কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি - কুয়েত কোন কাজের বেতন কত

ভূমিকা

কোন ব্যক্তি যদি কুয়েত দেশে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে চান তাহলে তার জন্য এই আর্টিকেলটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি - কুয়েত কোন কাজের বেতন কত তার পাশাপাশি কুয়েতের কাজ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেতে চলেছেন এই আর্টিকেলে। তাই এই আর্টিকেলটি ধৈর্য ও মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি - কুয়েত কোন কাজের বেতন কত

প্রিয় পাঠক, আশা করি ভালই আছেন। প্রতিদিনের মতো আজকেও আরো একটি নতুন ব্লগ আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকের আর্টিকেলে রয়েছে, কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি - কুয়েত কোন কাজের বেতন কত, কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত, কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত, কুয়েতে ক্লিনারের বেতন কত, কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত ইত্যাদি।

কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি

আপনি যদি কুয়েতে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে যান সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে একটি কাজ বেছে নিয়ে সেই কাজটি সম্পর্কে আপনার সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। কারণ, আপনারযদি সে কাজ সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা না থাকে তাহলে আপনি সর্বনিম্ন স্তরের বেতন পাবেন। এবং আপনার যদি সেই কাজ সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে তাহলে,

আপনি ভালো অংকের বেতন পাবেন। যেকোনো দেশের দক্ষ এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মীদের চাহিদা বেশি। বর্তমান সময়ে যারা কুয়েতে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ এর কুয়েতের কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ।
  • শেফ এর কাজ।
  • খাবার ডেলিভারির কাজ।
  • ড্রাইভিং এর কাজ। ড্রাইভিং এর কাজের মধ্যে, অনেক রকমের গাড়ি রয়েছে। যেমন, স্কুল বাস, ট্রাক, মাইক্রো, হাইজ, লরি, ট্রাক্টর, মোটরসাইকেল, ছোট ট্রাক ইত্যাদি।
  • সাধারণ লিবার এর কাজ।
  • বিভিন্ন কোম্পানির কাজ।
  • কনস্ট্রাকশনের কাজ।
  • কৃষি কাজ।
  • প্লাম্বার কাজ।
  • রেস্টুরেন্ট এর কাজ।
  • ফ্যাক্টরির কাজ।
  • ক্লিনার এর কাজ। ক্লিনার এর কাজের মধ্যে অনেক রকমের কাজ রয়েছে। যেমন, রোড ক্লিনার, অফিস ক্লিনার, মসজিদ ক্লিনার, মেডিকেল ক্লিনার, বাসা বাড়ি ক্লিনার, রেস্টুরেন্ট ক্লিনার ইত্যাদি।
  • রাজমিস্ত্রির কাজ।
  • নাপিত এর কাজ।
  • শপিংমল এর কাজ।
প্রিয় পাঠক, কুয়েতে এইগুলো কাজের চাহিদা বেশি। এর মধ্যে আপনার পছন্দ অনুযায়ী কাজ বেছে নিয়ে সেই কাজটি সম্পর্কে পুরোপুরি অভিজ্ঞতা অর্জন করে কুয়েতে আসবেন তাহলে মোটামুটি ভালো অংকের বেতন পাবেন।

কুয়েত কোন কাজের বেতন কত

কুয়েতে বিভিন্ন রকমের কাজ রয়েছে পাশাপাশি এই সকল কাজের বিভিন্ন ধরন রয়েছে, ধরণ অনুযায়ী শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হয়। কুয়েতে যারা প্রথম যান অথবা যে কোন কাজ সম্পর্কে কোন ব্যক্তির যদি তেমন কোনো অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে তাকে সর্বনিম্ন স্তরের বেতন দেয়া হয়। তবুও বাংলাদেশি টাকায় মাসে বাংলা টাকায় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।

যারা কাজ জানেন, কাজ সম্পর্কে পুরো অভিজ্ঞতা রয়েছে এরকম ব্যক্তিদের বেতন বেশি হয়ে থাকে বাংলা টাকায় মোটামুটি ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। কুয়েতে কাজের সুপারভাইজার পদ অর্থাৎ সকল শ্রমিকদের প্রধান এই দায়িত্বে যারা থাকেন তাদের বেতন বেশি হয়ে থাকে বাংলা টাকায় মোটামুটি ৮০ থেকে ১২০০০০ টাকা।

এছাড়াও কিছু কিছু কাজ রয়েছে সেগুলো কাজ করার পরেও আপনি এক্সট্রা ইনকাম করতে পারবেন যেমন ক্লিনার এর কাজ করার পাশাপাশি আপনি অন্যান্য কাজ করতে পারবেন। গাড়ি পরিষ্কার, জামাপ্যান্ট সেলাই এবং স্ত্রী করা, বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করা কৃষিকাজ করার পাশাপাশি আপনি এখানে জমি নিয়ে চাষাবাদ করতে পারবে।

কুয়েতে যে সকল কাজের সর্বোচ্চ বেতন যেমন রেস্টুরেন্ট এর রাধনি, যে কোন কাজের ইঞ্জিনিয়ার, সুপারভাইজার, ম্যানেজার ইত্যাদি। এদের বেতন বাংলা টাকায় সর্বনিম্ন ১২০০০০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এইগুলো পদ পাওয়ার জন্য দীর্ঘ কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হয় পাশাপাশি কাজের উন্নতি ঘটাতে হয়।

কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত

কুয়েতে যাই তেমন কোন কাজ জানে না, সেই ব্যক্তির প্রথম অবস্থায় তার সর্বনিম্ন বেতন বাংলা টাকায় ২০ হাজার টাকা, কুয়েতের টাকায় ৬০ দিনার। তবে কুয়েতে সর্বনিম্ন স্তরের কাজ করার কিছু সুবিধা রয়েছে। সেগুলো কাজ করার পাশাপাশি আপনি সাইড ইনকাম করতে পারবেন যেমন, গাড়ি পরিষ্কার করা, বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করা ইত্যাদি।

কুয়েতে একজন কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি মাসে বাংলা টাকায় ন্যূনতম ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা ইনকাম করেন, ওভারটাইম বাদে। কুয়েতে একজন শ্রমিকের আট ঘন্টা ডিউটি ও কাজ অনুযায়ী দুই ঘন্টা কিংবা ৪ ঘন্টা ওভারটাইম।

কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত

আপনি যদি কুয়েতে গাড়ি চালিয়ে অর্থ উপার্জন করতে চান অবশ্যই আপনাকে ড্রাইভিং ভিসাই কুয়েত যেতে হবে। অবশ্যই আপনাকে গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে পাশাপাশি দুই দেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স। এছাড়াও কুয়েত দেশের গাড়ি চালানোর নিয়ম নীতি জানতে হবে।

আপনি যদি সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা অর্জন করেন এবং তার প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে কুয়েতে গাড়ি চালিয়ে মোটামুটি বাংলা টাকায় ৭০ থেকে ১০০০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কুয়েতে অনেক বড় বড় গাড়ি রয়েছে যেগুলো ড্রাইভার হতে পারলে আপনি মোটা অংকের বেতন পাবেন। যেমন বাংলা টাকায় ১০০০০০ থেকে ১৫০০০০ টাকা।

কুয়েতে গাড়ির ড্রাইভারদের কাজের সময় তেমনভাবে নির্ধারণ করা নেই কেননা গাড়ির মালামাল এক স্থান থেকে আরেক স্থানে পৌঁছানোর পুরো দায় দায়িত্ব থাকে ড্রাইভার এর উপর। কুয়েতে প্রতিবছর ড্রাইভিং ভিসায় হাজার হাজার লোক নিয়ে থাকেন, তাই আপনি চাইলেই ড্রাইভিং ভিসায় কুয়েত আসতে পারেন।

কুয়েতে ক্লিনারের বেতন কত

কুয়েতে সর্বনিম্ন পদ ক্লিনার। কোন ব্যক্তি যদি কুয়েত আসেন তার যদি কোন কাজেই তেমন কোনো অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে সে ক্লিনার এর আজ করতে পারেন। কুয়েতে অনেক রকমের ক্লিনার এর কাজ রয়েছে। যেমন, রেস্টুরেন্ট ক্লিনার, মসজিদ ক্লিনার, রাস্তাঘাট ক্লিনার, পানির ড্রেন ক্লিনার, টয়লেট ক্লিনার বিভিন্ন বাসা বাড়ি ক্লিনার ইত্যাদি।

তাদের কাজের ধরন অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ করা হয় আলাদা আলাদা কাজের আলাদা আলাদা বেতন। তবে ক্লিনার এর কাজে বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে যেমন কাজ শেষে আপনি অতিরিক্ত কিছু কাজ করার সুযোগ পাবেন। এর থেকে আপনার এক্সট্রা ইনকাম হবে। যেমন গাড়ি পরিষ্কার, বিভিন্ন পূর্ণ সামগ্রী বিক্রি, চাষাবাদ ইত্যাদি।

কুয়েতে একজন ক্লিনার এর সর্বনিম্ন বেতন বাংলা টাকায় ৩৫ হাজার এবং সর্বোচ্চ বেতন ১০০০০০ টাকা। এই কাজটি যে কেউ খুব সহজেই করতে পারে। প্রতিবছর ক্লিনার পদে হাজার হাজার লোক নিয়ে থাকেন কুয়েত সরকার। তাই আপনি চাইলেই ক্লিনার ভিসায় এসে পয় পরিষ্কার এর কাজ করতে পারেন।

কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত

বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে বেশিরভাগ মানুষ কাজ করার উদ্দেশ্যে কোম্পানি ভিসায় আসেন। কারণ, কোম্পানির ভিসায় কুয়েতে আসলে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। যেমন, কিছু কিছু কোম্পানি রয়েছে থাকা খাওয়া সম্পূর্ণ ফ্রি আবার কিছু কিছু কোম্পানি রয়েছে তিন বছর পর পর বাড়িতে ঘুরে আসার জন্য ছুটি দেয় এবং যাতায়াত সম্পূর্ণ খরচ কোম্পানির।

আবার কিছু কিছু কোম্পানি রয়েছে সেগুলো কোম্পানিতে কাজ করলে প্রতিমাসে মোটা অংকের বেতন পাওয়া যায়। কোম্পানি ভিসা এতসব সুযোগ সুবিধা থাকার পরেও একজন নিম্ন স্তরের শ্রমিকের বেতন বাংলা টাকায় ৩৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। এবং একজন অভিজ্ঞতা শীল ব্যক্তির কাজের বেতন ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।

কুয়েতে কোম্পানির ম্যানেজার পদ অর্থাৎ সকল শ্রমিকদের যেই নিয়ন্ত্রণ করে পাশাপাশি সকল কাজ দেখাশোনা করে তার বেতন সর্বনিম্ন বাংলা টাকায় ১ লাখ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা।

শেষ কথা

বন্ধুগণ, শেষ কথাই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি - কুয়েত কোন কাজের বেতন কত এই সকল তথ্য আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। কোনো কিছু বুঝতে না পারলে বা কোনো তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

অনলাইন জাতে সীমা আইটির অবদান হবে অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে জনসচেতনতার ক্ষেত্রে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

শেষ কথা আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি - কুয়েত কোন কাজের বেতন কত এর সমস্ত তথ্য পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url