লক্ষী পূজা ২০২৪ বাংলাদেশ পূজার পাঁচালী ATOZ নিয়ম
এই আর্টিকেলটি মূলত, লক্ষী পূজা ২০২৪ বাংলাদেশ পূজার পাঁচালী ATOZ
নিয়ম নিয়ে। আপনি যদি গুগলে ২০২৪ সালের লক্ষী পূজার সমস্ত
বিষয়বস্তু জানার জানার জন্য খোঁজাখুঁজি করেন, তাহলে আপনি সঠিক
জায়গাতে এসেছেন। এই আর্টিকেলে আপনি ২০২৪ সাল এর লক্ষী পূজা সম্পর্কে
ATOZ গুরুত্বপূর্ণ অজানা তথ্য জানতে পারবেন।
নমস্কার, আমি শ্রী শুভ কুমার প্রামাণিক। প্রতিদিনের মতো আজকেও
আরও একটি নতুন ব্লগ আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকের
আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, তাই এই আর্টিকেল
এর অজানা তথ্য জানার জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত করতে হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃলক্ষী পূজা ২০২৪ বাংলাদেশ পূজার পাঁচালী ATOZ নিয়ম
লক্ষী পূজা ২০২৪ বাংলাদেশ
লক্ষী পূজা ২০২৪ বাংলাদেশ? লক্ষী পূজা ২০২৪ বাংলাদেশ এর সকল নিয়ম জানতে
নিচের লেখাগুলো শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। লক্ষী পূজা হিন্দু ধর্মালম্বীদের
একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই পূজাই মা লক্ষ্মীর
আরাধনা পূজা অর্চনা করা হয়। এই দিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের
বাড়িতে মা লক্ষ্মীর আসন তৈরি করে।
লক্ষী পূজা উপলক্ষে ঘর সাজানো, মিষ্টান্ন তৈরি করা এবং পরিবারের সদস্যদের
নিয়ে ভোজের আয়োজন করা হয়। লক্ষী পূজার উপকরণ হিসেবে ধান, পাঠ ফুল
এবং ফল মায়ের কাছে নিবেদিত করা হয়। লক্ষী পূজায় মূলত ধন-সম্পদ এবং
সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয়।
প্রিয় পাঠক, লক্ষী পূজা ২০২৪ বাংলাদেশ গীতার প্রেক্ষাপটে ধর্মীয় আচার
নিয়ম নীতি অনুসারে লক্ষ্মী পূজার সকল গুরুত্বপূর্ণ অজানা তথ্য এই আর্টিকেল এর
মাধ্যমে জানতে পারবেন। এই আর্টিকেলটি লক্ষ্মীপূজা নিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ
হতে চলেছে।
লক্ষী পূজা ২০২৪ বাংলাদেশ পূজার পাঁচালী ATOZ নিয়ম এই আর্টিকেলে লক্ষী
পূজার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, নিচের লেখাগুলো পড়তে থাকুন।
লক্ষী পূজার নিয়ম
লক্ষী পূজার নিয়ম? প্রিয় পাঠক, বাড়িতে অনেকেই নতুন করে লক্ষ্যে পূজা
করতে চাচ্ছেন, কিন্তু লক্ষী পূজার নিয়ম সম্পর্কে জানেন
না? চিন্তার কোন কারণ নেই, এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত করতে থাকুন লক্ষী
পূজার নিয়ম সম্পর্কে ATOZ জানতে পারবেন।
- পূজা শুরু করার আগে বাড়ি পরিষ্কার করতে হবে।
- বিশেষভাবে পূজার জন্য একটি প্যান্ডেল বা আসন তৈরি করুন।
- লক্ষী পূজা করার জন্য আপনি মাটির তৈরি লক্ষ্মী মূর্তি ব্যবহার করতে পারেন অথবা তুলসী বা বিভিন্ন পেপার পত্রিকার তৈরি ছবি ব্যবহার করতে পারেন।
- লক্ষী পূজায় তাজা ফুল ও পাতা বিশেষ করে কমল ফুল ব্যবহার করতে পারেন।
- মা লক্ষ্মী কে ভোগ দেওয়ার জন্য বিশেষ করে কলা, নারীকেল, পেঁপে ও মিষ্টি ইত্যাদি দিতে পারেন।
- মা লক্ষ্মীর পূজার জন্য ধান, পাট এবং পঞ্চমী নৈবেদ্য থাকা প্রয়োজন।
- পূজা শুরু করতে মন্ত্র পাঠ করা প্রয়োজন। ( লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী ) মন্ত্র জানতে হলে নিচে লেখাগুলো পড়তে থাকুন।
- আরতি করার ক্ষেত্রে মা লক্ষ্মীর সামনে প্রদীপ, ধুপ, আগরবাতি ও মোমবাতি ব্যবহার করতে পারেন।
- ফুল, ফল ও মিষ্টান্ন মা লক্ষ্মীর কাছে নিবেদন করা প্রয়োজন।
- ধনসম্পদ ও সুখ শান্তির জন্য প্রার্থনা করতে পারেন।
- পূজা শেষে মায়ের কাছে নিবেদন করা ভোগ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এবং আপনার প্রতিবেশীদের মধ্যে বিতরণ করা প্রয়োজন।
- পূজা শেষে মূর্তি বা ছবি জলাধারে রাখার ব্যবস্থা করা করুন।
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আপনি লক্ষী পূজার নিয়ম সম্পর্কে
বিস্তারিত পড়লেন। আশা করি, লক্ষী পূজা ২০২৪ বাংলাদেশ পূজার
পাঁচালী ATOZ নিয়ম এই আর্টিকেলে লক্ষী পূজার নিয়ম সম্পর্কে অনেক
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেড়ে অনেক উপকৃত হয়েছেন। লক্ষ্মী পূজার
পাঁচালী সম্পর্কে জানতে নিচের লেখাগুলো পড়ুন।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী? লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী সাধারণত মা লক্ষ্মীর
আরাধনার জন্য গীতা কাব্য। এই পূজা সাধারণত দিওয়ালি, শ্রী পূজা বা
কোজাগরী লক্ষী পূজার সময় করা হয়। লক্ষী পূজার সময়, লক্ষ্মী পূজার
পাঁচালী পড়তে হয়। প্রিয়
পাঠক, লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী নিচে উল্লেখ করা হলো। প্রথম থেকে শেষ
পর্যন্ত পুরো একটাই লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী।
দোল পূর্ণিমার নিশি নির্মল আকাশ ।
ধীরে ধীরে বইতেছে মলয় বাতাস ।।
বৈকুন্ঠেতে একাসনে লক্ষ্মী নারায়ন ।
করিতেছে কত কথা সুখে আলাপন ।।
সৃষ্টিতত্ত্ব, জ্ঞানতত্ত্ব কত কথা হয় ।
শুনিয়া পুলকিত হয় দেবীর হৃদয় ।।
অকস্মাৎ দেবর্ষি নারায়ন স্বরে ।
আসিলেন ভক্তি চিত্তে বৈকুন্ঠ নগরে ।।
প্রনাম করি দেবর্ষি বলেন বচন ।
মর্ত্যে দুর্ভিক্ষ মাগো কি ভীষন ।।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
ঋষি বলে মা তুমি চঞ্চলা মন ।
সর্বদা ঘোরো ভবন হতে ভবন ।।
তাই মর্ত্যবাসী কষ্ট কত পায় ।
দেখি তাহা কেমনে মম প্রানে সয় ।।
অন্নাভাবে লোকে কত কষ্ট ভোগে ।
মরিতেছে অনাহারে কৃশকায় রোগে ।।
ধর্মাধর্ম লোকে সবে ত্যাগ করি দেয় ।
স্ত্রী কন্যা বিক্রি করে ক্ষুধার জ্বালায় ।।
দুর্ভিক্ষে হইলো শেষ মরে জীবগন ।
দয়া করে মাগো তুমি করো নিবারন ।।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
এই দুর্দশা দেখি প্রানে নাহি সয় ।
করো নিবারন মাগো হইয়া সদয় ।।
নারদের বাক্য শুনি কহেন হরিপ্রিয়া ।
বিশ্বমাতা আমি দেবী বিষ্ণুজায়া ।।
যে যেমন করে সে তেমন পায় ।
সে দোষে কর্মফল, করে হায় হায় ।।
মহামায়ার স্বরূপে নারী সত্যবচন ।
মর্ত্যবাসী না মানে এই কথন ।।
সদাচার কুল শীল দিয়া বিসর্জন ।
ঘরের লক্ষ্মীকে করে সদা বর্জন ।।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
এমন মনুষ্যজাতি মহাপাপ করে ।
কর্ম দোষে লক্ষ্মী ত্যাজে তাহারে ।।
নারীর পরম গতি স্বামী ভিন্ন কেবা ।
ভুলেও না করে নারী পতি পদসেবা ।।
যথায় স্বেচ্ছায় ঘুরিয়া বেড়ায় ।
গুরুজনে নানা কটুবাক্য শোনায় ।।
সর্বদা হিংসা করে না মানে আচার ।
হিংসাতে তার মজে সংসার ।।
ছড়া নাহি দেয়, প্রভাতকালে ।
লক্ষ্মী সে স্থান ছাড়িয়া চলে ।।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
অতিথি যদি উপস্থিত হয় দ্বারে ।
দূর দূর করি তারায় তাহাড়ে ।।
যেবা গুরু-ব্রাহ্মণ দেখি ভক্তি নাহি করে।
মম নিবাস কভু নহে সেই ঘরে ।।
এঁয়োতির চিহ্ন সিঁদুর শাখা না দেয় ।
বাসী কাপড়ে যথা তথা বেড়ায় ।।
স্নান নিত্য নাহি করে যে মনুষ্য গণ ।
ত্যাজিয়া তাহারে, করি অন্যত্র গমন ।।
তিথি ভেদে যেবা নিষিদ্ধ দ্রব্য খায় ।
হই না কভু তার ওপর সহায় ।।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
যে মনুষ্য ভক্তিভাবে একদশী না করে ।
কদাপি নাহি থাকি তাহার ঘরে ।।
উচ্চহাসি হাসিয়া যে নারী ঘোরে ।
গুরুজন দেখি ঘোমটা না টানে ।।
বয়োজ্যেষ্ঠ দেখি যারা প্রনাম না করে ।
সন্ধ্যাকালে ধূপ দীপ নাহি দেয় ঘরে ।।
ঠাকুর দেবতা আদি কভু না পূজে ।
সাধু সন্ন্যাসী দেখি হাসাহাসি করে ।।
এমন নারী যে গৃহেতে বসতি রয় ।
লক্ষ্মী ত্যাজে তাহাকে জানিবে নিশ্চয় ।।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
এত বলি লক্ষ্মী দেবী বলেন মুনিকে ।
কর্মদোষে মনুষ্য নিজ ফল ভোগে ।।
ঋষি বলে মাগো তুমি জগতজননী ।
সন্তান কে করো ক্ষমা হে সনাতনী ।।
দূর করি দাও মা ভীষন মহামার ।
বর দিয়ে জীবেরে করহ নিস্তার ।।
এই বলি বিদায় হইলেন মহামুনি ।
চিন্তিত হইয়া কহেন নারায়নী ।।
কহ কহ কৃপাময় প্রভু নারায়ন ।
কিরূপে নিস্কৃতি পাইবে জীবগণ ।।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
লক্ষ্মীদেবীর কথা শুনি কহেন জনার্দন ।
শুন দেবী মন দিয়া আমার বচন ।।
তুমি যে পরমা প্রকৃতি দেবী ভগবতী ।
তোমার কৃপায় দূর হইবে অনাসৃষ্টি ।।
যে জন গুরুবারে লক্ষ্মী ব্রত করে ।
সুখে জীবন কাটাইবে তোমার বরে ।।
লক্ষ্মী কভু নাহি ছাড়িবে তাহারে ।
জীবনান্তে আসিবে সে বৈকুন্ঠ নগরে ।।
মর্ত্যে গিয়া কর এই ব্রত প্রচার ।
তোমার কৃপায় দূর হইবে অনাচার ।।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
গমন করেন দেবী শুনি হরির কথা ।
পেঁচকে মর্ত্যে আইলেন জগতমাতা ।।
অবন্তী নামক নগরী পাশে এক বন ।
তথা আসি মা কমলা উপস্থিত হন ।।
হেথায় ছিল ব্যবসায়ী ধনেশ্বর রায় ।
অগাধ ধন, চৌদ্দ কূল বসি খায় ।।
পত্নী সুমতি ছিল সাত কুমার ।
সংসার ছিল তার লক্ষ্মীর ভান্ডার ।।
যথাকালে ধনেশ্বর করিল গমন ।
বিধবা হইলো পত্নী- ভাগ্যের লিখন ।।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
সর্বদা কলহ করে সপ্ত বধূ গণ ।
মারমার কাটকাট হইত সর্বক্ষণ ।।
সংসার রচিল যে যার মতো যার ।
সুখের পরিবার হইল ছারখার ।।
এই দুঃখে ধনেশ্বর পত্নী ভীষন শোকে ।
বনে গমন করিল জীবন ত্যাজিতে ।।
সেই বনে বৃদ্ধা বসি করে হায় হায় ।
এই বুঝি লেখা ছিল বিধাতার খাতায় ।।
এই দেখি হরিপ্রিয়া বৃদ্ধা রূপ ধরে ।
ছদ্দবেশে দেখা দিলেন ধনেশ্বর ভার্যারে ।।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
দেবী কহেন কে তুমি দাহ পরিচয় ।
কোথা হতে আসিলে বলোহ আমায় ।।
স্থান বড় ভয়ানক নির্জন বন ।
হেথা হোথা নানা জন্তু করে বিচরণ ।
বুড়ি বলে মাগো পোড়া কপাল আমার ।
ভয় আমি করি না আর মরিবার ।।
এত বলি বৃদ্ধা সব কথা কন ।
শুনিয়া দুঃখিত হইলো কমলার মন ।।
বৃদ্ধা প্রতি বিষ্ণুপ্রিয়া কহেন বচন ।
আত্মহত্যা মহাপাপ শাস্ত্রের লিখন ।।
যাও তুমি গৃহে ফিরি করো লক্ষ্মী ব্রত ।
অবশ্যই আসিবে সুখ পূর্বের মতো ।।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
গুরুবারে সন্ধ্যাকালে মিলি এঁয়োগন ।
ব্রতের সকল কিছু করিবে আয়োজন ।।
আসন পাতি তাহে লক্ষ্মী মূর্তি বসাইবে ।
আম্র পল্লব, গোটা ফলে ঘট সাজিবে ।।
বিবিধ পুস্প, বিল্বপত্র নৈবদ্য সকল ।
দিবে কলা, শর্করা আতপ তণ্ডুল ।।
একটি করে মুদ্রা রাখিবে লক্ষ্মী ঘটে ।
একমুষ্টি তণ্ডুল জমাইবে লক্ষ্মী ভাঁড়ে ।।
আম্র পল্লবে করিবে সিঁদুর তৈলে গোলা।
চাল বাটি লক্ষ্মী সম্মুখে দিবে আলিপনা ।।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
ধূপ দীপ জালি সম্মুখে রাখিবে ।
আসন পাতি লক্ষ্মী পূজায় বসিবে ।।
একমনে পূজা দিবে লক্ষ্মী নারায়ন ।
পূজাশেষে ব্রত কথা করিবে পাঠন ।।
না করিয়ো পূজায় ঘণ্টা বাদন ।
পূজান্তে উলু দিবে মিলি এঁয়োগন ।।
এই ভাবে যেই জন লক্ষ্মী ব্রত করে ।
কোন দুঃখ তার আর নাহি রহিবে ।।
শুনিয়া বৃদ্ধা কহিল আনন্দিত মনে ।
কে মা তুমি কহো পরিচয় দানে ।।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
এই শুনি লক্ষ্মী দেবী স্ব মূর্তি ধরে ।
ভক্তি চিত্তে বৃদ্ধা কাঁদে ভূমি ওপর পড়ে ।।
লক্ষ্মী বলে যাহ তুমি নিজের ভবন ।
গুরুবারে আমাকে পূজিবে নিয়ম মতোন ।।
এত বলি বিদায় লইল সাগর নন্দিনী ।।
ঘরে ফিরি আসিল ধনেশ্বর পত্নী ।।
বধূ গনে কহিল লক্ষ্মীর ব্রতের কথন ।
গুরুবারে লক্ষ্মী ভজে সপ্ত বধূ গণ ।।
ধীরে ধীরে হইল সুখের ভবন ।
যেমন আছিল ঘর পূর্বের মতোন ।।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
সপ্ত ভাই মিলে মিশে কলহ বিসর্জন।
সংসার হইল যেন স্বর্গের দেব ভবন।।
এই দেখি এক রমণী পূজা মানত করে ।
স্বামী চিররোগী, উপার্জন হীন সংসারে ।।
ভক্তি ভরে সেই নারী লক্ষ্মী দেবী ভজে ।
হরিপ্রিয়ার কৃপায় তাহার দুঃখ সকল ঘোচে ।।
রোগ ছাড়ি তার স্বামী সুস্থ হইল।
এই ভাবে সকল দুঃখ তার ঘুচিল ।।
আনন্দে দিনে জন্মিল তাঁহাদের সুন্দর নন্দন ।
লক্ষ্মীর কৃপায় তার বাড়িল ধন জন ।।
এই ভাবে লক্ষ্মী ব্রত ছড়ায় দেশ দেশান্তরে ।
সকলে শুনি লক্ষ্মী দেবীর পূজা করে ।।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
লক্ষ্মী কৃপায় সকলের দুঃখ চলি যায় ।
কমলার কৃপা সকলের ওপর বর্ষায় ।।
একদিন লক্ষ্মী পূজা করে বামাগন ।
আসিল এক বনিক তাঁহাদের সদন ।।
বনিক কহে কোন দেবী কি পরিচয় ।
করিলে পূজা দেবীর, কি ফল হয় ।।
বামারা বলে ইনি লক্ষ্মী দেবী জগত জননী ।
লক্ষ্মী কৃপায় সুখে রহে ব্রতিনী ।।
গুরুবারে যে জন লক্ষ্মী পূজা করে ।
অবশ্যই থাকিবে সুখে কমলার বরে ।।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
এই বাক্য শুনে হাসে বনিক মহাশয় ।
মানিনা এই সত্য তব কথায় ।।
কপালে যদি না থাকে ধনের লিখন ।
কিরূপে দিবে লক্ষ্মী বর- ধন- জন ।।
শুধু শুধু লক্ষ্মী পূজা করি কি হয় ।
বৃথা কাটাইতেছো কমলা পূজায় ।।
গর্বে ভরা বাক্য লক্ষ্মী সইতে নারে ।
ধীরে ধীরে মা কমলা ছাড়িল তাহারে ।।
ঝড় উঠি তার নৌকা জলে ডোবে ।
ধন জন আদি গেলো নানা রোগে ভোগে ।।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
মড়কে রোগে তার গৃহ হইল ছারখার ।
ভিখারী হইয়া বনিক ঘোরে দ্বারে দ্বার ।।
এককালে সে থাকিত রাজার হালে ।
আজ সে ভিখারী, পথে কষ্টে চলে ।।
এই ভাবে বহু দেশ ঘোরে সদাগর ।
একদিন আইলো সে অবন্তী নগর ।।
সেই স্থানে ব্রত করে যতেক বামাগনে ।
বসি তারা মন দেয় লক্ষ্মীর ভজনে ।।
এই দেখি পূর্ব কথা হইলো স্মরণ ।
এই স্থানে দেবীরে করিছে অবমানন ।।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
সেই পাপে সব ধ্বংস হইলো তার ।
ভূমিতে লোটাইয়ে সদাগর কান্দে বারবার ।।
এই স্থানে করেছি মাগো বহু অহঙ্কার ।
সেই পাপে সব কিছু হইলো ছারখার ।।
ধন গর্বে মত্ত হয়ে করিনু অবহেলা ।
সেই অপরাধে মা তুমি মোরে ত্যাজিলা ।।
ক্ষুধার জ্বালায় মাগো ঘুরি দেশ দেশান্তরে ।
ধন- জন- আত্মীয় গেলা আমাকে ছেড়ে ।।
তুমি মাতা দয়াময়ী বিষ্ণু বক্ষ বিলাসিনী ।
তুমি মাতা ভগবতী জগত পালিনী ।।
তুমি যারে রক্ষা করো কিসের তার ভয় ।
তুমি যারে ত্যাজি যাও, সে সব হারায় ।।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
তুমি যারে কৃপা কর, সেই ধন্য হয় ।
তোমার আশিসে মাগো সর্ব সিদ্ধি হয় ।।
এই ভাবে সদাগর লক্ষ্মী স্তব করে ।
কমলার কৃপা দৃষ্টি বনিকের উপর পড়ে ।।
লক্ষ্মীর কৃপায় বনিক সব ফিরি পায় ।
গৃহে ফিরি মন দেয় লক্ষ্মীর পূজায় ।।
লক্ষ্মীর কৃপায় তাহার ধন জন বাড়ে ।
এই ভাবে ব্রত প্রচার হয় দেশ দেশান্তরে ।
এই ভাবে সকলে লক্ষ্মী পূজা করে ।
ধনে জনে বাড়িল কমলার বরে ।।
খাদ্য ধন জন বাড়িল লক্ষ্মীর কৃপায় ।
হরি হরি বল তুলিয়া হস্ত দ্বয় ।।
যেই জন ভক্তি ভরি লক্ষ্মী পূজিবে ।
অবশ্যই তাহার দুঃখ সকল ঘুচিবে ।।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী
যে পড়ে ব্রত কথা, আর যেবা করে শ্রবন ।
অবশ্যই পাইবে সে মা লক্ষ্মীর চরণ ।।
ব্রত কথা শুনিবে অবশ্যই ভক্তি মনে ।
লক্ষ্মীর কৃপায় বাড়িবে ধনে জনে ।।
জয় জয় ব্রহ্মময়ী, মা নারায়নী ।
তোমার কৃপায় শেষ করিনু গ্রন্থ
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আপনি লক্ষ্মী পূজার
পাঁচালী পড়লেন। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই লক্ষ্মী পূজার
পাঁচালী মন্ত্র। প্রিয় পাঠক, লক্ষী পূজা ২০২৪ বাংলাদেশ পূজার
পাঁচালী ATOZ নিয়ম এই আর্টিকেলে লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী পরে
অনেক উপকৃত হয়েছেন। কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী বারোমাস জানতে
নিচের লেখাগুলো পড়ুন।
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী বারো মাস
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী বারো মাস? প্রিয় পাঠক লক্ষী
পূজার বারোমাস যেই পাঁচালী পাঠ করা হয়, সেই পাঁচালী নিচে
উল্লেখ করা হলো। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো একটাই কোজাগরী
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী।
বছরে বৈশাখ মাস প্রথম যে হয়।
পূজা নিতে এস গো মা আমার আলয়ে।।
জৈষ্ঠ্য মাসে ষষ্ঠী পূজা হয় ঘরে ঘরে।
কৃপা করি এস ওমা পূজা যে বা করে।।
আষাঢ়ে আসিতে মাগো নাহি কর দেরী।
পূজা হেতু রাখি মোরা ধান্য-দূর্বা ধরি।।
শ্রাবণের ধারা দেখ চারিধারে পড়ে।
পূজিবারে শ্রীচরণ ভেবেছি অন্তরে।।
ভাদরের ভরা নদী কূল বয়ে যায়।
কৃপা করে এস গো মা যত শীঘ্র হয়।।
আশ্বিনে অম্বিকা সাথে পূজা আয়োজন।
কোজাগরী রাতে পুনঃ করিব পূজন।।
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী বারো মাস
কার্তিকে কেতকী ফুল চারিধারে ফোটে।
বসো এসে মাগো মোর পাতা এ ঘটে।।
অঘ্রাণে আমন ধান্যে মাঠ গেছে ভরে।
লক্ষ্মীপূজা করি মোরা অতি যত্ন করে।।
পৌষ পার্বণে মা গো যে মনের সাধেতে।
প্রতি ঘরে লক্ষ্মী পূজি নবান্ন দানেতে।।
মাঘমাসে মহালক্ষ্মী মহলে রহিবে।
নতুন ধান্য দিয়া পূজা করি মোরা সবে।।
ফাল্গুনে ফাগের খেলা চারিধারে হয়।
এস গো মা বিষ্ণুজায়া পূজিব তোমায়।।
চৈত্রেতে চাতকসম চাহি তব পানে।
এস ওমা পদ্মালয়া অধিনী ভবনে।।
লক্ষ্মীদেবী বারমাসি হৈল সমাপন।
দীন ভক্তজন দুঃখ কর নিবারণ।।
কাতরে ডাকিছে যত ভক্ত সন্তান।
ভক্তজন মাতা হয়ে করহ কল্যাণ।
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আপনি কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী বারো
মাস সম্পর্কে বিস্তারিত পড়লেন। আশা করি লক্ষী পূজা ২০২৪
বাংলাদেশ পূজার পাঁচালী ATOZ নিয়ম এই আর্টিকেলে কোজাগরী লক্ষ্মী
পূজার পাঁচালী বারো মাস সম্পর্কে পরে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন।
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে নিচের লেখাগুলো পড়তে
থাকুন।
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার ইতিহাস
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার ইতিহাস? কোজাগরি লক্ষী পূজা মূলত বাংলার এক
বিশেষ উৎসব, যা মূলত লক্ষ্মী দেবীর পূজার জন্য উদযাপন করা হয়। এটি
আষাঢ় মাসের পূর্ণিমার রাতে অনুষ্ঠিত হয় এবং গ্রামাঞ্চলে বিশেষভাবে
জনপ্রিয়।
প্রিয় পাঠক, কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার ইতিহাস সম্পর্কে আরো বিস্তারিত নিচে
আলোচনা করা হলো। কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার ইতিহাস মূলত প্রাচীন ভারতীয়
লোকালয়ের সাথে জড়িত। বলা হয়, লক্ষ্মী দেবী ধন এবং সমৃদ্ধির
দেবী। কোজাগরি পূজা রাতের সময় অনুষ্ঠিত হয়। কারণ এই রাতে লক্ষ্মী
দেবীর স্বয়ং পৃথিবীতে অবতরণ করেন।
পূজার সময় দেবী লক্ষ্মীর কাছে প্রার্থনা করা হয় যাতে তিনি সকলের ধন সম্পদ
এবং সুখ-শান্তি দান করেন। অনেক বিশ্বাস অনুযায়ী, এই রাতে
বাড়িতে আলপনা দিয়ে বিভিন্ন রকম সাজানো হয়, যাতে লক্ষী দেবী
বাড়িতে আসেন।
ঘরের মেঝেতে পাটের ওপর ধন, চাল, মিষ্টি এবং অন্যান্য
খাদ্যদ্রব্য রেখে দেবীর আরাধনা করা হয়। বর্তমানে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা
সারাদেশে বিভিন্নভাবে উদযাপন করা হয়, তবে এর মূল উদ্দেশ্য হলো দেবী
লক্ষীর আশীর্বাদ প্রাপ্তি এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধর উন্নতি।
প্রিয় পাঠক আশা করি লক্ষী পূজা ২০২৪ বাংলাদেশ পূজার পাঁচালী ATOZ
নিয়ম এই আর্টিকেলে আপনি কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার ইতিহাস সম্পর্কে
অনেকটাই ধারণা পেয়ে অনেক উপকৃত হয়েছেন। ২০২৪ সালের লক্ষী পূজা
কবে বিস্তারিত জানতে নিচের লেখাগুলো পড়তে থাকুন।
২০২৪ সালের লক্ষী পূজা কবে
২০২৪ সালের লক্ষী পূজা কবে? প্রত্যেক বছর এর মত এই বছর অর্থাৎ ২০২৪
সালেও লক্ষী পূজার আয়োজন করা হবে। কিন্তু অনেকেই জানে
না ২০২৪ সাল এর লক্ষীপূজা কবে? লক্ষী পূজা মূলত, আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা
তিথিতে দুর্গাপূজার পর লক্ষী পূজা পালন করা হয়।
এই বছরে, ইংরেজি ২০২৪ এবং বাংলায় ১৪৩১ সালে লক্ষী পূজা পালিত
হবে, আগামী ১৬ই অক্টোবর বাংলায় ২৯শে আশ্বিন রোজ
বুধবার। পূর্ণিমা তিথি লাগবে ওই দিন রাত্রি ৭ টা
৪৪ মিনিটে এবং তা স্থায়ী হবে পরের দিন অর্থাৎ ১৭ই
অক্টোবর বাংলায় ৩০ শে আশ্বিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৫ টা
১৯ মিনিটে পর্যন্ত।
পঞ্জিকা অনুযায়ী বুধবার ২৯ শে আশ্বিন, ইংরেজির ১৬ই
অক্টোবর সময় রাত্রি ৭ টা ৪৪ মিনিট পর শ্রী শ্রী কোজাগরী
লক্ষ্মীপূজো। এবারে ২০২৪ সালের লক্ষী পূজার শুভ সময়
হল, বুধবার ১৬ই অক্টোবর বাংলায় 29 শে আশ্বিন রাত্রি ৮ টা
বেজে ৪১ মিনিট থেকে রাত্রি ১২ টা বেজে ৪৬ মিনিট পর্যন্ত।
প্রিয় পাঠক, লক্ষী পূজা ২০২৪ বাংলাদেশ পূজার পাঁচালী ATOZ নিয়ম এই
আর্টিকেলে এতক্ষণে আপনি ২০২৪ সালের লক্ষী পূজা কবে এই
সম্পর্কে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরে অনেক উপকৃত হয়েছেন।
লেখক এর মন্তব্য
সুপ্রিয় পাঠক মন্ডলী, প্রত্যেক বছর এর মত এই বছরও হিন্দু
ধর্মালম্বীদের মধ্যে প্রতি বাড়ি লক্ষী পূজার আয়োজন করা হবে। লক্ষী পূজা
২০২৪ বাংলাদেশ পূজার পাঁচালী ATOZ নিয়ম এই আর্টিকেলে
এর মাধ্যমে আপনি লক্ষী পূজা ২০২৪ বাংলাদেশ, লক্ষী পূজার নিয়ম, লক্ষ্মী
পূজার পাঁচালী, কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী বারো মাস,
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার ইতিহাস, ২০২৪ সালের লক্ষী পূজা
কবে ইত্যাদি। সম্পর্কে বিস্তারিত অজানা তথ্য জানতে পেরে আশা করি
আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। হিন্দু ধর্মীয় কোন নতুন
পোস্ট বা কোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন
অথবা
সীমা আইটি ওয়েবসাইট
এর সঙ্গে
যোগাযোগ
করবেন।
প্রিয় পাঠক, লক্ষী পূজা ২০২৪ বাংলাদেশ পূজার পাঁচালী ATOZ
নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জনসচেতনতার ক্ষেত্রে আপনার পরিচিত
ব্যক্তিদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। সিমা আইটি ওয়েবসাইট এর পাবলিশ করা
আর্টিকেলগুলো ভালো লেগে থাকলে, আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং প্রকাশ করা সকল পোস্ট সবার আগে পড়ুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url