কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা পুষ্টিগুণ খাওয়ার নিয়ম

ভূমিকা

কালোজিরা এটিকে ইংরেজিতে Nigella Seeds, বাংলায় ব্ল্যাক সিড বা ব্ল্যাক কিউমিন নামে পরিচিত। বাঙালির পাঁচফোড়ন থেকে শুরু করে নানান রকম খাবারে কালোজিরা না হলে চলেই না। এছাড়াও এটি আয়ুর্বেদিক ও কবিরাজি চিকিৎসাই হাজার বছর ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। তথ্যটি মূলোত কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা পুষ্টিগুণ খাওয়ার নিয়ম নিয়ে।
কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা পুষ্টিগুণ খাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আসা করি ভালোই আছেন। প্রতিদিনের মতো আজকেও আরো একটি নতুন তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। তথ্যটি মূলোত কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা পুষ্টিগুণ খাওয়ার নিয়ম নিয়ে। এই মন্তব্যে রয়েছে, কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা, কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম, কালোজিরার পুষ্টিগুণ ইত্যাদি সম্পর্কে।

কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা

কালোজিরা, মসলা হিসেবে এর চাহিদা অনেক। ইসলাম ধর্মে কালোজিরার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে বলা হয়েছে, (তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সর্ব রোগের মুক্তি রয়েছে)। এছাড়াও বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে কালোজিরা একটি সুপারফুট খাদ্য। তাই কালোজিরার উপকারিতা অনেক, অল্প পরিমাণে রয়েছে অপকারিতা।

এতে মানব দেহের জন্য প্রায় সকল পোস্টের উপাদান রয়েছে। কালো জিরার বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়, এই তেল মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে হাজির হয়েছি। চা বা গরম জলের সাথে কালোজিরার তেল মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগের যেমন উপকার পাওয়া যায় তেমনি বাড়তি মেদ কমে যাবে।

এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, অরুচি, গলা ব্যথা, দাঁত ও মাড়ির ব্যথা, শরীর ব্যথা, মাইগ্রেন, হাঁপানি নিরাময় কালোজিরা সাহায্য করে। ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কালোজিরা উপকারী। কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে নিচের লেখাগুলো ধৈর্য ও মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

কালোজিরার উপকারিতা

কোলেস্টোরেল কমাতে উপকারী কালোজিরা বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে কোলেস্টরেল কমাতে কালোজিরার তুলনা নেই। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে কালোজিরা খাওয়ার ফলে খারাপ কোলেস্টরেল LDL ও Triglycerides এবং ভালো কোলেস্টেরল HDL বাড়ায়।

ক্যান্সার প্রতিরোধে কালোজিরার উপকারিতা বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে কালোজিরার শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাইমো কুইনাল আপনার ব্লাড ক্যান্সার, লাঞ্চ ক্যান্সার, জরায়ু ক্যান্সার, প্রস্ট্রেট ক্যান্সার, স্কিন ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার এর সম্ভাবনা কমাবে। ক্যান্সার প্রতিরোধ উপকারী করতে, আপনি খাবার হিসেবে নিয়মিত কালোজিরা খেতে পারেন।

কালোজিরা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে উপকারী কালোজিরা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী। চারটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন রকমের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঠেকাতে কালোজিরা বেশি উপকারী।

মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়াই ফলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায় একইসঙ্গে এটি প্রাণের স্বস্তি বাড়ায় এবং শরীর থেকে ক্লান্তি দূর করে।

কালোজিরা আপনার লিভার কে রক্ষা করে আপনার শরীরের উপকারী পদার্থকে হ্যান্ডেল করে শরীরকে সুস্থ রাখে। প্রাণীদের ওপর গবেষণা করে দেখা গিয়েছে কালোজিরা খাওয়ার ফলে লিভার সুস্থ থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের সকল অঙ্গ পতঙ্গ সতেজ থাকে। এতে করে দেহের যে কোন জীবাণু প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত করে তোলে এবং সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

ব্লাড সুগার কমাতে কালোজিরা উপকারিতা ১৩ টি গবেষণায় উঠে এসেছে কালোজিরা শরীরের বিভিন্ন রকমের ব্লাড সুগার কমানোর পাশাপাশি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমায়। ফলে ডায়াবেটিস সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।

হজমের শক্তি বাড়ায় ফাজানের সমস্যায় এক থেকে দুই চা চামচ কালোজিরা বেটে পানির সঙ্গে খেতে থাকুন। এভাবে প্রতিদিন ২-৩ বার খেলে এক মাসেই হজম শক্তি বেড়ে যাবে পাশাপাশি পেট ফাঁপা দূর হবে।

পেটের আলসার কমাতে কালোজিরা উপকারী পেটের আলসার এটা অনেকেরই বড় সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ করেছেন কালোজিরা খাওয়ার ফলে পেটের আলসার খুব সহজেই কমে যায়।

জ্বর, ব্যথা, সর্দি কাশিতে কালোজিরা বেশি উপকারী এক চা চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা চামচ মধু ও ২ চা চামচ তুলসী পাতার রস সেবন করলে দারুন ফলাফল পাওয়া যাবে।

বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করে মায়াদের বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে, প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ৫ থেকে ১০ গ্রাম কালোজিরা মিহি ঘোড়া করে দুধের সঙ্গে খেতে থাকুন। এতে ১০ থেকে ১৫ দিন এর মধ্যে দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে।

চুল পড়া বন্ধ হবে কালোজিরা খাওয়ার ফলে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়। চুল পড়া বন্ধ করার ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল পেতে কালোজিরার তেল চুলের গোড়ায় মালিশ করুন।

যৌন ক্ষমতা বাড়ায় কালোজিরা যৌন বাধি ও স্নায়ু ব্যাধি আক্রান্ত রোগীদের জন্য খুবই উৎকৃষ্ট ঔষধ। এটি নারী ও পুরুষ ও ভয়েরই যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে পুরুষদের জন্য এটি বেশি উপকারী। পুরুষদের শুক্রাণু সংখ্যা বৃদ্ধি করে।

কালোজিরার অপকারিতা

কালোজিরায় উচ্চ মাত্রায় উপকারিতার পাশাপাশি কিছু কিছু ক্ষেত্রে কালোজিরার অপকারিতা রয়েছে। চলুন কালোজিরার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

অতিরিক্ত মাত্রায় কালোজিরা খেলে অ্যালার্জি, রক্তচাপ কমে যাওয়া ও বেড়ে যাওয়া, পাচনতন্ত্রের সমস্যা, অপারেশনের সময় ঝুঁকি, গর্ভাবস্থ্য ও স্তন্যদান এর সময় হতে পারে। প্রিয় পাঠক এই ছিল কালোজিরার অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম রয়েছে, কালোজিরা সঠিক নিয়মে খাওয়ার ফলে নানান রকমের উপকারিতা মিলে। নিচে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হলো।

খালি পেটে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালোজিরা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা একচা চামুচ কালোজিরার তেল গরম পানির সাথে মিসিয়ে খেতে পারেন।

মধুর সাথে একচা চামুচ গোটা অথবা গুরো কালোজিরা সামান্ন মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।

চা বানিয়ে কালোজিরা ফুটোন্ত পানিতে দিয়ে ৫ থেকে ৭ মিনিট জাল করে সেই পানি ছেকে চা এর মতো খেতে পারেন।

দুধ এর সঙ্গে গুটা কালোজিরা অথবা কালোজিরা গুরো দুধ এর সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে পারেন।

খাবার এর সঙ্গে কালোজিরা বিভিন্ন নান্নায় খাবার এর সঙ্গে খেতে পারেন।

কালোজিরা খাওয়া নিরাপদ, তবে জিনারা প্রতিদিন একটানা নিয়মিত কালোজিরা খেতে চান তাদের ক্ষেত্রে কিছু কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এই ক্ষেত্রে অবশই আপনারা ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে পারেন।

কালোজিরার পুষ্টিগুণ

কালোজিরায় বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পুষ্টিগুণ যামন, প্রোটিন, আয়রন, ফাইবার, ভিটামিন, অ্যাান্টিঅক্সিডেন্ট। এইগুলো পুষ্টিগুণ মানব্দেহের কোষ গঠন, রক্তের লোহিত কণিকা গঠণ, কোষ্ঠকাঠিন্য, ত্বক ও চুলের যত্ন, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ, হাড়ের সুস্থ্যতা ইত্যাদিতে সহায়তা করে।

শেষ কথা

বন্ধুগণ, শেষ কথাই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল দুবাই ভিসা দাম কত - দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ ২০২৪ ভিসাচেক এই সকল তথ্য আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। কোনো কিছু বুঝতে না পারলে বা কোনো তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে জনসচেতনতার ক্ষেত্রে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

শেষ কথা আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে ইদুবাই ভিসা দাম কত - দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ ২০২৪ ভিসাচেক এর সমস্ত তথ্য পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url