ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কিসের লক্ষণ কি

ভূমিকা

জ্বর কেন আসে জানেন কি? জ্বর হলো অন্য রোগের উপসর্গ। আমাদের শরীরে যদি কোনো বিশুদ্ধ ভাইরাস আক্রমণ করে অথবা নানান রকমের রোগ এবং ইনফেকশন এর মাধ্যমে জ্বর এর সৃষ্টি হয়। ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কিসের লক্ষণ কি? জ্বর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে নিচের লেখাগুলো ধৈর্য এবং মনোযোগ সহকার করতে থাকুন।
ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কিসের লক্ষণ কি

প্রিয় পাঠক আশা করি ভালই আছেন। প্রতিদিনের মতো আজকেও আরো একটি নতুন ব্লগ আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে, ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ, ঘন ঘন জ্বর হওয়া কিসের লক্ষণ, শিশুর ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন সীমা আইটি ওয়েবসাইটে।

ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ

আমি আপনাদের আজকে একটি অসুখ সম্পর্কে বলবো, যেটা নিয়ে প্রায় অনেক রোগী মাঝেমধ্যেই ডাক্তারের কাছে ভিড় করে। জ্বর। অনেক ব্যক্তি আছেন যারা ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলেন আমার কিছুদিন পর পর জ্বর হয়। কেন, এবং কি কারনে জ্বর হয় তা কি আপনারা জানেন? ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ জানতে নিচের লেখাগুলো ধৈর্য সহকারে পড়তে থাকুন।

বিভিন্ন কারণে জ্বর হতে পারে। তবে ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ, ঘন ঘন জ্বর হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ যেগুলো বিষয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক। ঠান্ডা লাগলে জ্বর হতে পারে, সর্দি কাশির কারণেও জ্বর হতে পারে। এছাড়াও এগুলোর বাহিরে শরীরের ভিতরে, আক্রান্ত ব্যক্তির বুকের মধ্যে ও নার্ভের ভিতর পানি জমে থাকলে ঘন ঘন জ্বর হবে।

এছাড়াও প্রেসেন্ট এর অল্প নিউমোনিয়া বা খুব মারাত্মক নিউমোনিয়ার কারণেও জ্বর হতে পারে, প্রেসেন্ট এর টনিক বাঙ্কাই, ক্যান্সার, লাঞ্চের ভিতর ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসে আক্রমণ হলে, রোগীর নার্ভের সমস্যা ও হার্টের রোগ থাকলে, জয়েন্টে রিমা থাটিজ, ইনফেকশন, প্রটোজোয়া বা ফাঙ্গাস ইনফেকশন থাকার কারণে ঘন ঘন জ্বর হয়।

সব থেকে বড় কথা হল মানুষের যদি ইমিউনিটি কমে যায় তাহলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ট্রনিক কিডনি ডিজিজ প্রনিক হার্ড ডিজিস, ম্যালিগনেস্নি বা ক্যান্সার, প্রসবের রাস্তা ইনফেকশন হলে, ঘন ঘন ছেলেদের স্বপ্নদোষ এবং মেয়েদের মাসিক এইগুলো রোগ থাকলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া লাগবে।

এছাড়াও ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ, অতিরিক্ত ভয় পেলে, যাদের ট্রল এলার্জি আছে তাদের ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। এছাড়াও যারা অতিরিক্ত নেশা সেবন করেন তাদের ঘন ঘন জ্বর হতে পারে, এছাড়াও যাদের ফ্রুট এলার্জি আছে অর্থাৎ যেই গুলো খাবার খেলে এলার্জি হয় সেই সকল খাবার খাওয়ার ফলে জ্বর হতে পারে।


ডেঙ্গু টাইফয়েড ও ম্যালেরিয়া থাকলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। প্রিয় পাঠক, আশা করি ইতিমধ্যে আপনারা ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ গুলো সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। তাই উপুরের উল্লেখ করা রোগ থাকলে অতি দ্রুত চিকিৎসা নিবেন।

ঘন ঘন জ্বর হওয়া কিসের লক্ষণ

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে শরীরে নানা ধরনের অসুখ বাসা বাঁধে। যার ফলস্বরুপ ঘন ঘন জ্বর হয়। কোন ব্যক্তির যদি ঘন ঘন জ্বর আসে তাহলে তার শরীরে অনেকগুলো লক্ষণ দেখা দেয়। ঘন ঘন জ্বর হওয়া কিসের লক্ষণ চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

অতিরিক্ত ঘন ঘন জ্বর এর কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির, টাইফয়েড, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ফ্লু, করোনাভাইরাস, নিউমোনিয়া, আর্থ্রাইটিস, হার্ট স্ট্রোক, অ্যালকোহল উইথড্রয়াল, ইত্যাদি রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ঘন ঘন জ্বর হওয়া ফলে আরো কিছু লক্ষণ উপলব্ধি করা যায় চলুন জেনে নেয়া যাক।

জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায় ফলে শরীরে সঙ্গে সঙ্গে কাঁপুনি, ডিহাইড্রেশন, অবসাদ, খিদের প্রভাব, খিদের অভাব, মুখে রুচিহীন, মাথাব্যথা, ঠান্ডা লাগা, ঘুম ঘুম ভাব ইত্যাদি লক্ষণ উপলব্ধি করা যায়। তবে জ্বরের পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির এইগুলো লক্ষণ থেকেই থাকে।


এছাড়াও আরো কিছু লক্ষণ যেমন, প্রতিদিন একই সময় শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে বুঝে নিবেন এটি জ্বরের লক্ষণ। প্রিয় বন্ধুগণ আশা করি আপনারা ঘন ঘন জ্বর হওয়া কিসের লক্ষণ সম্পর্কে মোটামুটি ভালো ধারণা পেয়ে গিয়েছেন।

শিশুর ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ

জ্বর ছোট শিশুদের খুব বেশি জোরে আক্রান্ত করে। অল্প বয়সী শিশুর ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কিছু কারণ ও আছে বটে। চলুন জেনে নেওয়া যাক শিশুর ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কি কি। সাধারণত যে কোনো শিশুর শরীরের ভাইরাসে আক্রমণ করলে অতিরিক্ত জ্বর হয়ে থাকে।

আপনার শিশুর যদি ঘন ঘন জ্বর আসে তাহলে লক্ষ্য করবেন শিশুর নাক, কান, গলায় কোন ইনফেকশন আছে কিনা। শিশুর শরীরের কোথাও যদি ইনফেকশন থেকে থাকে তাহলে ঘন ঘন জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
  • শিশুর মুত্রতন্ত্রের যদি কোন সংক্রমণ থেকে থাকে তাহলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।
  • শিশুর যদি জটিল কোন রোগ যেমন, কিডনির সমস্যা, ক্যান্সার, হার্টের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে।
  • লক্ষ্য করবেন শিশুর যদি টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া, যক্ষা, অতিরিক্ত পাতলা পায়খানা, নিমোনিয়া থেকে থাকে তাহলে শিশুর ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে।
  • বেশিরভাগ শিশুর অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগা, সর্দি কাশি হয় এই সকল শিশুর ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে।
  • শিশুর যদি কান পাকা এবং সাইনাস ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে শিশুর ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে।
শিশুর যদি অতিরিক্ত জ্বর অর্থাৎ কিছুদিন পর পর ঘনঘন জ্বর এবং দীর্ঘদিন স্থায়ীভাবে জ্বর যে কোন জ্বর যদি আক্রমণ করে থাকে তাহলে লক্ষ্য করবেন শিশুর শরীরে বড় সমস্যা আছে কিনা। শিশুর শরীরে যদি বড় কোন রোগ বাসা বেধে থাকে তাহলে ঘন ঘন জ্বর এবং দীর্ঘমেয়াদি জ্বর আক্রমণ করে। লক্ষ্য করবেন শিশুর অতিরিক্ত জ্বর হওয়ার কারণে শিশুর কাঁপুনি শুরু হয়ে যাবে।

শিশুর জ্বর হলে শিশুকে বেশি বেশি বিশ্রাম দিতে হবে এছাড়াও বেশিরভাগ শিশুর ক্ষেত্রে 'প্যারাসিটামল, খেলে জ্বর সেরে যায়। শিশুকে বারবার বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন এবং জুস পান করাতে হবে। খেলাধুলা বা স্কুলে যাওয়ার দরকার নেই। প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা শিশুর ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়ে গিয়েছেন।

কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ

ইতিমধ্যেই আপনারা জ্বর আসার বিশেষ কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। লক্ষ্য করবেন, অনেকের জ্বর আসলে শরীরে কাঁপুনি দিয়ে ওঠে। জ্বর আসলে শরীরে কি জন্য কাঁপুনি দেয় জানেন কি? কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ সমূল্য নিচে আলোচনা করা হলো।


ম্যালেরিয়া প্রথমেই বলবো ম্যালেরিয়ার কথা। ম্যালেরিয়া হলে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে জ্বর আসলে শরীরে কাঁপুনি দিবে।

কিডনির ইনফেকশন আমাদের শরীরে সাধারণত দুইটি কিডনি আছে, এই কিডনিতে যদি কোন ইনফেকশন হয়ে থাকে তাহলে তার জ্বর আসলে শরীরে কাঁপুনি দিবে।

পিত্তথলির ইনফেকশন অনেক সময় পিত্তথলিতে পাথর জমা হয়। পাথর জমার কারণে পিত্তথলিতে ইনফেকশন হয় হলে তাহলে তার জ্বর আসলে শরীরে কাঁপুনি দিবে।

ফুসফুসের এবং লাঞ্চ এর ইনফেকশন মেডিকেলের ভাষায় নিউমোনিয়া। যদি কারো নিমোনিয়া হয়ে থাকে তাহলে তার জ্বর আসলে শরীরে কাঁপুনি দিবে।

আর্থ্রাইটিস আমাদের সকলের শরীরে অনেক জয়েন্ট থাকে অর্থাৎ শরীরে অনেক গিরা থাকে। এইসব গিরা অর্থাৎ জয়েন্টে যদি কোন ইনফেকশন হয়ে থাকে তাহলে আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর আসলে শরীরে কাঁপুনি দিবে।

পুঁজ মানুষের শরীরের কোন অংশে যদি পুঁজ জড়ো হয়ে থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির জ্বর আসলে শরীরে কাঁপুনি দিবে। পুঁজ অনেক জায়গায় জড়ো হতে পারে যেমন, ফুসফুসে অথবা লাঞ্চে, লিভার ইত্যাদি।

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আপনারা কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানলেন। আশা করি অনেকটাই ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। উপকৃত হয়ে থাকলে পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

শেষ কথা

বন্ধুগণ, শেষ কথাই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কিসের লক্ষণ কি এই সকল তথ্য আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। কোনো কিছু বুঝতে না পারলে বা কোনো তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।


অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে জনসচেতনতার ক্ষেত্রে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

শেষ কথা আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কিসের লক্ষণ কি এর সমস্ত তথ্য পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url