বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয় শারীরিক ও শিক্ষাগত যোগ্যতা

ভূমিকা

আজকের তথ্যটি বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয় শারীরিক ও শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে। এই আর্টিকেলে বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয় শারীরিক ও শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিসিএস পরীক্ষার শারীরিক যোগ্যতা, বিসিএস পরীক্ষার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়, বিসিএস পরীক্ষার বয়সসীমা,
বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয় শারীরিক ও শিক্ষাগত যোগ্যতা

বিসিএস লিখিত পরীক্ষা কত দিনে হয়, বিসিএস ক্যাডার হতে কত বছর লাগে ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন। বিসিএস যার বাংলা অর্থ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস। বলতে গেলে এটি শিক্ষা জগতের প্রধান মেরুদন্ড। বিসিএস সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানতে হলে সীমা আইটি ওয়েবসাইট এর সঙ্গে থেকে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয়

বিসিএস যার বাংলা অর্থ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস। বিসিএস পরীক্ষা সাধারণত প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়, তবে এটি কিছু সময় পর পরেও অনুষ্ঠিত হতে পারে। নির্দিষ্ট সময়সূচী বিভিন্ন কারণে পরিবর্তন হতে পারে, যেমন প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, পরিস্থিতি বা অন্যান্য বিষয়। তাই প্রতি বছর পরীক্ষা হওয়া সাধারণ হলেও মাঝে মধ্যে এক বা দুই বছরের ব্যবধানও হতে পারে।

বিসিএস পরীক্ষার শারীরিক যোগ্যতা

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সংক্ষেপে বলা হয় বিসিএস, এই পরীক্ষার শারীরিক যোগ্যতা বিভিন্ন ক্যাডারের জন্য কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। তবে সাধারণত কিছু মৌলিক শারীরিক যোগ্যতা মানা হয়। এখানে বিসিএস পরীক্ষার শারীরিক যোগ্যতার সারাংশ নিচে তুলে ধরা হলো।

উচ্চতা

পুরুষ সাধারণত ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, ১৬২ সেমি বা তার বেশি।

মহিলা সাধারণত ৫ ফুট ০ ইঞ্চি, ১৫২ সেমি বা তার বেশি।

ওজন

ওজন উচ্চতার সাথে সামজ্ঞস্যপূর্ণ হতে হবে। এটি স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারিত হয়।

দৃষ্টি

চোখের দৃষ্টি স্বাভাবিক বা সংশোধিত হতে হবে। কোন অপটিক্যাল ত্রুটি থাকলে তা নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকতে হবে। কিছু ক্যাডারের বিশেষ দৃষ্টি সংক্রান্ত নিয়মাবলী থাকতে হবে।

স্বাস্থ্য

প্রার্থীদের সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে হয়। অবশ্যই দাঁত ও শ্রবণ ক্ষমতা স্বাভাবিক হতে হবে।

কিছু ক্যাডারের শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে যেমন দৌড়ানো বা অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষা। শারীরিক যোগ্যতার দৃষ্টির নিয়মাবলী প্রতিবার বিসিএস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় এবং তা সময়মতো আপডেট করা হয়। তাই সর্বশেষ তথ্য জানার জন্য বিসিএস পরীক্ষা অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি বা বাংলাদেশ বা সিভিল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইট দেখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

বিসিএস পরীক্ষার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ( বিসিএস ) পরীক্ষার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার মানদন্ড বিভিন্ন ক্যাডারের জন্য কিছুটা ভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণভাবে কিছু মৌলিক শর্ত রয়েছে। সকল প্রার্থীর জন্য একটি স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী প্রার্থী বাধ্যতামূলক। এখানে বিসিএস পরীক্ষার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার সাধারণত বিবরণ নিচে তুলে ধরা হলো।

বিভিন্ন ক্যাডার বা পদ অনুযায়ী যোগ্যতা বিভিন্ন রকম হতে পারে যেমন,

প্রশাসন ক্যাডার সাধারণত যে কোন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী প্রাপ্তি যথেষ্ট।

পুলিশ ক্যাডার সাধারণভাবে যে কোন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী গ্রহণযোগ্য।

বাণিজ্য অর্থনীতি ক্যাডার অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় প্রশাসন, পরিসংখ্যান ইত্যাদি বিষয়ে নাটক ডিগ্রি থাকতে হবে।

শিক্ষা ক্যাডার শিক্ষা, শিক্ষা প্রশাসন, মনোবিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে।

এছাড়াও কিছু ক্যাডারের মাস্টার ডিগ্রী অগ্রাধিকার পেতে পারে, তবে এটি সাধারণত বাধ্যতামূলক নয়। সাধারণত ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে। কিছু ক্যাডারের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো যেতে পারে। নিচে বিসিএস পরীক্ষার বয়সসীমা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পিসিএস) পরীক্ষার জন্য প্রার্থীরা সাধারণভাবে বিভিন্ন বয়স ও ক্যাডারের শর্ত অনুযায়ী কয়েকবার পরীক্ষা দিতে পারেন। তবে, নির্দিষ্ট নিয়মাবলী এবং সীমাবদ্ধতা প্রতি বছর পরিবর্তন হতে পারে। বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায় নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

সাধারণ প্রার্থীদের জন্য বিসিএস পরীক্ষার বয়স সীমা মূলত ২১ থেকে ৩০ বছর। এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩২ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। প্রার্থী এই বয়স সীমার মধ্যে যতবার চান ততবার পরীক্ষা দিতে পারেন। যতক্ষণ না তার বয়সীমার বাহিরে চলে যান এবং যতক্ষণ তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অন্যান্য শর্ত পূরণ হয়।

বিসিএস পরীক্ষার বয়সসীমা

বাংলাদেশ বিসিএস পরীক্ষার জন্য বয়স সীমা বিভিন্ন প্রার্থীর জন্য ভিন্ন হতে পারে। বিসিএস পরীক্ষার বয়সসীমা,
  • সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ২১ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত।
  • মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩২ বছর পর্যন্ত।
  • প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য ৩২ বছর পর্যন্ত। তবে প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য কখনো কখনো ৩৫ বছর পর্যন্ত বয়সের ছাড় দেওয়া হয়।
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য যারা বর্তমানে সরকারি চাকরিতে আছেন এবং বিসিএস পরীক্ষা দিতে চান, তাদের জন্য কিছু ক্ষেত্রে বয়সের সীমা বাড়ানো যেতে পারে। এটি সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বিসিএস লিখিত পরীক্ষা কত দিনে হয়

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সাধারণত ৬ থেকে ৭ দিন ধরে চলে। পরীক্ষার সময়সূচি এবং দিন সংখ্যা নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয় এবং পরীক্ষার কাঠামোর ওপর। লিখিত পরীক্ষার কাঠামো নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • বাংলা ১০০ নম্বর।
  • ইংরেজি ১০০ নম্বর।
  • জেনারেল স্টাডিজ অর্থাৎ সাধারণ জ্ঞান ১০০ নম্বর।
  • বিভিন্ন বিষয়ের পরীক্ষা ১০০ নম্বর। যেমন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ইতিহাস ইত্যাদি।
প্রতিটি পরীক্ষার জন্য সাধারণত তিন ঘন্টা সময় দেওয়া হয়। পুরো পরীক্ষার সময়সূচি সাধারণত বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস কমিশনের অধিদপ্তরে দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ১ থেকে ২ দিন সাধারণভাবে বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা হয়। একদিন বিভিন্ন বিষয়ের পরীক্ষায় অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে মোট পরীক্ষার দিন গুলির সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।

বিসিএস ক্যাডার হতে কত বছর লাগে

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিসিএস ক্যাডার হতে মোট কত বছর লাগে, তা নির্ভর করে কয়টি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ও তাদের সময়ের উপর। সাধারণভাবে, বিসিএস ক্যাডার হওয়া একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া যা নিম্নলিখিত ধাপ গুলির মাধ্যমে সম্পূর্ণ হয়। বিসিএস ক্যাডার হতে কত বছর লাগে নিজে তুলে ধরা হলো।

বিসিএস পরীক্ষার প্রক্রিয়া

  • প্রথম পর্ব প্রিলিমিনার প্ররীক্ষা ৩ থেকে ৬ মাস প্রস্তুতির পর প্রতিবছর একদিন
  • দ্বিতীয় পর্ব লিখিত পরীক্ষা ৬ থেকে ১২ মাস প্রস্তুতির পর ৬ থেকে ৭ দিন লিখিত পরীক্ষা।
  • তৃতীয় পর্ব মৌখিক পরীক্ষা ৬ থেকে ৯ মাস প্রস্তুতির পর ১ থেকে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত।
  • ফলাফল প্রকাশ ৬ থেকে ৯ মাস

নিয়োগ প্রক্রিয়া
  • মাধ্যমিক প্রশিক্ষণ ৩ থেকে ৬ মাস।
  • প্রাথমিক প্রশিক্ষণ ১ থেকে ২ বছর।
  • চূড়ান্ত নিয়োগ ১ থেকে ২ বছর।
মোট সময় কাল

বিসিএস ক্যাডার হতে মোটামুটি ২ থেকে তিন বছর সময় লাগতে পারে, তবে এটি বিভিন্ন পরীক্ষার আয়োজন, ফলাফল প্রকাশের সময় এবং প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে পরিবর্তন হতে পারে।

শেষ কথা

বন্ধুগণ, শেষ কথাই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয় শারীরিক ও শিক্ষাগত যোগ্যতা এই সকল তথ্য আশা করি আপনি এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। কোনো কিছু বুঝতে না পারলে বা কোনো তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে জনসচেতনতার ক্ষেত্রে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

শেষ কথা আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয় শারীরিক ও শিক্ষাগত যোগ্যতা এর সমস্ত তথ্য পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url