শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় - অসুস্থ হওয়ার কারণ কি

ভূমিকা

আজকে আর্টিকেলটি মূলত, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় - অসুস্থ হওয়ার কারণ কি? নিয়ে। এই আর্টিকেলে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়, অসুস্থ হওয়ার কারণ কি, সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা, গরমে সুস্থ থাকার উপায়, শীতে সুস্থ থাকার উপায়, সুস্থ থাকার দৈনন্দিন রুটিন, মানসিক রোগ কি ভালো হয় ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় - অসুস্থ হওয়ার কারণ কি

বন্ধুগণ, মানুষ সুস্থভাবে জীবন যাপন করার ক্ষেত্রে অনেক কিছুই অর্জন এবং বর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার দৈনন্দিন জীবন সুন্দর কাটাতে হলে এই আর্টিকেলটি আপনার বেশ উপকারে আসবে। তাই ধৈর্য ও মনোযোগ সহকারে, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সীমা এটি ওয়েব সাইটের সঙ্গে থেকে নিচের লেখাগুলো পড়তে থাকুন।

শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়

শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়? এখানে কিছু কার্যকরী উপায় উল্লেখ করা হলো যা আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন

প্রতিদিন ৩০ থেকে ১ ঘুমটা মাঝারি থেকে তীব্র মাত্রায় ব্যায়াম করুন। যেমন, হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো অথবা যোগব্যায়াম।

স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন

প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খান। প্রতিদিন পর্যাপ্ত ফলমূল, সবজি, পূর্ণ শসা এবং কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন খেতে চেষ্টা করুন।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন

প্রতিদিন অন্তত ৫ থেকে ৮ লিটার পানি পান করুন। এটি শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখে এবং বিভিন্ন শারীরিক কার্যক্রমে সহায়তা করে।

প্রচুর ঘুমান

প্রতি রাতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা গুণগত মানের ঘুম নিশ্চিত করুন। ঘুম শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং এবং সঠিকভাবে কাজ করার জন্য শক্তি প্রদান করে।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন

আপনার স্বাস্থ্য নিরীক্ষণের জন্য নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা করুন। এটি শরীরের অবস্থা সম্পর্কে আগাম সর্তকতা প্রদান করতে সাহায্য করে।

বন্ধুগণ, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য, উপরের উল্লেখ করা পদক্ষেপ গুলি অনুসরণ করতে পারেন। মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য, নিচের পদক্ষেপ গুলি অনুসরণ করতে পারেন।

স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট

মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, অথবা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করোন।

সামাজিক সংযোগ বজায় রাখুন

বন্ধু ও পরিবারের সাথে সময় কাটান, অনুভূতি ও চিন্তাভাবনা ভাগ করুন।

স্বাস্থ্যকর শখ গ্রহণ করুন

যা আপনাকে আনন্দ দেয় এবং মনের চাপ কমাতে সহায়ক হয় তা করুন। যেমন পড়াশোনা করা, গান গাওয়া, গান শোনা, ছবি আঁকা ইত্যাদি।

নিজেকে সময় দিন

নিজের জন্য কিছু সময় বের করুন। আপনার মনের প্রশান্তি এবং স্বস্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ।

পেশাদার সহায়তানি

যদি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা গুলি অতি গুরুতর হয়ে ওঠে, একজন মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারের সাথে পরামর্শ করুন।

এই উপায় গুলি আপনার জীবনে সামাজিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য এগুলোর মধ্যে কিছু অনুসরণ করা শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে আপনার জীবনযাত্রায় এইগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করুন।। বন্ধুগণ আশা করি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গিয়েছেন।

অসুস্থ হওয়ার কারণ কি

অসুস্থ হওয়ার কারণ বিভিন্ন হতে পারে এবং এগুলি সাধারণত শারীরিক, মানসিক অথবা পরিবেশগত উপাদানের ফলস্বরূপ হতে পারে। অসুস্থ হওয়ার কারণ কি? এখানে কিছু সাধারন কারণ উল্লেখ করা হলো।
  • ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া যেমন ফ্লু, সর্দি, জ্বর বা অন্যান্য ভাইরাস ও ব্যাকটেরিইয়াল ইনফেকশন অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
  • দুর্ঘটনা, শরীরের আঘাত, বা যে কোন শারীরিক চোটও অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
  • দীর্ঘওমিয়া দিয়ে রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, বা হৃদরোগ ইত্যাদি ক্রনিক রোগ গুলি দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
  • অপর্যাপ্ত পুষ্টি গ্রহণ করলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সংক্রমণ বিঘ্নিত হতে পারে।
  • দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা হতাশা শারীরিক স্বাস্থ্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন মাথা ব্যথা, পেটের সমস্যা, বা ঘুমের সমস্যা।
  • মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন মেজাজের অস্বাভাবিক পরিবর্তন বা আবেগগত সমস্যা শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
  • বায়ু দূষণ, পানি দূষণ বা অন্যান্য পরিবেশগত দূষণ শারীরিক সুস্থ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
  • অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান বা অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের ফলে স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • সঠিক বিশ্রাম ও ঘুমের অভাব শরীরের প্রতি রোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে এবং অসুস্থতার ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।
  • অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত, চিনি যুক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
  • পর্যাপ্ত ব্যায়াম না করা এবং দীর্ঘদিন শারীরিক কার্যকলাপের অভাব শরীরের দুর্বলতা বাড়াতে পারে।
এই কারণগুলি একসাথে কাজ করতে পারে এবং অনেক ক্ষেত্রে একাধিক কারণের সংমিশ্রণ অসুস্থতার সূচনা করে। সুস্থ থাকার জন্য, শারীরিক, মানসিক এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য সচেতনতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধুগণ আশা করি অসুস্থ হওয়ার কারণ কি কি তা বুঝতে পেরেছেন।

সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা

সুস্থ থাকার জন্য সুষম খাদ্যবাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুষম খাবার খেলে আপনি প্রয়োজনীয় পুষ্টি ভাবেন এবং দীর্ঘ মেয়াদী সুস্থতা বজায় রাখতে পারবেন। সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছের মধ্যে রয়েছে, স্যালমন, টুনা, মাকরেল। চিকেন এর মধ্যে রয়েছে চর্বি কম, সেদ্ধ বা গ্রিল করা। ডিম, মসুর ডাল, চানা ডাল, কম চর্বিযুক্ত মাংস।

শাকসবজি যেমন পালং শাক, ব্রুকলি, গাজর, বাঁধাকপি, টমেটো ইত্যাদি।

ফলমূল যেমন আপেল, কলা, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, পেঁপে, কমলা ইত্যাদি।

শস্য জাতীয় খাবার যেমন ব্রাউন রাইস, ওটস, কিনোয়া, সর্বগ্রাসী শস্য ইত্যাদি।

স্বাস্থ্যকর চর্বি যুক্ত এবং অন্যান্য খাবার যেমন আবাদানা, অলিভ অয়েল, আওকাডো, বাদাম, সিডস, দই প্রচুর পরিমানে পানি যেমন দিনে ৫ থেকে ৮ লিটার।

সুষম খাদ্যাভ্যাসে প্রক্রিয়াজাত ও উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার, চিনি ও প্রক্রিয়াজাত মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়া স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস বজায় রাখার পরামর্শ নিয়মিত শরীরচর্চা ও গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধুগণ আশা করি সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গিয়েছেন।

গরমে সুস্থ থাকার উপায়

গরমে সুস্থ থাকতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় আছে যা আপনাকে এই গরমের মৌসুমী স্বস্তিতে থাকতে সাহায্য করবে। চলুন গরমে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

পানি পান করুন

নিয়মিতভাবে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। দিনে ন্যূনতম ৫ থেকে ৮ লিটার পানি পান করার চেষ্টা করুন।

শীতল খাবার খান

তাজা ফল, সবজি এবং ঠান্ডা খাদ্য যেমন দই, ফলের রস ইত্যাদি খান। এছাড়াও তরমুজ, খিরা, পেঁপে ইত্যাদি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

ভারী খাবার এড়িয়ে চলো

তেল মশলা ও ভারী খাবার কম খান। এটির পরিবর্তে হালকা খাবার খান যেমন স্যালাড, দই, মিষ্টি আলু ইত্যাদি বেছে নিন।

বাহিরে যাওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন

গরমের সময় বাহিরে বের হওয়ার চেষ্টা কম করুন। যদি বের হওয়া প্রয়োজন হয়, তাহলে টুপি, সানগ্লাস এবং ছাতি ব্যবহার করুন।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন

পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম আপনার শরীরকে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করবে। ঘরের তাপমাত্রা কমাতে ফ্যান বা এসি ব্যবহার করুন।

স্বাস্থ্যকর পোশাক পড়ুন

হালকা ও শ্বাস প্রশ্বাসযোগ্য পোশাক পড়ুন। যেমন তুলে বা মিনারেল পোশাক। হালকা রঙের পোশাক পরলে সূর্যের তাপ প্রতিফলিত হয়।

বায়ু চলাচল নিশ্চিত করুন

ঘরের মধ্যে ভালো বায়ু চলাচল ব্যবস্থা রাখুন। ফ্যান বা এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করুন

প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম বা হাটাহাটি করুন। তবে গরমে অতিরিক্ত পরিশ্রম করা এড়িয়ে চলুন।

প্রিয় বন্ধুগণ, এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করলে গরমের মৌসুমে সুস্থ ও আরামদায়ক থাকতে পারেন। আশা করি আপনারা গরমে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে মোটামুটি তথ্য পেয়ে গিয়েছেন।

শীতে সুস্থ থাকার উপায়

শীতে সুস্থ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শীতের সময় বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতে সুস্থ থাকার উপায়? এখানে কিছু উপায় দেওয়া হলো যা আপনাকে শীতকালীন স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

গরম জামা পড়ুন

শীতকালে পর্যাপ্ত গরম জামা পড়ুন, বিশেষ করে হাত, পা, মাথা ও কান ঢাকার জন্য উষ্ণ কাপড় শরীরের তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করে।

গরম পানীয় পান করুন

গরম চা, কফি, বা স্যুপ পান করুন যা শরীরকে প্রশ্ন রাখবে এবং শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।

প্রচুর জল পান করুন

শীতকালেও শরীরের জলস্রাব বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত জল পান করলে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকে।

পুষ্টিকর খাবার খান

ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খান যা আপনার ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করবে। শীতকালীন সবজি, মৌসুমী ফল এবং বাদাম খেতে পারেন।

বাতাসের আদ্রতা বজায় রাখুন

শীতকালে বাতাস শুকিয়ে যায়, তাই ঘরের আদ্রতা বজায় রাখতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন।

প্রতিদিন শরীর চর্চা করুন

নিয়মিত শরীরচর্চা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে এবং ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে।

ভাইরাস থেকে সতর্ক থাকুন

ফিতে সাধারণত ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ে। সুতরাং, হাত নিয়মিত ধোঁয়া, মুখে ভাত না দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় টিকা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন

ভালো ঘুম শরীরের রেজেনারেশন এবং ইমিউনিটি সিস্টেমের স্বাস্থ্যর জন্য অপরিহার্য।

চুল ও ত্বকের সুরক্ষা

শীতে ত্বক এবং চুল শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ত্বক ও চুলের যত্ন নিন।

এই উপায় গুলো অনুসরণ করলে শীতকালীন সময়টাতে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব হবে। বন্ধুগণ, আশা করি শীতে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা পেয়ে গিয়েছেন।

সুস্থ থাকার দৈনন্দিন রুটিন

সুস্থ থাকার জন্য একটি সুশৃংখল দৈনন্দিন রুটিন পালন করা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ থাকার দৈনন্দিন রুটিন? এখানে একটি মৌলিক রুটিনের উদাহরণ দেওয়া হল যা আপনার দৈনন্দিন জীবনকে আরো স্বাস্থ্যকর করে তুলতে সাহায্য করতে পারে।
  • সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরের মাসাল গুলি প্রসারিত করুন। এটি আপনার দিন শুরু করার জন্য শক্তি যোগাবে।
  • এক গ্লাস পানির সঙ্গে দিন শুরু করুন। এটি আপনার শরীরকে হাইডেড রাখতে সহায়তা করবে।
  • সকালের খাবারে প্রোটিন, ভাইবার এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। উদাহরণস্বরূপ, ওটস, ফল, দুধ, ডিম, বাদাম ইত্যাদি।
  • প্রতিদিন ৩০ থেকে ১ ঘন্টা ব্যায়াম করুন। যেমন হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো, যোগব্যায়াম বা অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপ।
  • দুপুরের খাবারে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি প্রোটিন যেমন মাছ মুরগি ডাল খাওয়ার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত চিনি, লবণ এবং তেল কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • দিনে ৫ থেকে ৮ লিটার পানি পান করুন। কাজের মধ্যে মাঝেমধ্যে বিরতি নিন।
  • পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটান। সামাজিক সংযোগ মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক।
  • প্রতিদিন রাতে ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন, পাশাপাশি একই সময় ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে উঠার চেষ্টা করুন।
  • শরীরের কোন অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখলে অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় টিকা সময় মত করে নিন।
  • ধূমপান ও অতিরিক্ত অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।
প্রিয় বন্ধুগণ, এই রুটিন গুলো আপনার দৈনন্দিন জীবনকে সুস্থ ও সনিষ্ট রাখতে সাহায্য করবে। আশা করি, সুস্থ থাকার দৈনন্দিন রুটিন সম্পর্কে বিস্তারিত অনেকটাই তথ্য পেয়ে গিয়েছেন।

মানসিক রোগ কি ভালো হয়

মানসিক রোগ, যেমন উদ্বেগ, ডিপ্রেশন, বাই পোলার ডিজঅর্ডার, স্কিজোফ্রেনিয়া ইত্যাদি প্রাথমিকভাবে শারীরিক অসুস্থতার মতো সুস্থ হওয়ার বিষয় নয়। তবে ঠিক চিকিৎসা বা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এর লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। মানসিক রোগ কি ভালো হয়? মানসিক রোগ ভালো হওয়া বা সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের উপর।

চিকিৎসার প্রকারভেদ, সাইকো থেরাপি যেমন কগনিটিভ বিহেভিয়ারল থেরাপি, মেডিকেশন এবং অন্যান্য পদ্ধতি মানসিক রোগের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও নির্ধারিত ঔষধ নিয়মিত সেবন করা প্রয়োজন। যেমন, এন্টিডিপ্রেসেন্টস, অ্যান্টি অ্যাংজাইটি ঔষধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ঔষধ। পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্য ও ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসা পুনরাবৃত্তি রোগের উন্নতি নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। সঠিক চিকিৎসা, জীবন যাপনের পরিবর্তন এবং সহানুভূতির মাধ্যমে অনেক মানুষ মানসিক রোগের লক্ষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হন এবং তাদের জীবন মান উন্নত করতে পারেন।

কিছু রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যেতে পারে তবে কিছু রোগের ক্ষেত্রে লক্ষণ কমানোর মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের স্বাস্থ্যের উন্নয়ন সম্ভব। রোগী এবং চিকিৎসক মিলিতভাবে কাজ করলে উন্নতির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। বন্ধুগণ আশা করি, মানসিক রোগ কি ভালো হয় এই সম্পর্কে অনেকটাই তথ্য পেয়ে গিয়েছেন।

শেষ কথা

বন্ধুগণ, শেষ কথাই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় - অসুস্থ হওয়ার কারণ কি এই সকল তথ্য আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। কোনো কিছু বুঝতে না পারলে বা কোনো তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে জনসচেতনতার ক্ষেত্রে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

শেষ কথা আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় - অসুস্থ হওয়ার কারণ কি এর সমস্ত তথ্য পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url