ইউটিউব থেকে ইনকাম করার অতি সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ পর্যাপ্ত উপায়

ভূমিকা

এই আর্টিকেলটি মূলত, ইউটিউব থেকে ইনকাম করার অতি সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ পর্যাপ্ত উপায় নিয়ে। এই আর্টিকেলে ইউটিউব থেকে ইনকাম, ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায়, ইউটিউব থেকে আয় করার ১০ টি উপায়, ইউটিউবে ভিউ হচ্ছে না কেন, ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়, ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সঠিক সময় সম্পর্কে জানবেন।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার অতি সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ পর্যাপ্ত উপায়

বন্ধুগণ আশা করি ভালই আছেন। প্রতিদিনের মতো আজকেও আরো একটি নতুন ব্লগ আর্টিকেল নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের আর্টিকেলটি মূলত youtube থেকে ইনকাম করার উপায় নিয়ে। জ্বিনারা ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে চান তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তাই ধৈর্য ধরে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

ইউটিউব থেকে ইনকাম

ইউটিউব থেকে ইনকাম? ইউটিউব থেকে আয় করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে, যা আপনি আপনার চ্যানেলের জনপ্রিয়তা ও বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে ব্যবহার করতে পারেন। বন্ধুগণ আজকের এই আর্টিকেলটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ইউটিউব থেকে ইনকাম করার সকল প্রসেস জানতে পারবেন নিচের লেখাগুলোতে।


অনলাইন জগতে ইনকাম করার বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যে রয়েছে ইউটিউব। চাইলে আপনিও প্রতিদিন, প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন ইউটিউব থেকে। তবে এর জন্য জানতে হবে সঠিক পরামর্শ। আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ুন আশা করি ইউটিউব থেকে ইনকাম করার সকল পরামর্শ জানতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায়

ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায়? ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে। আপনার একাউন্টে আপনার পছন্দ অনুযায়ী প্রতিদিন ভিডিও আপলোড দিতে হবে, ভিডিও হতে হবে মানসম্মত যেন ভিউয়ার্সদের দেখে ভালো লাগে এবং আরো বেশি ভিডিও চাই, এমন ভিডিও আপলোড দিতে হবে।

ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হল গুগল এডসেন্স। গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আপনি youtube থেকে ইনকাম করতে পারবেন। গুগল এডসেন্স পাওয়ার জন্য আপনাকে লাস্ট ১২ মাসে ৪,০০০ ঘন্টা ভিডিওর ভিউ ওয়াচ টাইম এবং ১,০০০ সাবস্কাইব পেটে হবে।

অবশ্যই আপনার চ্যানেলে কোন ধরনের কপিরাইট ভিডিও, অবাঞ্চকর, অপ্রাসঙ্গিক ভিডিও, সেক্সচুয়াল ভিডিও থাকা চলবে না। এগুলো সকল পদক্ষেপ মেনে চলে, নিয়মিত ভিডিও আপলোড দিলে একটি সময় মনিটাইজেশন চালু করার অ্যাপ্লাই অপশন চালু হয়ে যাবে।

তারপর থেকে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও ইউটিউব থেকে ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে। সেগুলো উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচের 'ইউটিউব থেকে আয় করার ১০ টি উপায়‚ এতে তুলে ধরা হলো। ফেসবুক থেকে ইনকাম করার গুরুত্বপূর্ণ A2Z তথ্য জানতে হলে এই লিঙ্কে চাপ দিন।

ইউটিউব থেকে আয় করার ১০ টি উপায়

ইউটিউব থেকে আয় করার ১০ টি উপায়? ইউটিউব থেকে আয় করার সকল উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।
বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম। Youtube মূলত ভিডিও দেখার প্লাটফর্ম। এখানে আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য যে সকল শর্ত রয়েছে তা আশা করি উপরের 'ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায়, এই মন্তব্যে জেনে গিয়েছেন।


স্পন্সারশিপ এবং ব্র্যান্ড ডিলস পরে ইনকাম। জনপ্রিয় চ্যানেলগুলি ব্যান্ডের পণ্য বা সেবা প্রচারের জন্য স্পন্সার শিপ ডিল করতে পারে, যেখানে তারা ব্যান্ডের অন্য বা সেবা প্রচার করে। এটি সরাসরি আয় করতে সাহায্য করে। স্পন্সারশিপ এবং ব্র্যান্ড ডিলস পরে প্রতিমাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

মার্চেন্ডাইজ বিক্রি করে ইনকাম। আপনার চ্যানেলের নাম বা লোগো ব্যবহার করে টি শার্ট, মগ, হুডি ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন। ইউটিউবের মশ্চারাইজ সেলফ ফিউচার ব্যবহার করে এই পণ্যগুলি সরাসরি আপনার চ্যানেল থেকে বিক্রি করতে পারেন। মার্চেন্ডাইজ বিক্রি করে প্রতিমাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

পেইড সাবস্কিপশন থেকে ইনকাম। আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাই ব ফিউচার ব্যবহার করে আপনার সাবস্ক্রাইবারদের এক্সকুলুসিভ কনটেন্ট প্রদানের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম। আপনার ভিডিওর বর্ণনাতে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করে আপনি দর্শকদের পণ্য বা সেবা কেনার জন্য প্রচারিত করতে পারেন। কোন ভিউয়ার্স যদি আপনার লিঙ্ক থেকে কোন পণ্য কিনে তাহলে বিক্রির একটি অংশ হিসেবে আপনি কমিশন পাবেন। আফিলের মার্কেটিং করে ভালো টাকা ইনকাম করা যায়।

লাইভ স্ট্রিম এবং সুপার চ্যাট করে ইনকাম। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সময় দর্শকরা সুপার চ্যাট বা সুপার স্টিকার হিসেবে অর্থ প্রদান করতে পারে, যা সরাসরি আয় করার একটি অতি সহজ উপায়। লাইভ স্ট্রিম এবং সুপার চ্যাট করে প্রতি মাসে ইউটিউব থেকে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ওয়ার্কশপ এবং কনসালটেস্নি করে ইনকাম। বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিভিন্ন কর্মশালা, কোর্স বা টিউটোরিয়াল আয়োজন করে আয় করতে পারেন। একজন মানুষের স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্রে, আপনি বিভিন্ন রকমের গোপন ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে কোর্স তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।

ডোনেশন এবং ক্রাউডফান্ডিং করে ইনকাম। আপনার প্রকল্প বা ভিডিও রিলিজের জন্য দর্শকদের কাছ থেকে ডোনেশন সংগ্রহ করতে পারেন। এর জন্য আপনার ভিডিও হতে হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়। ডোনেশন এবং ক্রাউডফান্ডিং করে মাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বুকস বা ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম। আপনার বিশেষজ্ঞতা অনুযায়ী বই, ই-বুক, বা অনলাইন কোর্স তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। বুকস বা ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করে প্রতি মাসে ইউটিউব থেকে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এন্ডোর্সমেন্ট এবং কনসালটেন্সি করে ইনকাম। একটি বিশেষ ব্যান্ডের পণ্য বা সেবা আপনার চ্যানেলের ভিডিওর মাধ্যমে প্রচার এর ক্ষেত্রে মালিকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কিছু টাকার বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন। এভাবে বেশ কিছু ব্র্যান্ড এর পণ্য প্রচার করে প্রতি মাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বন্ধুগণ প্রতিটি উপায়ের সফলতা নির্ভর করে আপনার চ্যানেলের কনটেন্টের গুণমান, দর্শকদের আগ্রহ এবং আপনার প্রচেষ্টা কতটা তার ওপর। নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড, দর্শকদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে আপনার আয় বাড়তে পারে।

প্রিয় পাঠক আশা করি এতক্ষণে আপনারা ইউটিউব থেকে আয় করার ১০ টি উপায় সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়ে গিয়েছেন।

ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম

ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম? ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য ভিডিও বানানো ছাড়াও কিছু বিকল্প উপায় রয়েছে। ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার এখানে কিছু পদ্ধতি তুলে ধরা হলো।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম। আপনি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও ছাড়াই বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিসের এফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন। এই লিংক গুলো আপনি ইউটিউব ভিডিওর ডিসক্রিপশনে বা কনটেন সেকশনে রাখতে পারেন। যখন দর্শকরা সেই লিংক গুলির মাধ্যমে ক্রয় করবে, তখন আপনি কমিশন পাবেন।

ওয়েবসাইট বা ব্লগ করে ইনকাম। Youtube চ্যানেলের সঙ্গে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ চালিয়ে তার মাধ্যমে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোট করে ইনকাম করতে পারবেন।

ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেল করে ইনকাম। অন্যান্য ইউটিউবারদের ভিডিও, ব্লগ বা ডিজিটাল প্রোডাক্টস প্রমোট করে ইনকাম করতে পারেন। এটি আপনার নিজস্ব চ্যানেলে প্রমোশনাল কন্টেন্ট হিসেবে হতে পারে।


ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করে ইনকাম। Youtube চ্যানেলগুলো পরিচালনা করার জন্য চ্যানেলের মেজারমেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন। এতে চ্যানেলের কনটেন্ট পরিকল্পনা, অপটিমাইজেশন এবং অন্যান্য কৌশল কত কাজ যেমন কমেন্ট চেক ইত্যাদি কাজ, করে ইনকাম করতে পারবেন।

অন্যদের কন্ঠ ব্যবহারের মাধ্যমে কনসালটিং করে ইনকাম। ইউটিউব ভিডিও কনটেন্ট মার্কেটিং পরিষেবা প্রদান করতে পারেন, যেখানে আপনি অন্যদের চ্যানেল বা ভিডিও কন্টেন উন্নত করার জন্য পরামর্শ দিতে পারেন।

এই পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে আপনি youtube প্লাটফর্ম সুবিধা নিয়ে ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন। যদিও সরাসরি ভিডিও তৈরির সাথে সম্পর্কিত নয়।

ইউটিউবে ভিউ হচ্ছে না কেন

ইউটিউবে ভিউ হচ্ছে না কেন? এ আপনার ভিডিওর ভিউ কম হওয়ার পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। এখানে কিছু সাধারণ কারণ এবং সমাধান দেওয়া হল যা আপনার ভিডিওর বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।

কনটেন্টের গুণগত মান। ভিডিওর কনটেন্ট যদি কম আকর্ষণীয় হয়, তবে দর্শকরা কম আগ্রহ দেখতে পারে। এমনভাবে ভিডিও তৈরি করুন যেন আপনার ভিডিও কনটেন্ট আকর্ষণীয় মান সম্পন্ন হয়।

থাম্বনেইল ও টাইটেল। দুর্বল থাম্বনেইল ও টাইটেল ভিডিওর প্রতি দর্শকদের আগ্রহ কমতে পারে। আকর্ষণীয় এবং সাম্প্রতিক থাম্বনেইল ও টাইটেল তৈরি করুন যা আপনার দর্শকদের ভিডিও দেখতে প্রেরণা দেয়।

ভিডিওর বিবরণ ও ট্যাগ। যদি ভিডিওর বিবরণ ও ট্যাগ অপটিমাইজেশন না থাকে অর্থাৎ SEO, তাহলে ভিডিওটি সঠিক দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারে না। ভিডিও SEO গুরুত্বপূর্ণ কিওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করুন যা দর্শকরা সার্চ করলে আপনার ভিডিও দেখে যাবে।

ভিডিও আপলোড সময়। ভুল সময় ভিডিও আপলোড করলে দর্শকরা তা দেখতে পারে না। আপনার লক্ষ্য দর্শকদের জন্য উপযুক্ত সময় অনুযায়ী ভিডিও আপলোড করা।

প্রমোশন ও মার্কেটিং। ভিডিওর প্রচারণা না হলে দর্শকদের কাছে পৌঁছানো কঠিন হতে পারে। এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে ভিডিও প্রমোট করুন।

প্রতিযোগিতায়। যদি আপনার কন্টেন জনপ্রিয় এবং প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্রে থাকে, তাহলে দর্শকদের আকৃষ্ট করা কঠিন হতে পারে। কনটেন্ট এর প্রতি একটি বৈশিষ্ট্য কৌশল বা ন্যাশনাল ফোকাস তৈরি করুন যা আপনার ভিডিওকে উন্নত করে তোলে।

বন্ধুগণ এই দিকনির্দেশনা গুলি অনুসরণ করলে আপনি আপনার ভিডিও ভিউ বৃদ্ধি করতে পারেন এবং আরো বেশি দর্শক আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবেন। আশা করি ইউটিউবে ভিউ হচ্ছে না কেন এবং ভিউ বৃদ্ধির অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনারা জানতে পেরেছেন।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়? Youtube থেকে মাসে কত টাকা আয় করা সম্ভব তা অনেকটাই নির্ভর করে আপনার চ্যানেলের বিষয়বস্তু, দর্শক সংখ্যা, অডিয়েন্স এনগেজমেন্ট, বিজ্ঞাপন রেট এবং অন্যান্য ফ্যাক্টর এর উপর। ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়, এই সম্পর্কে এখানে কিছু মৌলিক ফ্যাক্টর নিয়ে আলোচনা করা হলো


নতুন চ্যানেল বা যারা কম ভিউ পাচ্ছেন তাদের আই সাধারণত খুব কম হতে পারে। যদি আপনার চ্যানেলের ভালোদর্শক সংখ্যা এবং নিয়মিত ভিউ থাকে, তবে মাসিক আয় কয়েকশো থেকে কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে। জনপ্রিয় চ্যানেল বা বৃহৎ ভিউ সংখ্যা এবং সাবস্ক্রাইব বেস সহ চ্যানেলগুলো মাসে হাজার হাজার ডলার আয় করতে পারে।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় এ সম্পর্কে নিজে কিছু উদাহরণ তুলে তুলে ধরা হলো। CPM, CPM, CTR এবং অন্যান্য ফ্যাক্টরের যেমন (বাহির দেশে থেকে ভিউ এবং এড এ ক্লিক করার) নির্ভর করে ডলার কমবেশি ইনকাম হতে পারে।
  • CPM বলতে বোঝাই, প্রতি হাজার ভিউতে বিজ্ঞাপনদাতা কত টাকা দেয়।
  • CPC বলতে বোঝায়, কোন ভিউয়ার যদি বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে তখন কত টাকা পাওয়া যায়।
  • CTR বলতে বোঝায়, কতজন মানুষ ভিউ এবং বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেছে।
নিম্ন স্তরের চ্যানেল। যদি আপনার চ্যানেল নতুন হয় এবং আপনি মাসে ১০,০০০ ভিউ পান, তাহলে আপনার মাসিক আয় ৫০$ থেকে ২০০$ ডলার হতে পারে।

মাঝারিস্তরের চ্যানেল। যদি আপনার চ্যানেলের মাসিক ১০০,০০০ ভিউ হয় তাহলে প্রায় ৫০০$ থেকে ২,০০০$ পর্যন্ত হতে পারে।

উচ্চস্তরের চ্যানেল। জনপ্রিয় চ্যানেল মাসিক ১০ লক্ষ ভিউ বা তার বেশি হলে আয় হাজার হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে।

বন্ধুগণ, এখানে এগুলা কেউ পরিমাণ গুলো একটি গাইডলাইন হিসেবে ধরা উচিত। আশা করি ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় এ সম্পর্কে মোটামুটি আপনারা ভালো ধারণা পেয়ে গিয়েছেন।

ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সঠিক সময়

ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সঠিক সময়? ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সঠিক সময় নির্ভর করে আপনার লক্ষ্য দর্শকদের আচরণ, টাইম জোন, এবং অন্যান্য বিভিন্ন ফ্যাক্টরির উপর। তবে কিছু সাধারণভাবে কিছু মৌলিক দিক রয়েছে যা আপনার উপযুক্ত সময় বেছে নিতে সাহায্য করবে।

চেষ্টা করবেন আপনার চ্যানেলে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করা এবং প্রতিদিন একই সময়। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সঠিক সময় হল বিকেল ৪ টা থেকে ৬ টার মধ্যে। আমেরিকান দর্শকদের জন্য, দুপুর ১২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত ভিডিও আপলোড করা উত্তম হতে পারে।

এইরোপীয় দর্শকদের জন্য, বিকেল চারটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত ভালো সময় হতে পারে। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সপ্তাহিক কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন। সাধারণভাবে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিকেল বা সন্ধ্যার দিক দিয়ে প্রায় ৩ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত ভিডিও আপলোড করলে বেশি দর্শক পাওয়া যেতে পারে।

কারণ অনেক মানুষ তখন বেশি সময় অনলাইনে থাকে। শনিবার ও রবিবার সপ্তাহের সাধারণভাবে দর্শকরা বেশি সময় ইউটিউবে কাটাই, তাই শনিবার ও রবিবার সকালে বা দুপুরে ৯ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত ভিডিও আপলোড করতে পারেন।


সর্বোপরি, দর্শকদের অভ্যাস এবং ইউটিউব এনাইলিটিসের উপর ভিত্তি করে সঠিক সময় নির্ধারণ করা আপনার ভিডিও সফলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধুগণ আশা করি ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সঠিক সময় সম্পর্কে আপনারা ভাল ধারনা পেয়ে গিয়েছেন।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই 'ইউটিউব থেকে ইনকাম করার অতি সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ পর্যাপ্ত উপায়, নিয়ে। এই আর্টিকেলটি পড়ে আশা করি ইউটিউব থেকে ইনকাম করার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন।

প্রিয় বন্ধুগণ, অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে জনসচেতনতার ক্ষেত্রে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

কোনো কিছু বুঝতে না পারলে বা কোনো তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url