স্টোমাগ
অ্যাসিড দ্বারা নিউটোরাইজ পড়ার ফলে এসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি দাই। এছাড়াও
গ্যাস্ট্রিক, পেট ব্যথা ও বুক ব্যথা থেকে মুক্তি দাই।
জন্ডিস
আখের রসে খুব বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি এছাড়াও হেপাটো
প্রটেকটিভ প্রপার্টি এইগুলো উপাদান সব মিলেমিশে আপনার লিভার কে ইনফ্লামেশন কম
করতে পারে এবং আপনার লিভার এর মধ্যে কোনরকম ইনফ্লামেশন যেন না হয় সেই দিক থেকে
সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও লিভার ড্যামেজ হওয়া থেকে সাহায্য করে।
প্রসাব নিয়ন্ত্রণ
আপনি যেদিন আখের রস খাবেন লক্ষ্য করবেন অন্যান্য দিনের তুলনায় সেই দিন বেশি
প্রসাব পাস করছেন। আর আপনি যখন বেশি বেশি ইউরিন পাস করবেন তখন সেই ইউরিন এর মধ্যে
দিয়ে আমাদের পুরো শরীরের টক্সিন বাহিরে বেরিয়ে যায়।
শুধু তাই নয় আপনার গোপনাঙ্গে ইনফেকশন এর ক্ষত ছাড়াই, কিডনি স্টোনের ক্ষেত্রেও
আখের রস খুব গুরুত্বপূর্ণ। গোপন অঙ্গের ব্যথা দূর করতে আখের রস ও ডাবের জল সমান
পরিমাণে তার মধ্যে সামান্য লেবুর রস দিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খাওয়ার ফলে প্রসাব
এর জ্বালাপোড়া একেবারেই কমে যাবে।
হাড় মজবুত করে
আখের রসের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের বোন ডেনসিটি মেন্টেন করতে সাহায্য করে।
তার ফলে আমাদের হাড় মজবুত হয়। বৃদ্ধ বয়সে অস্টিয় প্রসিস এর মত সমস্যা, কোমরের
ব্যথা হতে দেয় না।
রক্তাল্পতা
আখের রসের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, যা আমাদের রক্তের হিমোগ্লোজিন এর
মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং রক্তাল্পতার মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে
পারে।
মুখের দুর্গন্ধ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আখের রস বা আখ যদি আপনি চিবিয়ে খেতে পারেন তাহলে
আপনার মুখের দুর্গন্ধর মত সমস্যা যদি থেকে থাকে, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে
পারেন।
ব্রণ
আপনার ত্বকে যদি অতিরিক্ত ব্রণ থেকে থাকে তাহলে নিয়মিত এক গ্লাস করে আখের রস
খাবেন। এতে আপনার ত্বকের ব্রণ দূর করতে বেশ উপকারী।
ফেসপ্যাক
আপনি যদি প্রতিদিন আখের রস ত্বকে ব্যবহার করেন এতে আপনার ত্বক ফর্সা করবে। আখের
রস ত্বকের ভিতরে গিয়ে ভিতরের নোংরা কে বাহিরে টেনে বের করে আনে। ফলে আপনি সুন্দর
চেহারার অধিকার লাভ করবেন।
চুলের জন্য বেশ উপকারী
নিয়মিত আখের রস খেলে চুল পড়া বন্ধ হয়, চুলে খুশকি দূর হয়, চুল এর গোড়া শক্ত
হয়, চুল পেকে যাওয়া বন্ধ হয়, চুলের আদ্রতা ও নমনীয় ভাব ফিরে আসে পাশাপাশি চুল
ঘন ও মজবুত হয়।
চোখের যতি ফিরে
নিয়মিত আখের রস খেলে চোখের নানান রকমের রোগ যেমন, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখে
ছানি পড়া, ঘোলা ঘোলা দেখা, এমনকি রাতকানা রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
আখের রসে থাকা প্রাকৃতিক মিষ্টি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। আখের রসে
গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি রয়েছে তাই এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।
ওজন কমায়
আখের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ফাইবার ওজন কমাতে বেশ কার্যকরী উপাদান।
আখের রস শরীরের অতিরিক্ত ও বিপদজনক কোলেস্টরলের মাত্রা শরীর থেকে বের করে ফলে ওজন
কমায়।
রোগ প্রতিরোধ
নিয়মিত আখের রস পান করলে শরীরের বিভিন্ন ছোট ছোট রোগ প্রতিরোধ করে। আখের রসে
থাকা ভিটামিন ও ফাইবার শরীর ব্যাকটেরিয়া মুক্ত রাখতে সাহায্য করে ফলে কোন ধরনের
রোগ কাছে আসতে পারে না।
ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে
আখের রসে থাকার গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ এই দুই উপাদান ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে বেশ
কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। শুধু ডায়রিয়া নয় পেট খারাপ বা অ্যাসিডিটি, অম্লতা
এমনকি পেটের গ্যাস ও নিরাময় করে আখের রস।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
গবেষকরা বলেছেন আখের রস নিয়মিত খাওয়ার ফলে ক্যান্সার এর মত মারাত্মক রোগের সাথে
লড়াই করে। চিকিৎসকদের মতে, যাদের নানান রকমের ক্যান্সার রয়েছে তারা নিয়মিত
আখের রস পান করতে পারেন।
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আপনারা আখের রসের উপকারিতা সম্পর্কে জানলেন। জনসচেতনতার
ক্ষেত্রে আখের রসের উপকারিতা এই মন্তব্যটি পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে শেয়ার করতে
পারেন।
শেষ কথা
বন্ধুগণ, শেষ কথাই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল আখের রসের খুব গুরুত্ব পূণ্য ১৫
টি উপকারিতা এই সকল তথ্য আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন।
কোনো কিছু বুঝতে না পারলে বা কোনো তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে
যোগাযোগ করতে পারে।
অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে
অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো
লেগে থাকে তাহলে জনসচেতনতার ক্ষেত্রে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে
অবশ্যই শেয়ার করবেন।
শেষ কথা আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে
দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে আখের রসের খুব গুরুত্ব পূণ্য ১৫ টি
উপকারিতা এর সমস্ত তথ্য পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন এরকম নতুন
নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট
ফলো
করুন, ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url