গুরুত্বপূর্ণ ৩০ টি আদা উপকারিতা - আদার ক্ষতিকর দিক পুষ্টিগুণ
ভূমিকা
সাধারণভাবে আদা আমরা রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকলেও, আদার মধ্যে একটি মেডিসিনাল
কম্পাউন্ড রয়েছে যার নাম হলো জিঞ্জারুল। জিঞ্জারুল শরীরের রোগ প্রতিরোধ করে। আদা
শুধু তরকারির মসলা হিসেবে নয়, শরীরের নানান রকম রোগ দূর দূরে রাখে। গুরুত্বপূর্ণ
৩০ টি আদা উপকারিতা - আদার ক্ষতিকর দিক পুষ্টিগুণ নিয়ে হাজির হয়েছি।
প্রিয় পাঠক, আশা করি ভালই আছেন। প্রতিদিনের মতো আজকেও আরো একটি নতুন ব্লগ
আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকের আর্টিকেলটি মূলত গুরুত্বপূর্ণ
৩০ টি আদা উপকারিতা - আদার ক্ষতিকর দিক পুষ্টিগুণ নিয়ে। এই আর্টিকেলে রয়েছে, আদা
উপকারিতা, আদার ক্ষতিকর দিক, আদার খাওয়ার নিয়ম, সকালে আদা খাওয়ার উপকারিতা,
আদার পুষ্টিগুণ
আদা উপকারিতা
- আপনার কি লম্বা জার্নিতে গাড়ির মধ্যে বমি ভাব বা বমি হচ্ছে অথবা মাথা ধরেছে? আদা কুচি করে চিবিয়ে খান অথবা আদার রসের সাথে সামান্য লবন মিশিয়ে পান করুন। তাৎক্ষণিক সমাধান পেয়ে যাবেন।
- উল্টাপাল্টা এবং বেশি ভাজাপোড়া খাবারের কারণে বুক জ্বালার সমস্যা হুট করে হতে পারে। এক কাজ করুন, ২ কাপ পানিতে ২ ইঞ্চি আদা ছেচে জল দিয়ে চায়ের মত তৈরি করে পান করুন। বুক জ্বালা কমে যাবে।
- ধমনীতে প্লাক জমে রক্ত প্রদাহ বন্ধের সমস্যাকে বলা হয় অথেরোক্সেরোসিস। এই মারাত্মক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রতিদিন একটু হলেও আধা খান এই সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন।
- অনেক দুর্বলতা লাগছে? দুর্বলতার কারণ যাই হোক না কেন একটু আদা খেয়ে নিন। অনেকটা শান্তি পাবেন। এরপর ডাক্তারের পরামর্শ নিন দুর্বলতার কারণ জেনে নিরাময়ের সহায়তা পেতে।
- আদারস ব্যথা নাশক ঔষধের মত কাজ করে। সরাসরি আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন আদার রস অথবা পান করে নিতে পারেন, দুইভাবেই ভালো উপকার পাবেন।
- নতুন আদার সাথে আধা সিদ্ধ ডিম খাওয়ার অভ্যাসে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায় এবং স্পার্ম কাউন্ট বৃদ্ধি করে। আধা সিদ্ধ ডিম এবং আদা উপকারিতা অপরিসীম।
- প্রাকৃতিক আন্টিহিস্টামাইন এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদানে ভরপুর আদা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস করলে ছোটখাটো অনেক রোগর হাত থেকেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
- খেতে ইচ্ছে করছে না বা ক্ষুধা মান্দায় ভুগছেন? তাহলে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে আদা খেয়ে নিন। এতে খুধা মান্দা দূর হবে এবং খাবারের রুচি ফিরে আসবে। মুখের রুচি ফিরাতে আদা উপকারিতা অনেক।
- যদি আপনার মুখের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের ইনফেকশন হয়, আপনার দাঁতের মধ্যে ক্যাভিটির মত সমস্যা রয়েছে অথবা আপনার মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয় তাহলে আদা পানিতে আদা ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে দিনে দুইবার মুখ কোলকুচি করে নিতে পারেন।
- আদার ইনফ্লেমেটরি উপাদান হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। এছাড়াও উষ্ণ গরম পানিতে আঁধার তেল মিশিয়ে গোসল করলে মাংসপেশীর ব্যথা দূর হয়।
- আদা হজমে সমস্যা সমাধান করে এবং পেটে ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে এক কাপ আদা চা পান করলে পুরো দিন পেট ফাঁপা বা বদহজম থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
- যেকোন ভাবে আপনার মাংসপেশীর যে কোন স্থানে যদি ব্যথা পান। সেখানকার ব্যথা উপশম করতে আদা পানিতে ফুটিয়ে নিন। সেই পানি নরম কাপড় দিয়ে ভিজিয়ে ব্যথার স্থানে শেখ দিতে থাকুন, ব্যথা ভালো হয়ে যাবে।
- মহিলাদের ঋতুস্রাব হওয়ার সময় তারা তলপেটে খুব ব্যথা বা অস্বস্তি ভাব অনুভব করে। সেই সময়টিতে শুধু আদার চা বানিয়ে খাওয়ার ফলে পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পাতে পারে।
- বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে আপনি যদি নিয়মিত তিন থেকে চার গ্রাম করে আদা খেতে পারেন, তাহলে আদা আপনার রক্ত থেকে এলডিএল অথবা লো ডেনসিটি লাইকো প্রোটিন যেদিকে আমরা খারাপ কোলেস্টেরল বলে থাকি সেটি ৩০ পয়েন্ট পর্যন্ত কম করতে সক্ষম তাই আদা উপকারিতা অপরিসীম।
- শীতকালে অনেকের গলায় ব্যথা বা গলায় খুসখুস অনুভব করেন আবার অনেকের গলা ফুলে যায়। এর থেকে মুক্তি পেতে আদা পানিতে ফুটিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার গার্গেল করতে পারেন তাহলে এগুলো সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। অথবা শুধু আধার চা বানিয়ে খেতে পারে।
- চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আদা উপকারিতা অনেক। আদায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, ও সি রয়েছে যা আমাদের শরীরের চুল ও ত্বকের সুরক্ষায় অনেকটাই উপকারী।
আদার ক্ষতিকর দিক
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আপনারা আদা উপকারিতা সম্পর্কে তো জানলেন তবে আদার ক্ষতিকর দিক
সম্পর্কে জেনে রাখা প্রয়োজন। আদা খুব উপকারী একটি খাবার তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে
আদা খেলে আপনি শারীরিক সমস্যায় করবেন। চলুন আদা খেলে কি কি ক্ষতি হতে পারে বা
আদার ক্ষতিকর দিক
সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- গর্ভবতী মহিলাদের উপর কিছু কিছু গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে আদার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আদা খাওয়ার ফলে হরমোন খনন হতে পারে ফলে প্রসব এর সমস্যা হয়। তাই গর্ভবতী মহিলাদের অতিরিক্ত আদা না খাওয়াই ভালো।
- যারা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান তারাও অতিরিক্ত আদা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ফলে বুকের দুধ শুকিয়ে যেতে পারে।
- রক্তক্ষরণ বাড়তে পারে। সার্জারির আগে বা পরে আদা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। যিনারা অতিরিক্ত আদা খান লক্ষ্য করবেন তাদের শরীরের যে কোন স্থানে ছোট্ট আকারের ক্ষত হলে সেখান থেকে অধিক পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়। তাই অতিরিক্ত আদা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- ডায়াবেটিস। আদা খাওয়ার ফলে ইন্সুলেন্ট লেভেল বাড়ে, ব্লাড সুগার লেভেল কমে তাই আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে এবং তার জন্য মেডিসিন গ্রহণ করেন, তাহলে আদা খেলে মেডিসিন ডোজ চেঞ্জ করা লাগতে পারে। তাই ডায়াবেটিস এর মেডিসিন মিলে ডাক্তার বাবুর পরামর্শ নিয়ে আদা খেতে পারেন।
- যাদের হার্ট ডিজিজ আছে তারা অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ফলে হার্টের সমস্যা বাড়তে পারে। হার্টের সুস্থতায় আদা যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অধিক মাত্রায় আদা খাওয়ার ফলে হার্ট এর অপকারিতা ও রয়েছে।
- মেডিসিন গ্রহণ। কিছু কিছু মেডিসিন এর সাথে আদা বিক্রিয়া করতে পারে। যেমন রক্ত সঞ্চালন স্লো করার মেডিসিন, Xarelto, Pradaxa, Warfarin, Diabetes, Ramipril ইত্যাদি ঔষধ এর সাথে আদার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই মেডিসিন গুলো খেলে আদা না খাওয়াই ভালো।
- ডায়রিয়া। বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুসারে, বেশি পরিমাণে আদা খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া হতে পারে। আদা পেটে থাকা খাবার দ্রুত হজম করতে সক্ষম তাই খাওয়ার ফলে বর্জো পরিণত করে তা এক পর্যায়ে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- পাকস্থলীর ক্ষতি করতে পারে আদা। খালি পেটে অতিরিক্ত মাত্রায় আদা খাওয়ার ফলে পাকস্থলীর ক্ষতি করে। খালি পেটে আদা খাওয়ার ফলে গ্যাস্টিকের সমস্যা দেখা দেয় ফলে হজমের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
- মুখে অস্বস্তি জ্বালা যন্ত্রণা। শুধু আদা চিবিয়ে খাওয়ার সময় লক্ষ্য করবেন মুখে ঝাল ঝাল জ্বালুনির সৃষ্টি হয়। এই ক্ষেত্রে আপনার মুখে অথবা জিভায় ফোসকা পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
- অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ফলে রক্তচাপ উঠানামা করে ফলে হৃদ যন্ত্রের গতি বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে আপনার চোখে ঝাপসা পড়া, অনিদ্রা, ব্রেন স্টোক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রিয় পাঠক এই ছিল আদার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। ভালো লেগে থাকলে
অবশ্যই পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে জনসচেতনতার ক্ষেত্রে শেয়ার করবেন।
আদার খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আমরা অনেকেই আদা খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানি না বলে এর থেকে
আমরা সর্বোচ্চ উপকারিতা পাই না। সঠিক প্রক্রিয়া আর পরিমাণ মতো আদা সেবন করলে আরো
অধিক পরিমাণে উপকৃত হতে পারবেন। তাই আদার খাওয়ার নিয়ম নিয়ে হাজির হয়েছি। আদার
খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো।
সাধারণত চারজনের একটি পরিবারের একদিনের বিভিন্ন রান্নায় ৫ থেকে ১০ গ্রাম আদার
ব্যবহার হয়। তাই বেশিরভাগ পুষ্টি উপাদানের গুনাগুন ভোগ করতে আমাদের সময় লেগে
যায়। আদার খাওয়ার নিয়ম, চাইলে আপনি চায়ের সঙ্গে আদা খেতে পারেন। সকালে ঘুম
থেকে উঠে হালকা কিছু খেয়ে আদা খেতে পারেন।
তবে খালি পেটে খেলে যদি আপনার কোন সমস্যা না হয়ে থাকে তাহলে আপনি খালি পেটে খেতে
পারে। সকালে খালি পেটে আদা খাওয়ার ফলে সবচাইতে উপকারিতা বেশি মিলে। আদা কুচি করে
কেটে জিনজার বানিয়ে রেখে প্রতিদিন অল্প করে খেতে পারেন।
যদি আপনার চা খাওয়ার অভ্যাস না থাকে তাহলে এক গ্লাস গরম পানিতে আদা কুচি করে
কেটে ৩ থেকে ৪ মিনিট রেখে সেই পানি পান করুন। বিশেষজ্ঞ এবং ডাক্তারগণ দের তথ্য
অনুসারে, শুকনো অথবা কাঁচা যেকোনো একটি প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৪ গ্রাম আদা খেতে বলেন।
এর বেশি যেন না হয়। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন এক গ্রাম আদা খেতে
পারেন।
সকালে আদা খাওয়ার উপকারিতা
প্রিয় পাঠক, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন আদা খেয়ে স্বাস্থ্যের সবচাইতে উপকারিতা পেতে
সকালে খালি পেটে আদা সেবন করুন। সকালে আদা খাওয়ার ফলে কি কি উপকারিতা পাওয়া
যায় জানেন কি? সকালে আদা খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে হাজির হয়েছি জানতে হলে নিচের
লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন।
সকালে খালি পেটে আদা খাওয়ার ফলে শরীরের জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ ধরায় ফলে আপনার
ওজন কমে, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ হয়, ত্বক ও চুল জন্য ভীষণ উপকারী, শরীরের ক্ষতিকর
প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে, পেটে ও মুখে থাকা ব্যাকটেরিয়া দমন করে। হজম ক্ষমতা
বৃদ্ধি করে, শরীরের শক্তির যোগান দেয়, ক্লান্তি অনুভব দূর করে, খিদে বাড়ায়,
বমি বমি ভাব দূর করে, পেটে থাকা এসিডিটি প্রতিরোধ করে ইত্যাদি। প্রিয় পাঠক আশা
করি এতক্ষণে আপনারা সকালে আদা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে মোটামুটি ভালো ধারণার
পেয়ে গিয়েছেন।
আদার পুষ্টিগুণ
প্রিয় পাঠক, আমরা অনেকেই আদা খায় কিন্তু আদার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে তেমন কোন
ধারনা নেই। তাই আদার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে নিচের লেখাগুলো পড়তে থাকুন। ১০০
গ্রাম আদায় যেই সমস্ত পুষ্টিগুণ উপাদান থাকে তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
ফ্যাট থাকে 0.8 গ্রাম, সোডিয়াম 13 মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১১৫ মিলিগ্রাম, টোটাল
কার্বোহাইড্রেট ১৮ গ্রাম, ডায়েটারি ফাইবার ২ গ্রাম, সুগার ১.৭ গ্রাম, প্রোটিন
১.৮ গ্রাম, এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬, আইরন, ম্যাগনেসিয়াম,
ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। প্রিয় পাঠক সাধারণত এগুলো পুষ্টিগুণ উপাদান আদায়
বিদ্যামান থাকে।
শেষ কথা
বন্ধুগণ, শেষ কথাই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ ৩০ টি আদা উপকারিতা
- আদার ক্ষতিকর দিক পুষ্টিগুণ এই সকল তথ্য আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য
খুঁজে পেয়েছেন। কোনো কিছু বুঝতে না পারলে বা কোনো তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে
যোগাযোগ করতে পারে।
অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে
অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো
লেগে থাকে তাহলে জনসচেতনতার ক্ষেত্রে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে
অবশ্যই শেয়ার করবেন।
শেষ কথা আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে
দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ৩০ টি আদা উপকারিতা -
আদার ক্ষতিকর দিক পুষ্টিগুণ এর সমস্ত তথ্য পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট
ফলো
করুন, ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url