নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় তৈলাক্ত মুখে দিলে কিহয়
নিমপাতা, স্বাস্থ্য ও শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার
উপায় সহ তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার এবং নিম পাতা বেটে মুখে দিলে কি হয়
ইত্যাদি সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ জানতে পারবেন। তাই এই আর্টিকেলটি খুব মজার
হতে চলেছে। শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন।
বন্ধুগণ, আশা করি ভালই আছেন। প্রতিদিনের মতো আজকেও আরও একটি নতুন ব্লগ আর্টিকেল
নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকের আর্টিকেলটি মূলত নিমপাতা দিয়ে ফর্সা
হওয়ার উপায় সম্পর্কে। যাদের ত্বক একদম অপরিষ্কার তাদের জন্য নিমপাতা হতে পারে
বিশেষ মহা ঔষধ।
পোস্ট সূচিপত্রঃনিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় তৈলাক্ত মুখে দিলে কিহয়
ভূমিকা
নিম পাতার গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি আবার জানি না। একজন মানুষের
শরীরের পক্ষে নিমপাতা কতটা উপকারী, তা এই পোস্ট না পড়লে আপনি জানতে পারবেন না।
এই আর্টিকেলটি মূলত, নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় তৈলাক্ত মুখে দিলে
কিহয় এছাড়াও নিমপাতা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানবেন।
নিমপাতা ত্বকের সুরক্ষায়, চুলের যত্নে, শরীরের রোগ জীবাণুর সাথে লড়াই সহ
পেটের নানান রকম সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। বিজ্ঞানীরা এটিকে মহরোগের ঔষধ বলে
আখ্যা দিয়েছেন। প্রিয় বন্ধুগণ, নিম পাতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের
লেখাগুলো পড়তে থাকুন।
নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়? ফর্সা হওয়ার ক্ষেত্রে নিমপাতা ব্যবহার করা
যেতে পারে, এটি প্রাকৃতিক উপাদান। এর অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
গুণের কারণে ত্বকের জন্য উপকারী। বন্ধুগণ, নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
সম্পর্কে আজ আমি আপনাদের ৩ টি উপকারী ফেসপ্যাক সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
যেগুলো আপনি খুব সহজেই বাড়িতেই তৈরি করতে পারবেন এবং ব্যবহার এর ফলে আপনি খুব
দ্রুত ফর্সা হতে শুরু করবেন। নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে
বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে উল্লেখ করা হলো।
দুধের পেস্ট ও নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ ১/২ কাঁচা ও পরিষ্কার
নিমপাতা নিন এবং ২ টেবিল চামচ দুধ একত্রে ব্লেন্ডার মেশিন এর সাহায্যে ভালোভাবে
মিকচার করে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি মুখে ও গলায় লাগান এবং ৩০ মিনিট পরে
ধুয়ে ফেলুন।
মধু ও নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ ১/২ কাপ কাঁচা ও পরিষ্কার
নিমপাতা এবং ২ টেবিল চামচ খাটি মধু একত্রে ব্লেন্ডার মেশিন এর সাহায্যে পেস্ট
তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিয়ে, পরে
ধুয়ে ফেলুন।
হলুদ ও নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ ১ থেকে ২ কাপ কাঁচা ও
পরিষ্কার নিমপাতা এবং এক থেকে দুই চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ( এখানে কাঁচা হলুদ ও
ব্যবহার করতে পারেন ) এই দুইটি উপকরণ একত্রে ব্লেন্ডার মেশিন এর সাহায্যে ভালো
করে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে ৩০ মিনিট ধরে লাগিয়ে রাখুন, পরে ধুয়ে
ফেলুন।
নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার ক্ষেত্রে এই মিশ্রণগুলো সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার
ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে যাদের এলার্জি রয়েছে তারা প্রথমে আপনার তৈরি
করা পেস্ট হাতে লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিতে পারেন। নিম পাতার ব্যবহার নিয়মিত
করলে ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে। তবে কোন সমস্যা হলে ডাক্তারের
পরামর্শ নিন।
প্রিয় পাঠক, আশা করি নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য জানতে পেরে অনেক উপকৃত হয়েছেন। তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে, নিচের লেখাগুলো পড়তে থাকুন।
তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার
তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার? তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার অনেক উপকারে
আসতে পারে। নিমপাতা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টিফাঙ্গাল এবং আন্টি
ইনফ্লামেটরি গুণে ভরপুর, যা ত্বকের সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে যেমন ব্রণ,
একনি এবং ত্বকের তেল। তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে কিছু
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো।
দই ও নিমপাতা দিয়ে তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহারঃ ১ থেকে ২ কাপ
কাঁচা পরিষ্কার নিমপাতা এবং ১ টেবিল চামচ দই একত্রে ব্লেন্ডার মেশিন এর
সাহায্যে ভালো করে মিক্সচার করে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে ৩০ মিনিট ধরে
রাখুন, এরপর ধুয়ে ফেলুন।
লেবুর রস ও নিম পাতা দিয়ে তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহারঃ ১ থেকে ২
কাপ কাঁচা পরিষ্কার নিম পাতা এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস একত্রে ব্লেন্ডার মেশিন
এর সাহায্যে ভালো করে মিক্সার করে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ১৫ থেকে ২০ মিনিট
ধরে মুখে লাগিয়ে রাখার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
মধু ও নিমপাতা দিয়ে তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহারঃ ১ থেকে ২ কাপ
কাঁচা ও পরিষ্কার নিমপাতা এবং ১ টেবিল চামচ অরজিনাল মধু একত্রে ব্লেন্ডার মেশিন
এর সাহায্যে ভালো করে মিক্সার করে নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি মুখে ২০
মিনিট ধরে লাগিয়ে রাখুন, এরপর ধুয়ে ফেলুন।
নিম পাতা দিয়ে স্নান করে তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহারঃ ২০ থেকে ৩০ একটি
কাচা নিমপাতা পানিতে ফুটিয়ে নিন এবং সেই পানি দিয়ে স্নান করুন। এতে ত্বক ও
দেহ সতেজ ও পরিষ্কার রাখবে।
নিমের তেল ব্যবহার করে তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তিঃ নিমের তেল তৈলাক্ত ত্বকে
ব্যবহার করলে এটি ত্বকের উপর থেকে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে, ফলে
তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
প্রিয় পাঠক, তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে উপরের উল্লেখ করা টিপস
গুলো সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
নিন। নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয় জানতে এই
লিংকে ক্লিক
করুন।
বন্ধুগণ, যাদের শরীরে এলার্জি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এগুলো ফেসপ্যাক ব্যবহার
করার আগে শরীরের যে কোন অংশে যেমন হাতে কিছু সময়ের জন্য ব্যবহার করুন এবং
ফলাফল বোঝার পর ত্বকে ব্যবহার করতে পারে।
প্রিয় পাঠক, নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় ও তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার
ব্যবহার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরে আশা করি অনেক উপকৃত হয়েছেন।
নিম পাতা বেটে মুখে দিলে কি হয় জানতে হলে নিচের লেখাগুলো পড়তে থাকুন।
নিম পাতা বেটে মুখে দিলে কি হয়
নিম পাতা বেটে মুখে দিলে কি হয়? নিমপাতা বেটে মুখে দিলে ত্বকের জন্য বেশ কিছু
উপকারে আসে। নিমপাতা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং আন্টি ইনফ্লামেটরি গুনে
সমৃদ্ধ, তাই এর ব্যবহার আপনার ত্বকের জন্য উপকারী হতে পারে। নিম পাতা বেটে মুখে
দিলে কি হয় বিস্তারিত জানতে হলে নিচের লেখাগুলো পড়তে থাকুন।
অ্যান্টিসেপটিক গুনঃ নিম পাতায় থাকা অ্যান্টিসেপটিক উপাদান ব্রণ,
ফুসকুড়ি এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যাগুলি কমাতে সাহায্য করে।
ত্বক পরিষ্কার করাঃ নিমপাতা মুখ থেকে অতিরিক্ত তেল ও ময়লা পরিষ্কার
করে, যা ত্বককে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল রাখে।
ব্রণ কমায়ঃ নিম পাতা ব্রণ প্রতিরোধে সহায়ক। এটি ব্রণের জীবাণুকে হত্যা
করে এবং ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিঃ নিম পাতা ব্যবহার নিয়মিত করলে ত্বক উজ্জ্বল
হয়ে ওঠে এবং ত্বকের রং ধরে রাখতে সাহায্য করে।
এলার্জি ও প্রদাহ কমায়ঃ নিম পাতা এলার্জি ও প্রদাহ হ্রাস করতে সাহায্য
করে, ত্বকের লালচে ভাব কমায়।
দাগ ও কালো দাগ কমায়ঃ নিমপাতা ত্বকের দাগ ও কালো দাগ হ্রাস করতে
সাহায্য করে।
বন্ধুগণ, নিম পাতা বেটে মুখে দিলে কি হয় আশা করি উপরের অংশটুকু করে বুঝতে
পেরেছেন। তবে এগুলো উপকার পেতে হলে নিমপাতার ব্যবহার করতে হবে সঠিক নিয়ম। নিম
পাতা বেটে মুখে ব্যবহারের পদ্ধতি সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপরে তুলে
ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন চুলে নিম পাতার ১০ টি উপকারিতা
নিম পাতা বেটে মুখে দিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। তবে, যাদের
এলার্জি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে নিম পাতার এই সকল ফেসপ্যাক ব্যবহারের আগে ত্বকের
ছোট জায়গায় পরীক্ষা করে নিন।
প্রিয় পাঠক, আশা করি নিম পাতা বেটে মুখে দিলে কি হয় এ সম্পর্কে অনেক
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরে আপনি উপকৃত হয়েছেন। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই
বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় বন্ধুগণ এতক্ষণ আপনারা ' নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় তৈলাক্ত
মুখে দিলে কিহয়, নিয়ে বিস্তারিত ব্লগ আর্টিকেল পড়লেন। এই আর্টিকেলটি পড়ে আশা
করি নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় ও তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার, এই
সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।
প্রিয় বন্ধুগণ, অনলাইন জগতে সীমা আইটির অবদান হবে অপরিসীম, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই
আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে জনসচেতনতার ক্ষেত্রে আপনার পরিবার
এবং বন্ধু-বান্ধবীর কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url